আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
নিষিদ্ধ আনন্দের আগুন চাখছে
চার – পাঁচটা ডানাওলা পিঁপড়ে –
একের পর এক , একের পর এক , বারবার ।
সবুজ মখমল ঘাসের এলোমেলো বিছানা ,
বিছানায় শায়িতা কীটদষ্টা গীতবিতান ,
দাঁতে দাঁত চাপা যন্ত্রণায় নীল ।
প্রতিরোধে ক্লান্ত , রক্তাক্ত , ক্ষতবিক্ষত ।
নষ্ট হতে হতে গৌরীচাঁপা মনে মনে
হয়ে যায় শিলালিপি , কদর্য জীবনকে
ছুঁয়ে দেখার অভিজ্ঞতায় ।
দিগন্তের পারে চোরাবালি ,
চোরাবালির প্রান্তে নোনাজল ,
ঢেউয়ের কাটাকুটি খেলা
মুখর সাগরে গর্ভবতী মেঘ ভেঙ্গে খানখান ।
ভালবাসা দাঁড়িয়ে লজ্জায় লাল হওয়া মুখে ,
জেগে ওঠে ভেতরের পাড়া । দেহ – ঝাঁপিতে
দৃশ্যমান সানুদেশের উথ্থান – পতন ।
তুলোর পাহাড়ে ভাসে শঙ্খ মেঘ ,
মনে ভাসে অসম্পূর্ণ কবিতা ।
শব্দের নৈঃশব্দ কানে বাজে ঝরনার ঝরঝরে ,
শান্ত হৃদয় কেঁপে ওঠে রিখটার স্কেলে ,
খানখান পরিবেশ বরফশীতল ,
কম্পনে ভেঙ্গে যায় বাঁধ , ভেঙ্গে যায় ঘর ।
সর্বহারা তবু ছোটে নদীবাঁধ পর ।
কতোবার ভেবেছি তোমাকে ভুলে যাব আমি ,
শীত ঠকঠক রাতের গভীরে
উত্তুরে হাওয়ার গিঁট বেঁধে নির্মোহ হবো
ফকিরের মতো ।
তখনই রাতের রজনীগন্ধা আস্তিনে গুটিয়ে রাখা তির
ছোঁড়ে তিনবার ।
তালাকের মরুভূমি হঠাৎ কমলবন হয়ে ওঠে ।
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..