ঝরা শিউলি
এক মেয়েটা মুঠো মুঠো জ্যোৎস্না কুড়িয়ে অপরের মুখমন্ডলে চাঁদ দেখত। মানুষের উপকার করার ক্ষেত্রে,…..
কেউ তেঁতুল কে তেঁতুল বললেই রাগ হয়ে যায়।সে কি আর ছোটই আছে।সে অনেক বড় হয়েছে এখন ক্লাস টুতে পড়ে। তারপরেও মামা চাচা বড়বা সবাই রমজান সরকারকে তেতুল বলে ডাকে।এইতো কয়দিন আগে রমজানের বার্থডে গেল আব্বু ওকে বড় রেস্টুরেন্টে নিয়ে গেছিল।চিকেনের ভ্যারাইটিস আইটেমের মধ্যে চাপ আর বল খেয়েছিল। বার্গারও খুব ভালো লাগে।বার্গার এনে দেয় সানি মামা। সানি মামার গ্যারাজ আছে।যখনই আসে তখনই।
আজ কেন জানি রাহুল অন্যমনস্ক। যদিও ওদের মাঝেমধ্যে খুটখাট ঝামেলা হয়ই তবু প্রেমও ষোলো আনা আছে।আজকে দুজনে এসেছে বীরপাড়া ছেলের নতুন ক্লাসে ভর্তির আগে ওর জন্য কিছু কেনাকাটা করতে। বার্থডের দিনেও বড় সারপ্রাইজ পায়নি ছেলেটা।আজকে একটা সুন্দর ব্যাট কিনে দেবে ভাবছিলো রাহুল। সেইসঙ্গে নিজেদের জন্যও ছিলো মার্কেটিং। সাগরসঙ্গম হোটেলের টার্নিং নেওয়ার সময়ই নিভু সন্ধ্যার অন্ধকারে আলো ঝলক দিয়ে উঠলো।সাবানার শাড়িটা পিছলে গেল সিট থেকে। বাইক টা পড়ে যাচ্ছে……পিকাপ টা দ্রুত বেগে পালিয়ে গেল।ওভারটেক করার নেশায় পেছন থেকে মেরেছে বাইকে।ছিটকে পড়েছে রাহুল।পড়ার সময় বাঁহাত ফেলে শরীর আর কোনোরকমে হেলমেট পরা থাকায় মাথাকে বাঁচিয়েছে। এদিকে ব্লাউজ শাড়ি রক্তে ভেসে যাচ্ছে। অচৈতন্য হয়ে আছে একটি নারী শরীর। তার চিরপছন্দের সেই পিঙ্ক কালারের শাড়িটাতে। কদিন আগের বিবাহবার্ষিকীর উপহার দিয়েছিল রাহুল।কাপড়চোপড় আর দূরে দুমড়ে যাওয়া ব্যাটটা।যেটার জন্য বাইকে শাড়িটা সামলাতে সমস্যা হচ্ছিল সাবানার।
দিন পনেরো কেটে গেছে।রাহুলকে কদিন হল বাড়ি আনা হয়েছে।রাহুল আর কোনোদিনই নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে না।একটা পা ওইদিনের এক্সিডেন্টেই কাটা গেছিল।পরে বাদ দেওয়া হয়।তেঁতুল দাদুর কাছে খেলতে খেলতে ছুটে চলে আসে আব্বুর কাছে, ঘরে। বাইরে দাদো সফিকুল আর দাদি সায়রা নাতিকে নিয়ে খেলছিল।ঘরে ঢুকেই আব্বুর কাছে ছুটে যায় রমজান ওরফে তেঁতুল মিয়া।
আব্বুর কাটা পায়ের কাছে হাত দিয়ে বলে
“আব্বু মা’কে না খুব মনে পড়ে। মা’র মাথায় খুব লেগে মা’তো মরে গেছে তুমি কি আরেকটা মা আনবে? দাদু বলেছে!”
“তুমি শুধু আমাকে মা’র শাড়ি গুলো দিয়ে দিও।আমি সানি মামার সঙ্গে নানা বাড়ি চলে যাবো।ওই শাড়িগুলো কাপড়গুলো দেখলে আমার খুব কষ্ট হয়।তবু আমি ওগুলো নিয়ে যাবো,নতুন মা নাকি ওসব ফেলে দেবে?
তমালদা বলেছে আজকে ।তাই নিয়ে যাবো,ওগুলোতে যে আমার মায়ের গন্ধ আছে….”
এক মেয়েটা মুঠো মুঠো জ্যোৎস্না কুড়িয়ে অপরের মুখমন্ডলে চাঁদ দেখত। মানুষের উপকার করার ক্ষেত্রে,…..
শেষ থেকে শুরু। আমি রজকিনী রামী,ধোপার বংশে জন্ম আমার।ঘাটে সখিদের সঙ্গে কাপড় কাচি। একাজটা আমি…..
মালঞ্চার পথে ভোরবেলা। সূর্য সবে উঠছিল। বৈশালী দূর থেকে দেখতে পেল,বুনিয়াদপুর বাসস্ট্যান্ডে বালুরঘাটের দিকে মুখ…..
আমার বাবা ছিলেন অত্যন্ত সাহসী একজন লড়াকু মনের মানুষ।শত অভাব অভিযোগেও তাকে কোনোদিন ভেঙ্গে…..