প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
চিন্তন, মনন ও প্রজ্ঞা মানুষকে মনুষ্যেতর প্রাণীর থেকে আলাদা করে স্বতন্ত্র মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা হল সেই বিশেষ জগৎ যা মানুষের চিন্তন ও মনন কে আলোড়িত করে। প্রজ্ঞার আলোকে মানুষ নতুনতর এক জগতের সন্ধান পায়। কবিতা এমনি এক অনুভবগম্য স্বতন্ত্র জগৎ।
কবিতা কেন লিখি? এ প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে আরেকটি প্রশ্নে- কবি কে?
তিনিই কবি, যাঁর চেতনায় অন্তঃসলিলা হয়ে বহমান আনন্দ-বেদনায় আলোড়িত আরেক দুরভিগম্য একান্ত নিজস্ব জগৎ। কাব্যকায়ার দুই ভাগিদার – কবিমন ও প্রকৃতি। কবি-মনই কবিতার স্রষ্টা ও চালিকা শক্তি। প্রকৃতি সেই স্রষ্টার বিচরণ ক্ষেত্র। স্রষ্টা কে সে আলোড়িত করে, সৃষ্টি প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করে। কৃষক যেমন হলাকর্ষণের মাধ্যমে মাটি কর্ষণ করে সৌন্দর্যময় ফসলে মাঠ ভরিয়ে তোলেন, কবি-মন ও তেমনি প্রকৃতি ও প্রাণী জগতের নিত্য ঘটনার সঙ্গে অন্তরের জারক রস মিশিয়ে আশ্চর্য কুশলতায় ঐশ্বর্যময় এক অপার্থিব উপহার প্রস্তুত করেন, যার নাম কবিতা।
কবি-মন ও প্রকৃতি মিলে এভাবেই গড়ে ওঠে কবিতার শরীর। প্রকৃতি সেখানে পার্থিব অনুঘটক, কবি-মন অপার্থিব চালিকা শক্তি – আত্মা। দৃষ্ট রূপ কে মনোরাজ্যে অনুভবগম্য করে তোলার বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী হলেন কবি। কবি তাই অন্তঃশক্তিতে শক্তিমান। নিজস্ব জগৎ সৃষ্টির আশ্চর্য ক্ষমতা তাঁর। তাঁর জগতে তিনিই শ্রেষ্ট, তিনিই রাজা, অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তবু বড় একা।
নিজের মধ্যে নিজেই তিনি গড়ে তোলেন কাম্য শূন্যতা। শূন্য সাম্রাজ্যের সেই অধীশ্বর আবার শূন্যতাকে ভরিয়ে তুলতে চান এক একটি হীরকের দ্যুতিতে – কবিতাই সেই অমূল্য ধন। দুর্ভেদ্য সেই গোপন সাম্রাজ্যে সকলের প্রবেশের শক্তি নেই, চেতনার সেই গভীরতা নেই। বিশেষ মানস-গড়ন সম্পন্ন ব্যক্তিরাই চেতনা ও অনুভবের সূক্ষ্ম রন্ধ্রপথে সেখানে একবার প্রবেশ করতে পারলেই নির্জন সে জগতে ভিন্নতর রসাস্বাদনের পরম সুযোগ পান।
কবি কবিতা লেখেন শুধুমাত্র নিজের জন্য। বিশ্বসংসারে কারুর কাছে তাঁর কোন দায় নেই। দায় যেটুকু, শুধু তাঁর নিজের অন্তরের কাছে। কবিতা সেই অর্থে আত্মার স্ফূর্তি। সেই স্ফূর্তি শুধু আনন্দের হিল্লোল মাত্র নয়, আনন্দ-বেদনার আশ্চর্য মিশেলে গড়া। জাগতিক আনন্দের অন্তর্ভূক্তি যেমন কবিতার অঙ্গ হয়ে ওঠে , তেমনি জীবন-নিঃসৃত ক্লেদটুকুও কবি-মনে বেদনার এক বালুচড়া গড়ে তোলে। জ্ঞান মর্মব্যথার উপশম ঘটায়। কবি সেই জ্ঞান তাপস। কবির আত্মগত জ্ঞান-নিঃসৃত আনন্দ লহরে বেদনার সে চড়া প্রতি নিয়ত ভেঙে পরমানন্দের বেলাভূমি হয়ে প্রতিভাত হয়। কবি সেই বেলাভূমির আলোকদাতা, সূর্য।
সুতরাং কবি কবিতা লেখেন অন্তর্মুখী নিভৃত এক আত্মসুখের অভীপ্সায়।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..