তুলে রাখা কিছু ছেলেবেলা (পর্ব ৪)

সাঈদা মিমি
নন ফিকশন
Bengali
তুলে রাখা কিছু ছেলেবেলা (পর্ব ৪)

আগের পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন (পর্ব ৩)

ইছামতি খরস্রোতা নয়

ইছামতী নদীতে আব্বা আমাকে সাঁতার শিখিয়েছেন। কলাগাছের বাকল ধরে সাঁতরাতাম। জলে ডুবে যেতে যেতে, জল গিলে গিলে সাঁতার শিখেই গেলাম। এরপর আর থেমে থাকার বালাই নেই। সূযোগ পেলেই জলে নেমে পড়ি। গ্রীষ্মে তেমন স্রোত নেই, বর্ষা এলেই তোলপাড় করা অন্ত্যস্রোতের ডাক। আমার মামাতো, খালাতো ভাইবোন ছিলো অনেক। মামাতো বোন জাহানারা, মিনারা, পপি। ভাই আকতার, সোহরাব, শিমু। এই মূহুর্তে ওদের কথাই মনে পড়ছে খুব। সোহরাবকে আমরা ডাকতাম চেরাইলা। আমরা মানে গাঁয়ের সবাই। ওর সারাদেহে হাড্ডি ছাড়া কিছুই ছিলো না। চামড়ায় জড়ানো হাড্ডি। ও খেতে পারতো এবং অনেক খেতো। বিচিত্র কারণে ওর শরীরে মাংশ লাগতো না।মুরুব্বীরা বলতো, খায় লয় হাড়ে চোষে, বাড়ে না ওর কর্মদোষে। যত যাই হোক, চেরাইলার সাথে আমরা কখনো মারামারি করতাম না। যা শক্ত হাড্ডি ওর!

কিছুদিন আগে চেরাইলার সাথে দেখা। আমি চিনতেই পারিনি। এখনও ওর নামটা সেই চেরাইলা আছে। কিন্তু সোহরাব সেইরকম হাড্ডিসার নেই। নাদুস নুদুস আর গোলাকার হয়ে গেছে। বৌ বাচ্চা নিয়ে এসেছে একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে। আমিও সেই আসরে গিয়েছি। অনেকটা সময় গল্প শেষে জিজ্ঞেস করলাম, এখনও আগের মতন প্রেমকুমার আছিস? অমনি লাল হয়ে গেলো চেরাইলা। অই, আমার ইজ্জত নিয়া টান পারিস না। আমার বৌ কিন্তু কিছু জানেনা। জানলে আমি শ্যাষ। নাহ, চেরাইলাকে বিপদে ফেলা যাবে না। আসলে ঘটনাগুলো এতো জ্বলজ্বল করছিলো যে, হাসি চেপে রাখা সম্ভব হচ্ছিলো না।

চেরাইলা মিয়া বাড়ির ছেলে। তখনকার কথা বলছি যখন আমি ক্লাস থ্রিতে পড়ি মাত্র। চেরাইলা পড়ে সেভেনে। মিয়ারা জাতে ওঠা মানুষ। স্বভাবতই, কৃষক শ্রেণীর মানুষদেরকে তারা গন্যই করতো না। মিয়াদের ক্ষেত চাষ করতো বর্গা কৃষকেরা। তাদেরকে বলা হতো গেরস্ত। গেরস্তদের ছেলেমেয়েদের বেশি পড়াশোনা পছন্দ করতো না মিয়ারা। আর মিয়াদের কি বলবো, গেরস্তেরাও চাইতো না, তাদের ছেলে মেয়েরা পড়াশোনা করুক। তারচেয়ে ক্ষেতে কাজ করলে বেশি উপকার হবে। আর গেরস্ত ঘরের মেয়েদের এগারো থেকে বারো বছর বয়সের মধ্যেই বিয়ে দিয়ে দেয়া হয়ে যেতো। এসব নিয়ে কি যে অস্বস্তি হতো আমার যা বলার ভাষা নেই। তো এমনি এক গেরস্ত ঘরের মেয়ের প্রেমে পড়ে গেলো চেরাইলা।

