বেশরম
বেশরম কি কঠিন ছিলো, ডুব সাঁতারের রুদ্ধ দম তোমাকে ভুলেছি ঠিক এক বেশরম- আবার পড়েছি…..
প্রাচীন সভ্যতা
নিমগাছের ডালে বসে থাকা কাকের কন্ঠস্বর
চিরে বেরিয়ে আসছে বুভুক্ষু পৃথিবীর আর্তনাদ
মহেঞ্জোদাড়ো ও হরপ্পার সভ্যতা
উঁকি দিয়ে যাচ্ছে বারবার
একটু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা সারমেয় তিনটির ঘাড়ে
গোটা পৃথিবীর ভার।
বন্ধ ঘরের দেওয়ালে দেওয়ালে
চঞ্চল কান্নার গান
ছুঁতে চায় দিগন্তরেখা
আজন্ম অভিমান
হারিয়ে যাচ্ছে রেকাবী চাঁদ
মায়ায় ঘেরা মায়াবী পুকুরের বাঁশঝাড়ের
ছায়ায় প্রতিবিম্বটি অবিনশ্বর।
স্রোতের টানে
অর্থহীন সকাল প্রশ্ন করে
ঘুম থেকে ডেকে তোলে
বলে ভালো আছো?
কেন নয়!আছে নাকি সংশয়!
প্রতিদিন ভোর হলে চোখে মুখে রঙ ধরে
আবীর ছুঁয়ে যায় কপালে
হাতের গোলাপি নখে
সমুদ্র বয়ে যায়
একে সুখ বলে!
অসুখ তো নয়
রোজ রাতে তারা ওঠে ফুল ফোটে
মাঠে মাঠে জ্যোৎস্না ছুঁয়ে যায়
সুমধুর কল্লোলিত বাতাস।
বিষাক্ত !তাতে কি!
মুখ ঢেকে হেসে হেসে
অপার প্রণয়বসে
খুঁজে দেখো ,অর্থ থাকবেই।
বাঁধ ভাঙার গান
সময় যখন সময়কে ছাড়িয়ে যায়
চোখ মেলে দেখি
চৌকাঠে পায়ের শব্দে কান পাতি
কোনো কোনো সকাল অন্ধকার রাতের নীরব চাহনি
কোনো কোনো বিকেল রাতের চেয়েও অভিমানী
লজ্জাবনত মুখের ঘোমটা খসা নারী
অপেক্ষার প্রহরায়
সময় সময়কে ছাড়িয়ে যায়
অকাল বর্ষণে ঐ শোনা যায় বাঁধ ভাঙার গান
আঁচলের খুঁট খুলে পড়ে
খুলে পড়ে বৃত্তের চাবি
ভেসে যায় মান-অভিমান।
তৃষ্ণা
মধুমঞ্জরী আলপনা হয়ে
ফুটে উঠেছে অলিন্দের গোপন স্ক্রিনে
ডাস্টার হাতে সদা সতর্ক প্রহরী
মুছে দিচ্ছে ঢেউ ওঠা শুভ্র শঙ্খ
ধ্বনিটুকু সঙ্গী করে বনেদি শিল্প
সৃষ্টি করেছে মন্দিরের গোপন গর্ভগৃহ।
বেশরম কি কঠিন ছিলো, ডুব সাঁতারের রুদ্ধ দম তোমাকে ভুলেছি ঠিক এক বেশরম- আবার পড়েছি…..
একি অনাসৃষ্টি নিত্য পণ্য উর্ধ দাম মন তার ভালো নেই, বাজারেতে যেতে যে হবে…..
পাশের রাস্তাতে তিন জন্মের লাশ ; অনিয়মহীন এভাবেই একক অপার্থিব অশরীর ৷ উল্টোদিকে আমি…..
পাষাণের প্রেম বিকট স্তব্ধতায় সুনিপুণ সীমানা প্রাচীর তুলেছ, বেসামাল ভালোবাসার জাগতিক জায়নামাজে। প্রার্থনার গতিরোধ করো…..