দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
বিভ্রমের নাকফুল
ক্লান্ত শব্দাবলীতে ক্রমশ সন্ধ্যা নামে
বন্ধ্যা হয় বাক্য, ব্যর্থ কবিতা নির্মাণ;
অন্ধকার গ্রাস করে বর্ণের শরীর
ছন্দেরা খেয়েছে প্রেমিকের অভিজ্ঞান।
২
উপেক্ষা বাহুল্য শেখা হয়
এবং শিখি তার কাছে প্রত্যাখ্যানের ষোলকলা;
মনস্তাপ দূরে রেখে শুনি
কতটা বলতে হয়, কতটুকু রাখা যায় না বলা।
৩
আর কী শেখাতে পারে, কতটা থেকে যায় বাকি
কৌশলের সোনালী রঙে বিভ্রমের নাকফুল আঁকি;
নাকি উৎসবের ভিড়ে নাম লিখে ওড়াবো ফানুস
শব্দেরা কতটা ব্যর্থ হলে কাব্য হয়, জানুক মানুষ।
তোমাকে লিখে উঠতে পারিনি
তোমাকে লিখে উঠতে পারিনি যতটা উচিত ছিলো
কী আর করা, লিখতে গেলে আঙুল লাগে, লাগে দিলও
২
যতটুকু লিখেছি তারচেয়ে অনেক রয়েছে বাকি
বলো তো, এ ব্যর্থতা কেমন করে ঢাকি
৩
গালিব ছিলেন আশ্চর্য রকম সরল, পেরেছিলেন তাই
অন্ধকারে গালিবের ছায়া, ছোঁয়নি তোমার রোশনাই
মৃত নগরীর গান
আছি কী নেই, আয়না জুড়ে দৃশ্যহীন পারদ
বেড়ে উঠা ভয়, সত্তা ঘিরে রয় অদৃশ্য গারদ
২
মানুষেরা মৃত, নগরীতে একা জেগে রয়
মাতৃজঠর থেকে আসা আঁধার আর ভয়
৩
সাইরেন শোনা যায়, হঠাৎ চুপ হয় সব
সকল ফিসফাস, অশ্রু ও জলের অনুভব
৪
আকাশ দেখে খোলা দুচোখ, দৃশ্যত প্রাণহীন
জ্বীনেরা সেজেছে প্রভু, মারা গেছে আলাদিন
৫
বাতাসেরাও থেমে থাকে, রাস্তার সব বাতি লাল
চারিদিকে লাশেরা ঘুরে বেড়ায়, প্রাণের আকাল
৬
মৃত নগরীর গান, ভূতের কেত্তন শোনে রাত
শিশিরের অপেক্ষা সবুজ ঘাসে, আলোর প্রপাত
৭
আয়না ধরে না ছায়া, সে নগরের কথা বলে যাই
ছলাকলা সব আছে… নাগরিক বলে কিছু নাই
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..