চেরাইলার বয়স পনেরো, মেয়েটি, যার নাম জবা তার বয়স এগারো হবে হয়তো! এই বয়সে যে প্রেম হয়, তাই আমার জানা ছিলো না। এদের ধুন্ধুমার প্রেমের কেচ্ছা সারা গ্রামে রটে গেলো! কেউ বিশ্বাস না করলে পরীক্ষা করে দেখুন, গ্রামের প্রকৃতি যতটা উদার, মানুষ ততটাই রক্ষণশীল। আর কথার চর্চা গ্রামে খুব বেশি হয়। একবার আমার এক মামাতো ভাই জামান বেড়াতে এসেছিলো ঝিটকা গ্রাম থেকে। দাড়িয়াবান্ধা খেলার সময় ফাজিলটা আমার বেনী ধরে টান দিয়েছিল। তখন পড়ি ক্লাস ফাইভে। সেই দৃশ্য দেখেছিল মায়ের মামাতো ভাইয়ের বৌ। আর যায় কোথায়! মা কে এসে কিসব নোংরা কথা যে বলে গেলো। মা কষে বকা দিলেন আমাকে। ঠিকমতো চলতে পারিস না? আলোর বৌ কিসব বাজে কথা বলে গেলো! জামান চলে যাওয়ার পরে শান্তি এলো। ততদিনে আমার বরিশালে চলে আসার সময় হয়ে এসেছে।

এদিকে চেরাইলাকে নিয়ে তুমুল সমস্যা চলছে। জবাকে সে বিয়ে করবেই। জবাও চেরাইলাকে ছাড়া কিছু বোঝে না। বিশাল শালিস বসলো। সেখানে জবার বাপকে হুশিয়ার করে দেয়া হোলো। চেরাইলাকে দেয়া হলো প্রবল পিটুনি। পিটুনি খেয়ে চেরাইলার জ্বর এসে গেলো। চেরাইলার মায়ের নাম মায়া। তো মায়া খালাম্মার মেজাজ বেশিরভাগ সময় সপ্তমে চড়ে থাকে। গোটা সাত ছেলেমেয়ে নিয়ে তার অশান্তির শেষ নেই। তার ওপর চেরাইলার এহেন কীর্তিতে টং হয়ে ছিলেন তিনি। চেরাইলা বাসায় ফেরার পর আরও একদফা পিটুনি খেলো মায়া খলাম্মার হাতে। সে এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়লো যে তাকে নিয়ে যেতে হলো উথুলি হাসপাতালে। কি ঝঞ্জাট! তখনও ঘোনাপাড়া এক অজ পাড়াগাঁ। নৌকা ছাড়া আর কোনো বাহন নেই।

শিমু আর আমি চেরাইলার কষ্টে কাতর হই। শিমু তো প্রতিজ্ঞা করে ফেলে, বড় হলে সে অবস্থাপন্ন কোনো গেরস্তের মেয়ে বিয়ে করবে। অবশ্য শিমুর ইচ্ছা ছিলো অন্তত ছয়টা বিয়ে করার। সেটা হয়নি। একটাকে নিয়েই সে দিশাহারা। কাহিনী ঘন হলো চেরাইলার সুস্থ হয়ে উঠার পর। এক সন্ধ্যায় শিমুদের বাংলা ঘরের সামনে প্রবল হাউকাউ। অনেক মানুষ জমে গেছে। কে কি বলছে বোঝার উপায় নেই। বাংলা ঘরের সামনে বিশাল এক আমগাছ। তার মগ ডালে চেরাইলা আর জবা বসে আছে। চেরাইলা হুমকি দিচ্ছে, জবার সঙ্গে তার বিয়ে না দেয়া হলে দু’জনে গাছ থেকে লাফিয়ে প্রান দেবে। এইরকম পরিস্থিতিতে মায়া খালাম্মা বাজখাঁই গলায় চেচিয়ে উঠলেন, মর তুই, দুরমুইশা খাচ্চর। লাফ দে। জনগন চুপ মেরে গেলো। একটু পর দেখা গেলো চেরাইলা আর জবা সুড়সুড় করা গাছ থেকে নেমে আসছে।

সেই সপ্তাহেই ইছামতীতে সাঁতার প্রতিযোগিতা হলো। আমরা তাতে অংশ নিলাম। চেরাইলা সাতঁরালো কম, গা ভাসালো বেশি। কিছুক্ষণ পর দেখা গেলো সে নদী ছাড়িয়ে খালে চলে গেছে আর হজার মায়ের ব্রীজের পিলারে আটকে আছে। ও আচ্ছা! তাহলে প্রেম ভালোবাসার ক্ষেত্রেও চেরাইলা শর্টকাট পন্থা অবলম্বন করে? আমাদের মাঝে হাসির হররা বয়ে গেলো। চেরাইলা এসব গায়েই মাখলো না। কেবল বললো, আমি ভাবছিলাম, ইছামতীতে স্রোত নাই! এহন তো দেহি তলে তলে অনেক স্রোত! হতচ্ছাড়া প্রেমকুমার চেরাইলা এতোদিনে জানলো যে ইছামতী অন্ত্যস্রোতা নদী!

