দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
তর্জমা
স্নানে শুচি হবার পর
বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নীচে
দোলনা চেয়ারে ছড়িয়ে বসা
কিছুটা সুদূর নিয়ে, কিছুটা পরাভবও
দিনের সমস্ত হার হাড়মজ্জা থেকে বেরিয়ে
আকাশগঙ্গায় প্রবাহিত হলে নতুন পদবি গায়ে মাখি
এই সময়টা অবকাশনামার মত রয়ে যায়
এই সময়টা আমি ঝরাপাতার ভঙ্গিতে
তোমার দিকে ঝরে পড়ি
তুমি কুড়িয়ে নাও নয়তো ফেলে রাখো আমাকে একা একা
চাপ চাপ অন্ধকার
পাথরে লেগে
তর্জমা হতে থাকি বারংবার।
কূপমণ্ডূক
ক)
চাইলেও নিশ্চুপ থাকা যায় না
হাতেধরা কলমে উসখুস কেবলি
জৌলুস মিথ্যের দেয়াল লিখনে
পাশ দিয়ে যেতে যেতে গা-গোলানো বমিভাব …
খ)
বৃষ্টিখেলা দোষের নয়,পরকীয়াও …
দুটোই ঘর্মাক্ত কলেবরে ঘটি ঘটি শান্তিবারি
মাদারিও খেল দেখিয়ে ঘর্মাক্ত যখন
কূপমণ্ডূক বাঁদরদুটোকে আলগা দেয় দড়ি টেনে
সময়টা বিকেল
ধীরে ধীরে নৌকা ও কাঠ … জলে
ভেসে যাওয়া উজানের ফুল
হাঁড়িতে ভাসিয়ে দেওয়া কন্যাসন্তান ,কত স্নেহের নুন
নদীজলে!
ভাঁটির কুয়াশায় মিলিয়ে যায় সব।
গৃহস্থের বেপাত্তা হাঁস ফেরে না, হারানো মেষ
তন্নতন্ন করে খুঁজেও…
আয় তু তু’ ডাকের
বিকেল সময়টা
থমকে থাকে বিষাদে!
২
আলো ম্লান,গল্প ম্লান
গোধূলির ভীড়ে…… আলোছাটা সূর্যাস্ত
প্রতিদিন ঝড়ের শৈলীতে ভারি তাণ্ডব নিয়ে আসে,
যাবতীয় অজ্ঞাতবাস উড়িয়ে ফেলেই শান্তি
আমিও ঝুড়ি ভরতে থাকি আহত ফুলে,
ছোট-বড় বিস্তর শিল
আঘাতের মত
মধ্যমেয়াদি
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..