ঢাকা রোডের পর্নোগ্রাফি

অনির্বাণ সূর্যকান্ত
কবিতা
Bengali
ঢাকা রোডের পর্নোগ্রাফি

তোমাকে কবর থেকে তুলে এনেছি, বুক চিরে দেখাচ্ছি কিশোরী ধর্ষিতা কেন একা একা বসে কাঁদে।

চলো, গাধারা ঘুমিয়ে গেছে, এই ভাগারে থুথু ফেলা ছাড়া অন্য কোনো বক্স নেই।

এখানে মানুষ হাঁপায়, সহবাস করে, এখানে রাজনীতিবিদদের জিহবা টক হয়না,এখানে অজস্র মিথ্যা নাভিস্তন সমেত পাখিরা কখন মরবে সেই আশা করে

এখানে শীতকাল আদৌ আত্মহত্যার উপযুক্ত সময় নয় , পৃথিবীতে শীতকাল মাত্র ৯০ দিন।

৯০ দিনে কারো শরীরের গন্ধ খেয়ে মরে যাওয়া যায় না,মানুষ মানুষের জন্য তা শেখানো যায় না, ৯০ দিনে কাউকে বলা যায় না বীর্যপাতে জীবনের স্বাদ।

দুই)

প্রেমিকা আমার শাহবাগ হয়ে গেলো,আমার ইচ্ছে করে প্রেমিকার পোড়া মাংসের ফাঁকে লুকিয়ে যাই।

ঢাকা শহরে থাকা প্রেমিকা কখনো কোলকাতা, কখনো ঢাকা,কখনো রংপুর হয়ে যায়।
সাঙ্গু নদী তার ওড়না হয়ে যায়
কখনো গত জন্মের ভাষা,কখনো ড্রাগের জাতিস্মর।

প্রেমিকা পাটিগণিত, কিছুটা ভোরে স্নান করা হলুদ চাঁদের কৃষকের কাঁধ।

তিন)

প্রেমের গান গাইলে প্রেম হয়না, কখনো প্রমাদ বা বাণিজ্যও হয়, জীবনবীমা করে নিচ্ছে নোনতা ইঁদুরের গর্ত

যে জলে বিদ্যুৎ আছে সে জল খেয়ে বাঁচি, জলে ডুবে মরার নিষেধ নেই, তবুও মন খারাপ হয়, জল মানুষকে জল্লাদ করে তোলে।

জল মানুষকে কুড়িগ্রাম যেতে উৎসাহ দেয়
স্নাতকের সমাবর্তন হয়ে যায়, লজ্জা ঢাকতে গণিত ক্লাস শুরু হয়।

গণিত ক্লাসে প্রেম আছে, চঞ্চলতা নেই
গণিতের দৈর্ঘ্য পৃথিবীর প্রতি আমাদের ঋনের কথা মনে করিয়ে দেয়।

চার)

আসলে আমরা যে চিৎকার করি তার কোনো মানেই হয়না, কে আর কার গুহ্যদ্বার পরিস্কার করে, কে আর কার পথ পরিস্কার করে, কত কত জন নিভৃতে নিতম্ব ছুঁয়ে মেয়েদের হাসি নিয়ে ঠাট্টা করে, মানুষের মাথা ভর্তি ইতিহাস, স্বপ্ন দেখে দোষ হয়, অন্ধের উৎসব করে।

মানুষের পায়ে পায়ে বহু কাঁটা ফুটে, উলঙ্গ প্রার্থনা শেষ করেইতো ২১শতক, গাধাকে বলে না কেমন আছো ! ভেসে যেতে যেতে মন্দিরের ভিত গড়ে দিচ্ছে নারীরা । নিরুপদ্রবে মরে যাচ্ছে চায়ে ডোবা বিস্কুট।মাথা নিচু করে খাচ্ছে সাউথ পোলের প্রজাপতি।

আমাকে ইতিহাস লিখতে দাও, আমি লিখে দেবো নারী এক বিশেষ দেয়াল ঘড়ি।

অনির্বাণ সূর্যকান্ত। কবি। জন্ম বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলায়। লেখাপড়া করেছেন চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজে। মূলত: কবি, কবিতাই তাঁর প্রাণ। কবিতা দিয়েই তিনি পৃথিবীকে জানতে চান। বোহেমিয়ান জীবনে হেন কোন কর্ম নেই করেন নি! কৃষক হয়েছেন, মুদি দোকানের কর্মচারী হয়েছেন, হোটেলের কর্মচারী হয়েছেন,...

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..