মালুচি হাইস্কুলের সাইফুল ভাই

***

বছর শেষ হয়ে আসছে। শহরে শীত আসে দেরীতে। গায়ে কার্তিকের মাঝামাঝিতেই শীতের আগমনী বার্তা টের পাওয়া যায়। সামনে ফাইনাল পরীক্ষা। আমাদের খুব চাপ যাচ্ছে। আমার মেঝো মামা মালুচি প্রাইমারি স্কুলের সেকেন্ড টিচার। স্কুলে খুব কড়া। বাসায় নিরিহ মানুষ। অবিরাম মামীর ঝাড়ি খেতে খেতে আরও ভ্যাবলা হয়ে যাচ্ছেন। মামার ঘরের বারান্দায় সন্ধ্যার পরে আমরা পড়তে বসি। আমি, শিমু, জাহানারা, আকতার আর সাইফুল ভাই। আকতার আর জাহানারা ক্লাস টু। সাইফুল ভাই ম্যট্রিক দেবেন। দুর্দান্ত ছাত্র! নিঃসন্দেহে বোর্ডে স্ট্যান্ড করবেন। সাইফুল ভাইএর বাবা খুব কড়া মানুষ। আরিফুল মামু মানে সাইফুল ভাইয়ের বাবাকে আমি কোনোদিন হাসতে দেখেছি বলে মনে পড়ে না। সাইফুল তার একমাত্র ছেলে। তার ইচ্ছা ছেলে ডাক্তার হবে। সুতরাং সাইফুল ভাইকে ডাক্তার হতেই হবে। আরিফুল মামুর তিন মেয়ে। সবার বিয়ে হয়ে গেছে। সাইফুল ভাই ঘরের ছোট ছেলে।

একটা কথা আমার বেশ মনে পড়ে অথবা ছবিগুলো চোখে ভাসে। সাইফুল ভাইকে আমরা কখনো আমাদের পিকনিক, পারিবারিক অনুষ্ঠানে পাইনি। তার কাজ হলো পড়া, পড়া এবং পড়া। আরিফুল মামু মাঝে মাঝে অমানুষের মতো পেটাতেন সাইফুল ভাইকে। পড়া বাদ দিয়ে ফুটবল খেলা দেখার অপরাধে। মামানি আম্মা খুব কাঁদতেন একমাত্র ছেলেটার জন্য। মামার সাথে পেরে উঠতেন না তিনি। উল্টোপাল্ট হলে মামানি আম্মাকেও পেটাতেন মামা। কি যে বাজে লাগতো! মামার এক গোঁ, ছেলে ডাক্তার হবে। তা, আর কেউ কি ডাক্তার হচ্ছে না! সবকিছুতে এতো বাড়াবাড়ি কেনো? আরিফুল মামাকে এসব কথা কেউ বোঝাতে পারতো না। উল্টো গ্রামের মানুষ তাকে যমের মতো ভয় পেতো।

আমি আর শিমু খুব চিন্তায় আছি। ক্লাসে আমাদের তুখোড় প্রতিযোগিতা হয়। শিমুর রোল নাম্বার এক, আমার দুই। যতই টান থাকুক না কেনো, এই জায়গায় কেউ আপোষ করি না। আমার খুব রাগ লাগে প্রথম হতে পারি না বলে। নালিশ জানিয়ে মাকে চিঠি লিখি যে তার ভাই মানে আমার মামা আমাকে ক্লাসে প্রথম হতে দিচ্ছেন না। বড়ই হাস্যকর বিষয়! মামা কেনো এমন করবেন? এর মাঝে মমতার বিয়ে পাকাপাকি হয়ে যায়। ছেলে পাশের গ্রামের। অবস্থাপন্ন পরিবার। আমরা দলবেঁধে মমতাদের বাড়ি যাই। মমতাকে দেখে খুবই অবাক হই আমি। ও বড়দের মতো করে শাড়ি পরে আছে! কিভাবে সামলাচ্ছে সব! আবার অচেনা এক দুর্বোধ্য হাসি দেখতে পাই মমতার ঠোঁটে। এই মমতাকে আমি চিনি না! আমার ক্ষুদ্র মগজে বিচিত্র এক চিন্তা ঘুরতে থাকে। তবে কি বিয়ে মানুষকে বদলে দেয়? আমার ক্ষেত্রেও কি এমন হবে? এই ভাবনাটা আমার ভিতর চুড়ান্ত বিরক্তির উদ্রেক করে। আমি স্বিধান্ত নেই, কোনোদিন বিয়ে করবো না। মাসি মা মমতার বিয়েতে দাওয়াত দেন। সেটাতেও উপস্থিত হওয়ার উপায় নেই। রাত দেড়টায় বিয়ের লগ্ন, কিভাবে যাবো?

