যাযাবর
যাযাবর যাযাবরদের ছোঁড়া কাঠে আগুনও অসংযত,ঝড় উঠে ইত্যবসরে কিছু লবণ দানাও জমা পড়েছে… উদ্বাস্তু রোমে…..
ভেতরে ঋণ গায় —
ক্ষয়িষ্ণু তাপ খেয়ে নিচ্ছে জল।
একটু শ্বাস চাই, এসময় চুম্বন বড়
অপ্রয়োজন লাগে।
কত পথ থাকে বাকি
বাজারে ভোর হয়, কাক ডাকে
ভীড়ে নাই, হট্টগোল তবুও সঙ্গে
এই তিতারোদ অনুবাদে।
আমাদের শাড়ি আঁচলের বাঁশি
করাত কাটে হাড়ে, প্রস্তাবে হয়
লাল ক্ষেত বিছানো মাদুরে প্রলয়ংকরী
বিশ্রাম — সার গাম হারা ফল।
বিচ্যুত রেখা, কলসের গলায় তরল
ফাঁস। কতদূর আর শরীর তার?
ড্রপারেও ফুরাতে পারে ফোঁটায় ফোঁটায়!
লুকিয়ে ঋণ ভিতরে গায় শ্বাস —
খুব প্রয়োজন তাকে বুকের বালিশ,
এসময় চুম্বন বড় অপ্রয়োজন লাগে।
বিষম খেয়ে সবুজ শাড়ি জলের শরীরে গুটিয়ে থাকে।দাবার আড়াই ঘরে ভেলকি লাগা ঝানুঘোড়া তিন ঘর টগবগ
কী দ্যাখে ফুলে নগ্ন ভ্রমর — রস? সে ও থাকে ভ্রমরী কাছে!
রুদ্র — পড়ো না মুখোশে ; পরো। না উড়ে যেভাবে ময়ূরও পাখি, ছায়াগাছে নড়ুক কলরব এই পন্থায়।
হাঁটতে বের হয়ে একটা কালো মোরগের পিছু নিতেই দ্যাখা গ্যালো তার ঝুটি বেয়ে নামছে রোদ, ঘামের রঙ কককক।আমি হাত বাড়িয়ে তার ভিতর নিজেরে ধরার প্রয়াস মাত্রই লেজ উঁচিয়ে ভোঁ দৌঁড়।থেমেই আছি।ঘামছি।আমার মধ্যে হারিয়ে গ্যালো কালো মোরগ, তার মধ্যে হারিয়ে গ্যালাম জ্যান্ত আমি।আমরা আসলে ঠিকানা বিহীন ডেলিভারি ম্যান। হঠাৎ রিকশায় দেখা রংধনুর পিছে ছুটতে ছুটতে কখন যে বাড়ি ফিরে আসি, জানিনা।
যাযাবর যাযাবরদের ছোঁড়া কাঠে আগুনও অসংযত,ঝড় উঠে ইত্যবসরে কিছু লবণ দানাও জমা পড়েছে… উদ্বাস্তু রোমে…..
কবি গো ওওও,আর যত গুণীজন কি দিয়ে পূজি তোমাদের চরণ আমি যে অভাগা জানি না…..
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..