আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
বিয়েবাড়ি। চারদিকে বিমর্ষ চোখ
সাদা শাড়ি পরে
কনে চলে যাচ্ছে স্বামীর কাছে
খাঁজকাটা বাসরঘরে।
ট্রাকভর্তি তরমুজ
শহরে
বাজারজাত হচ্ছে মাটির লাল কষ্ট।
রোদের কাছে লাল রঙ হারিয়ে
সমুদ্রে নেমে
লাল কাঁকড়া
ঘুরিয়ে দিচ্ছে জলঘড়ির কাঁটা।
গ্যাসের চুলায় দুধ গরম হচ্ছে
কিছুক্ষণ পর
গিয়ে দেখি
পাতিল নিজেই সব দুধ খেয়ে বসে আছে।
মশাদের স্প্রে করলে
ঘরময় পড়ে থাকে সন্ধ্যার লাশ
রাতের খোঁজে
দিনের টেলকম পাউডার থেকে বেরিয়ে আসা গুইসাপ
খেয়ে ফেলে মৃত সন্ধ্যা।
চোখের ভেতরে
একটা শাদা মুড়ি ঢুকলো
সব জল খেয়ে
উড়ে গেল পাখিদের সাথে।
চৈত্রের উঠোনে
ঠাসা স্তন ঝুলিয়ে দৌড়াদৌড়ি করে আমগাছ
বোটাই হাত রেখে
মাদুরের মত
রাত বিছিয়ে শুয়ে থাকে বাদুড়।
খেলনাঘর থেকে
হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে একটি রাস্তা
আমার হাতে দড়িতে বাঁধা
নারকেলের গোদায় বানানো মহিষ
ঘাসের মত চিবিয়ে খাচ্ছে সেই রাস্তাকে।
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..