সেই ভাবনাটায় আমি অটল ছিলাম, বিয়ে না করার ভাবনা। শিক্ষা জীবন শেষ হওয়ার পর টুকটাক কাজ করেছি। পঁচিশ পার করেছিলাম ঘটা করে জন্মদিন পালনের মধ্য দিয়ে। ছাব্বিশে ধরা খেয়ে গেলাম। অবশ্য ধরা খাওয়ার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম বাইশ কি তেইশে। একটা অদম্য প্রেম এসেছিলো জীবনে। আমি জড়িয়ে পড়েছিলাম এক উম্মাদীয় বন্ধনে। বয়সটাই অমন। আমি নিজের কাছে করা ওয়াদা ভুলে গিয়েছিলাম। এক সুদর্শন যুবকের প্রেমে পড়েছিলাম। না, তার নামটা নিতে চাইনা। এতো বছর পরে তার জন্যে ভালোবাসা কিংবা ঘৃনা কোনটাই অনুভব করি না। কেবল একটা জিজ্ঞাসাই মনে আসে, আমাকে ছেড়ে যাবে এই কথাটা বললে কি হত? প্রেমিকের কাছে প্রতারিত হওয়ার পর এবং ঘরে ঘরে দম্পতিদের মাঝে নানা অশান্তি দেখার পর আমি বিয়ে না করার স্বিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু পরিবারের সদস্যদের সাথে লড়াই করে হেরে যাই।

একটা ভয়াবহ খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে, সাইফুল ভাই পাগল হয়ে গেছেন। কেনো এমন হলো? এস এস সি পরীক্ষার অল্প কিছুদিন বাকি মাত্র।কেবল সাইফুল ভাইয়ের বাবা মাই না,স্কুলের সব শিক্ষকেরা এমনকি সারা গ্রামের প্রত্যাশা তার প্রতি। মানিকগঞ্জ সদরে নিয়ে যাওয়া হলো তাকে, সেখান থেকে ঢাকা। আরিফুল মামা স্তব্ধ হয়ে গেছেন। সাইফুল ভাইয়ের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হোলো না। বরং তার পাগলামি বেড়ে এমন অবস্থা দাঁড়ালো যে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখতে হতো তাকে। সাংঘাতিক হিংস্র হয়ে উঠেছে সাইফুল ভাই। ডাব কাটার বড়ো দা নিয়ে একদিন তাড়া করেছিলো আরিফুল মামাকে।

অবস্থা এমন পর্যায়ে গেলে যে পুরো গ্রামই আতংকিত হয়ে পড়লো। কখন পাগল সাইফুল শেকল ভেঙ্গে কাকে আক্রমণ করে বসে! এসব নিয়ে বিচার সালিশ হয়ে গেলো। আরিফুল মামা স্বিদ্ধান্ত নিলেন একমাত্র ছেলেকে পাগলা গারদে রেখে আসার। যেদিন মামা সাইফুল ভাইকে নিয়ে যাবেন, তার আগের দিন রাতে পুকুরের পানিতে ডুবে মারা গেলো সাইফুল ভাই। কিভাবে শেকল ভাঙলো সে? সারা গ্রামে রটে গেলো, সাইফুল ভাইদের বাড়িতে খারাপ জ্বিনেরা ভর করেছে। কিছুদিন আগে জেনেছি, আরিফুল মামা মারা গেছেন। সাইফুল ভাই পাগল হয়ে যাওয়ার পর থেকে আমুল বদলে গিয়েছিলেন মামা। প্রায় একশ বছরের কোঠা ছুঁয়েছিলেন। আত্মহত্যা পাপ তাই স্বেচ্ছায় মরতে পারেননি। প্রতিদিন মরে মরে পার করেছেন সাধের জীবন।

চলবে…

সাঈদা মিমি। জন্ম ২৯ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৮। ছাত্রজীবন থেকে লেখালেখি শুরু। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ সব নিয়ে গ্যাছে এক সময়ের লুটেরা বাতাস ফারাও কুমারী একজন মৃতের ডায়েরী শুশুনিয়া পাহাড় ঔরঙ্গজেবের নীল ঘোড়া (গল্পগ্রন্থ) কীর্তনখোলা (প্রকাশিতব্য কাব্যগ্রন্থ) পেশাগত জীবনে একজন ফ্রি ল্যান্সার সাংবাদিক।

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

স্বাধীনতা মুছে দেয়নি ভাই হারানোর ব্যথা

স্বাধীনতা মুছে দেয়নি ভাই হারানোর ব্যথা

৭১ এর মুক্তিযোদ্ধের গল্প বাঙালি প্রত্যেক পরিবারের মধ্যে কিছুনাকিছু জানার ইতিহাস রয়েছে।তখনকার বাংলাদেশের সাড়ে সাত…..