তুমি যদি 

ওয়াহিদার হোসেন
কবিতা
Bengali
তুমি যদি 

চিরস্থায়ী 

ঢেউ ভাঙতে ভাঙতে এগোলাম

এখানে কুয়াশা আর বন্দর যেন নিস্তব্ধ

নোঙর তুলে নিচ্ছে পরিযায়ী পাখি

আকাশে জানুয়ারি ফেব্রুয়ারির মেঘ

উপত্যকা জুড়ে জলোচ্ছ্বাস ঢেউয়ের মাতম

দূরের পাহাড়।। জেলে ডিঙি সব অপসৃয়মান কুয়াশায় তবুও দৃশ্যমান

আমি তোমাকে বলতে চাইছিলাম

আমার ডানায় ডানা রাখো এই উষ্ণতা চিরস্থায়ী হোক

দ্বিতীয় বর্ষা 

দ্বিতীয় বর্ষা এলো
নাজুক হাতের উপর মেহেন্দির কারুকাজ

কোথাও গর্জে উঠছে ইয়াস
বর্ষা এলো

লেবুর গন্ধময় বর্ষা

আমাদের প্রিয় ঋতু
আমাদের দ্বিতীয় বর্ষা

 

তুমি যদি 

তুমি যদি রোদে ভিজতে চাও
পাহারা বাড়াও

গ্রাম আর নদীর কিনার
চেনা হয়ে গেছে।সদ্য পারাপার

পায়েতে শিশির মেখে নিয়ে
হাঁটো। যতটা আসতে পারো গিয়ে

এসময় ভীষণ চঞ্চল
উতরোল ঢেউ আর জল

তুমি মাখো চোখে মুখে রোদ
দখিনা বাতাস এসে বাজায় সরোদ

 

স্নানের কবিতা 

জলছবি আঁকছে কেউ
ভিজেছে আঙুল

সদ্য শিখেছে স্নান
টিয়াপাখি। ভিজেছে তুমুল

অথবা সে বন্ধুদের সাথে
চলে গেছে দূরে কোনো গ্রামে

শহর রেখেছে মনে
টিয়াপাখি। স্রোত এসে থামে

আনন্দ পেয়েছে তারা
পেয়েছে বয়সের স্বাদ

দুজনে ভিজেছে তারা নীলজলে
ভেসে গেছে প্রাচীন প্রবাদ

 

নীল রঙের ভোর

দূরে ভোর হচ্ছে

নীল রঙের ভোর

আমার ঘুম আসছে না

দ্বিতীয় বর্ষা এলো বলে

দূরে কোথাও ভেসে যাচ্ছে

সমস্ত দুঃখের পসরা

যুবকের নীল রঙের ভোর

ওয়াহিদার হোসেন। কবি। জন্ম ১৯৮৬, ভারতের পশ্চিমবঙ্গরাজ্যের আলিপুরদুয়ার জেলার দক্ষিণ খয়েরবাড়ি রাঙ্গালিবাজনায়। লেখাপড়া করেছেন ইংরেজি সাহিত্যে। পেশাগত জীবনে তিনি একজন শিক্ষক। চাকরি করছেন ডুয়ার্সের এক প্রত্যন্ত চা বাগানের প্রাথমিক স্কুলে। প্রকাশিত বই: 'মধ্যরাতের দোজখ যাপন' (কাব্যগ্রন্থ, ২০১৩) এবং 'পরিন্দা' (কাব্যগ্রন্থ,...

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..