বেশরম
বেশরম কি কঠিন ছিলো, ডুব সাঁতারের রুদ্ধ দম তোমাকে ভুলেছি ঠিক এক বেশরম- আবার পড়েছি…..
বুকের ভিতর চুপি চুপি আসবে যাবে
বাইরে কোথাও চিহ্ন কিছু পাবেনা তার
ঘরের কোণায় কিম্বা চেনা সে আসবাবে
হাত বুলিয়ে বুঝতে হবে যা বুঝবার।
এমনই কি চুক্তি ছিল না-লিখিত,
ছোটবেলার স্মৃতি সকল এতই ভারি?
তাহলে তো জ্ঞানী কিম্বা অশিক্ষিত
কেউ বোঝেনি কোনটা শখের দোকানদারি।
হাওয়া দিলেই গাছের পাতা এমনি নড়ে
তাই দেখে কি ভয়ের কোন গন্ধ পেলে?
অনেক ফাগুন কেটেছে এমন বিকেল-ঝড়ে
আবার সবই স্থির হয়েছে সন্ধ্যা এলে।
কেউ জানিনা মুঠোয় ধরা সোনা না ধুলো
নিজের মনে ভাবনাগুলো তৈরি করি
এমন যদি হবেই তবে সেদিনগুলো
কেনই বা আর মায়ার টানে আঁকড়ে ধরি!
কান্নার চোরাবালি যখন গিলে খায়,
স্বপ্নমৃত্যু ঘটে, ক্ষত থেকে রক্ত ঝরে,
যখন দাপুটে দস্যুরা সব সত্যগুলি উলটে দেয়,
তখন ছুটে আসতে হয় সেই কবিতার কাছেই।
এরকম দুঃসময়ে কে না অশান্ত হয় বল?
কতদিকে জমে ওঠে ঘৃণার জঞ্জাল,
কেউ কেউ আগুন লাগিয়ে বলে ‘জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে যাও’।
কখনো বা ঠিকানা হারানো মানুষের মতো ভাবি
দিশাহীন এই জনপদে কবিতা কোথায় আর!
অবিশ্বাস স্থায়ী হয়না। কবিতা সামনে এসে হাত ধরে,
টেনে তোলে, রক্ত মুছে দেয়। বলে, ঘাড় তোল,
চলো পথ ভাঙি, আর একটি হাত ধরলে
বঞ্চনার বেনোজল সহজেই রুখে দিতে পার।
ইচ্ছেগুলো পাথর হয়ে জমে ছিল চোখের আড়ালে,
এরকম হলে আমি তোমার কাছে যাই।
তুমি বললে, দাও, ভেঙে দিয়ে ফুল ফোটাই,
আমি ইচ্ছেগুলো তোমার হাতে তুলে দিলাম।
জামা খুলে রাখার মতো পাশে রাখলাম একটি কবিতার লাইন
যেই পাথরগুলো তোমার হাতে টুকরো হতে হতে ফুল হয়ে গেল
তেমনি কবিতার লাইনগুলি বাড়তে বাড়তে ঘিরে ফেললো আমাকে।
তুমি, না কবিতা, কার কাছে নিজেকে অর্পণ করবো
এই দ্বন্দ্বে আমার ইচ্ছেগুলি আবার পাথর হয়ে গেল।
বেশরম কি কঠিন ছিলো, ডুব সাঁতারের রুদ্ধ দম তোমাকে ভুলেছি ঠিক এক বেশরম- আবার পড়েছি…..
একি অনাসৃষ্টি নিত্য পণ্য উর্ধ দাম মন তার ভালো নেই, বাজারেতে যেতে যে হবে…..
পাশের রাস্তাতে তিন জন্মের লাশ ; অনিয়মহীন এভাবেই একক অপার্থিব অশরীর ৷ উল্টোদিকে আমি…..
পাষাণের প্রেম বিকট স্তব্ধতায় সুনিপুণ সীমানা প্রাচীর তুলেছ, বেসামাল ভালোবাসার জাগতিক জায়নামাজে। প্রার্থনার গতিরোধ করো…..