তুমি আছো
অচেনা মুখের ভিড়ে সেই প্রিয় মুখ
অস্তিত্বে সঞ্জীবন আবেগের স্রোত
হাওয়ার মতো পিছু টানে আমায়
দু’মুঠো সুখের প্রত্যাশায় ক্ষণিকের মোহান্ধতা
মায়াবী চাহনিতে বিমোহিত হৃদয় মাঝে
অগ্নিশিখার স্ফুটনে দোলায়িত যৌবন
স্নেহের আশ্লেষ চুম্বনে পরাভূত কায়
অপেক্ষার প্রহরে ভালোবাসার মাপকাঠি
বড্ড ভালোবাসি তোমায়
অজান্তে না বলা কথাগুলো চিঠির ভাঁজে
প্রতিনিয়ত খুঁজে প্রিয় উত্তর—-
হয়তো পাবে কোন সমুদ্রের বালুকাবেলায়
একটুকরো মেঘের কোলে বৃষ্টি মাখায়
হয়তো বা জোৎস্নার আলোয় একঝাঁক তারার মেলায়
অমানিশায় কোন ছায়ার অবলোকনে
খুঁজে কি পাব তোমায় প্রিয়
বুকের ভেতরের গুমরে থাকা নিঃশ্বাস
অতৃপ্ত বাসনায় তোমার প্রতিটি অস্তিত্ব
আজও ভুলত্রুটির মাশুলে ফিরে পাওয়ার আক্ষেপ
ফিরে এসো প্রিয়—‐,
বর্ষাকাল
তমসাচ্ছন্ন নিসর্গে অঝোরে বর্ষণ,
বিদ্যুতের ঝলকানি আঁধারে মেঘাড়ম্বর।
চারিদিকে নিস্তব্ধতা আতঙ্কে উত্থাপন,
বারিধারা অবিরত দূর্বিসহ রাত দিনভর।
নিসর্গে নবরূপ বৃষ্টিতে ভরপুর,
কদম কেয়া ফোটে শাখায় শাখায়।
ব্যাঙের পায়ে ঘুঙুর বৃষ্টি ধারায় সুর,
ভালোবাসা ঢেউ খেলে কলাপাতায়।
রিনিঝিনি পায়ে কিশোরীর সুরের ঝংকার,
সূর্য লুকায় আড়ালে বর্ষা রানী এলে।
কাদা জলে ছোঁড়াছুঁড়ি মেঘে ছায়া অন্ধকার,
কদম শাপলা শালুক দোলে সুখ মেলে।
কামিনী হিজল হাসে মৌন নীলের ইশারায়,
বকুল জারুল কেয়া সুরভিত মুগ্ধতায় ভাসে।
কাঠফাটা রোদ্দুরে বর্ষা রানী আবেশ ছড়ায়,
শ্রাবণের বৃষ্টিধারায় সজীবতায় তরুলতা হাসে।
নদী নালা বিলে জলে টইটম্বুর,
অধিক বর্ষণে কষ্টের সীমানা নদী ভাঙ্গন।
বৃষ্টিস্নানে আলতা রাঙা পায়ে কিশোরীর নুপুর,
ভাসমান জীবনে পাহাড় ধসে দুর্ভোগের কারণ।