দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
দেওয়া-নেওয়া করেই পেরিয়ে গেল
গড়পড়তা জীবন।
হিসেবী মন চার দেওয়ালের বাইরে
বেরোতে আর পারল কই!
ঘরের বাইরে যে পৃথিবী সে তো
অদেখাই থেকে গেল।
ক্ষণিক বসন্তের দ্রাঘিমায়
পাতাঝরা বিকালের ঘ্রাণ।
পর্ণমোচী বিলাপের নিচে
ফোটা ফোটা ঘামের ভেতর
ফুটে ওঠে মৌলিক অক্ষর।
চোখে যে আগুন জ্বলে সেখানে কোন আলো নেই
চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে স্পিলিন্টার
জায়গা দখলের লড়াই।
উত্তাপে সেঁকে নিচ্ছি
আমাদের শীতল শরীর।
আগুনের ভেতর জন্ম নেই
আমাদেরই বংশধর।
হামাগুড়ি দিয়ে দেখে আধপোড়া পৃথিবী।
পলাশ নিজেই রাঙিয়ে দেয় আকাশ
তোমার দাক্ষিণ্য সে কোনদিনই চায় নি ।
শুকনো পাতায় যখন ক্লোরোফিলের টান পড়ে
পুড়তে পুড়তেই সাজিয়ে দেয় বসন্তের কার্পেট।
ব্যারিকেড ভেঙে যত এগিয়েছি
সুদৃশ্য ঘরগুলি জ্বলে উঠেছে দাউ দাউ।
গাঢ় লাল উঠে যেতেই
ফ্যাকাশে ঠোঁটের বুরুশ
মুছে গেছে চুম্বনের দাগ
ডাগর বোটায় চিন্ চিন্ ব্যথা
ফাটা দেওয়াল বেয়ে মেঘভাঙা জল
তারাখসা রাতে ঝুপ্ করে নামে আঁধার
পোড়োবাড়ির উঠোন জুড়ে ।
সেই কবে গাঙুড়ের জলে ভেসেছিল ভেলা
ডুবে গেছে চাঁদের সপ্তডিঙা
সহবাসের বিভূতি নিয়ে মনে হয়
আজও কেউ দাড় টানে বিষণ্ণ নদীজলে
মউল বাতাস পর্ণমোচী পাতার কানে কানে
শুনিয়ে যায় কিশলয় সুরধ্বনি
গাঙুড়ের অশ্রুস্রোতে যেদিন উঠেছিল তুফান
তেমন করে কোন সে নদী কেঁপেছিল অশ্রুসায়রে!
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..