হাল
সুখানুভূতি সুখানুভূতি মেরে এনেছে।মাল খাওয়ার পরে। এদিকে টাল খাচ্ছে হাওয়া।উড়ে যাচ্ছে আমপাতা।ইমামবড়ার ভক্তিপূর্ণ আবহাওয়া। আমরা…..
আমার মনের ঘরে
একান্ত ইচ্ছাগুলো আর গোপন থাকছে না,
না বলা ভাবনাগুলোও অজান্তে পাঁচ কান হয়ে যায়।
সেদিন খুব কেক খেতে ইচ্ছা হল,
সন্ধ্যায় কলিংবেল শুনে দরজা খুলে দেখি,
নিচের তলার প্রতিবেশী এসেছেন,
হাতে একটির উপরে আর একটি প্লেট ঢাকা,
আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললেন,
‘আজ একটু কেক বানিয়েছিলাম,
আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম’।
আমি বাকরুদ্ধ হয়ে হাত বাড়াই।
এই যে দিনের পর রাত
আর রাতের পর দিন, একই নিয়মে বাঁধা,
দিনকয়েক কোথাও ঘুরে এলে হয় না?
এমন ভাবতে ভাবতে মোবাইলে ভেসে এল
একগুচ্ছ বেড়ানোর ঠিকানা,
অজস্র সুবিধা, অনন্ত আরাম
আর আশ্চর্য আনন্দের হদিশ নিয়ে।
দেওয়ালেরও কান আছে জানতাম,
কিন্তু বেহুলার বাসরের মতো মনেরও যে ছিদ্রপথ আছে
তা কখনও নজরে আসেনি,
এখন আমার মনে ভেসে আসা কবিতার লাইন
আমার আগেই লিখে ফেলবে অন্য কেউ,
মনশ্চক্ষে ফুটে উঠল কোন মুখ
তা আর গোপন থাকবে না,
আমার ভালোবাসা, আমার ঘৃণা
রাষ্ট্র হয়ে যাবে আমার অজান্তেই।
ভালো হোক, মন্দ হোক
আমার মনের ঘরে কতজন যে বসত করে
আমি তার কিছুই জানি না।
পারাপার
এত কাছে গিয়েও আমি সমুদ্রে নামিনি
উত্তাল ঢেউগুলি যেখানে এসে মিলিয়ে যাচ্ছে
সেখানে একটু হাত রেখেছি মাত্র।
পাহাড়ের কাছে গিয়েও আমি পাহাড়ে উঠিনি,
পাথরের শেষ খণ্ডটি যেখানে সমতল ছুঁয়েছে
সেখানে দাঁড়িয়ে তাকে স্পর্শ করেছি।
আমি পাহাড় আর সমুদ্রের মাঝে
একটি খরস্রোতা নদী চেয়েছিলাম,
আমি সেই নদীর ওপারে যেতে চেয়েছিলাম।
দেখা হলে
যেদিন আবার কোথাও দেখা হবে
সেদিন উঠোনের কোনে
অনেকগুলি ফুল ফুটবে।
দুপুরের ঝড় থেমে গেলে
এরকমই বলেছিলে তুমি।
তারপর তোমার সঙ্গে
দেখা হয়েছে অনেকবার,
কখনও মোহনায়
কখনও মাঝ-নদীতে
কখনও চাদরের নকশায়।
উঠোনের কোনে ফুল ফুটেছে কিনা
কেউ খেয়াল রাখিনি।
সুখানুভূতি সুখানুভূতি মেরে এনেছে।মাল খাওয়ার পরে। এদিকে টাল খাচ্ছে হাওয়া।উড়ে যাচ্ছে আমপাতা।ইমামবড়ার ভক্তিপূর্ণ আবহাওয়া। আমরা…..
আমার ধ্বসে যাওয়া কাদামাটি দিয়ে তুমি গড়ে নিলে তোমার নতুন ঘরের স্তম্ভ আমার স্বপ্নের…..
নিজেদের ভেঙে পড়া ঝনঝনানি শব্দে প্রতিটি ভোর হয়। ভাঙা টুকরোগুলো নতুন অবয়বে জুড়ে দেয়ার…..
অচেনা আমি হতাশার নোনাজল ঢেউ খেলে হৃদয়ের আঙিনায়। ভাঙনের সুর মাতাল অগ্নি ঝরা সায়াহ্নে আঁধার…..