যাযাবর
যাযাবর যাযাবরদের ছোঁড়া কাঠে আগুনও অসংযত,ঝড় উঠে ইত্যবসরে কিছু লবণ দানাও জমা পড়েছে… উদ্বাস্তু রোমে…..
বিতৃষ্ণা
অনেকদিন
প্রিয়জনের দেখা নেই
এত এত দিন-
মাঝে মাঝে
নামও মনে পড়ে না;
বিলুপ্ত নামক সময়ের হিংস্র ফণা
অহেতুক ছোবল দ্যায়
সকাল,দুপুর, সন্ধ্যায়
পরিচিত-জনেরা
আর পরিচিত থাকে না-
ভুলে যাওয়ার মত একটানা
জ্ঞানে ও অজ্ঞানে
অনেকেই একপেশে অচেনা
মনেহয়
নগরনটীর ন্যায়
নির্মোহ দিন
আনন্দহীন
একবিন্দু জীবনের কাছাকাছি
কাত হয়ে বেঁচে আছি
এখন আর জীবন চাচ্ছি না
চাচ্ছি
মেঘ আর রোদের স্বান্তনা।।
মায়াবতী এবং নৃশংসতা
প্রতীক্ষার হাঁড়ে ও মজ্জায়
মদিরার মত মিশে যায়
সময়ের কোন মায়াবতী
পিছুটানহীন স্বভাব ছিঁড়ে
সম্প্রতি
এলেবেলে দিন কাঁটায়
অসন্তুষ্ট রাস্তায়-
বিহ্বলতার আনাচে-কানাচে
প্রত্যাশার পৌরনীতি
স্মৃতি কেনে, প্রত্যাশা বেঁচে-
সন্তুষ্টির সীমানায়
নিষ্পলক তাকিয়ে দেখে-
জবুথবু হাওয়ায়
গৃহকোণে
সিদ্ধান্তহীন মাকড়শা
বিষাদের মত একাকী
কৈশোরের অবিশ্বাসে ঝুলে-
অভ্যাসের মর্মমূলে
অন্ধ জোনাকি
চাতকের গ্রীবায় বসে থাকে;
বয়সী নর্তকীর চারদিকে
হালাকু খানের ঘোড়া দৌড়ায়
নির্বিকার নৃশংসতায়
তুমিহীন শহরে
প্রতিদনই অস্বস্তিকর
জীবন যাপনের ভেতর
দ্বিধার বিভ্রান্ত স্বপ্নগুলি
ঘিরে ধরে
প্রত্যাশার অঞ্জলি
ক্লান্তির অসম্পন্ন দরোজায়-
ভালো থাকাগুলো
উম্মেষে ফিরে যায়
শৈশব বন্ধুদের মুখ
দূরত্বের নির্দয় অসুখ
কর্কশ মধ্যাহ্নে শেষে
ত্রস্ত দৌড়ায় উর্ধ্বশ্বাসে
হঠাৎ আবার
ফিনিক্স হয়ে উড়ে
তুমিহীন শহরে–
বৃষ্টিভেজা জীবন
মেঘহীন হাওয়ায়
উড়ে যায়
গোধূলির গাংচিল,
বিশ্বাসের বর্ণিল
কাঠবিড়ালী চোখগুলো
বিদ্যুৎ চমক প্রহরে
গন্তব্য হারায়
জলের গহ্বরে।
সত্তাহীন একাকী ঘুরি
বিভ্রান্ত সময়ে পুরোপুরি
পাথরের মত
আলো-আঁধারিতে বিগত-
মধ্যরাতে করতলগত
বৃষ্টিভেজা জীবন-
বর্ষার কথা ভুলে যায়!!
যাযাবর যাযাবরদের ছোঁড়া কাঠে আগুনও অসংযত,ঝড় উঠে ইত্যবসরে কিছু লবণ দানাও জমা পড়েছে… উদ্বাস্তু রোমে…..
কবি গো ওওও,আর যত গুণীজন কি দিয়ে পূজি তোমাদের চরণ আমি যে অভাগা জানি না…..
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..