শঙখচিল
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
তোমার অবস্থানটি অন্ধকার
আকাশে কালপুরুষের মত
কোন চলাচল নেই
মেলামেশায় গা ঘেঁসাঘেঁসি নেই
দুটি রেল স্টেশন যেভাবে
লম্বা লাইনে দিয়ে জোড়া
দুরত্বের সুচক বজায় রেখে
জুড়ে থাকো কোথাও
তুমুল চাহিদার বিনিময়ে
২.
সৌজন্যের
হাসি ছড়িয়ে তুমি
নেমে আসছ
চোখাচোখি হতেই
আলোয় ভরে গেল
চারপাশ
তুমি টেরই পেলে না
সেখানে নিমেষেই
কত উৎসব হল
৩.
অনেক দূর থেকে
ভিড়ের উৎসবে
তোমার বাড়িয়ে দেওয়া
স্পর্শ টের পাচ্ছি
আর খোলা দরজা দিয়ে
ঢুকে পড়ছে কিছু পরিযায়ী কথা
আর রঙচঙে ক্লাউন
৪.
তোমার না দেখার ভান
পাশ দিয়ে চলে যাওয়ার
আলোড়নের ঝড়
আবর্তিত হতে হতে আবর্তনের
কেন্দ্র হয়ে উঠছি
পরিধিরেখা চাঁপা ফুলে
সেজে উঠছে
৫.
সমস্ত ঝড় বিদ্যুৎ নিয়ে
উপত্যকা সেজে উঠলে
মেঘ সরিয়ে একমুঠো রোদ্দুর
ছড়িয়ে দিলে কেমন
সমস্ত প্রশ্নচিহ্নগুলি ধীরে ধীরে
হলুদ গোলাপের ভূমিকা
হয়ে উঠল
৬.
ঘুম আসা না আসার মাঝে
তোমার আসা যাওয়ায়
বিঘৎ দূরত্ব ছোঁয়া ঘের
জোনাকি রঙে সেজে ওঠা
নিশুতির ডাক
অবয়বের ঘনত্ব ভাঙে
যখন চমকে দুচোখ মেলি
শুধু গন্ধটুকু ফেলে গেছো
আভাসে ইঙ্গিতে
৭.
রোদের ডানার আদরে
যে আলোর সকাল সেখানে
ফুলের নরম বিন্যাস
ছেয়ে থাকা ছায়ায়
গভীরের কোন অসুখ
রয়ে গেল শোকছিন্ন পাতায়
অবশিষ্ট বেঁচে ওঠাগুলি
নিবিড় প্রশ্রয়ে তোমার
সব শব্দসাজ খুলে রেখে
কিছু জুড়োনো সকালের কথা
কিছু রাত্রিগন্ধে ডুবে থাকা ঘোর
শান্ত হয়ে রইল সব গায়ে গায়ে
৮.
উপসংহারে না হয়
একগোছা সাদা রজনীগন্ধা থাক
শুরু ও শেষের দ্যোতনায়
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
বুনো শুয়োরের উৎপাত, ধমনীর শিরায় এখনও নিবিড় ভাবে বয়ে যায় চেঙ্গিস-হিটলার-হালাকু খান। শরীর থেকে ধীরে…..
যতই আমায় বৃষ্টি বাদল স্বপ্নে এসে দেখা ; তোর মতো মিথ্যা বলতে পারবো না ……..
অপেক্ষার বৃক্ষ প্রতীক্ষার ফুল তন্দ্রাহতের মতো জেগে থাকি হাওয়ার পেরেকে একাকী এ-ফোঁড় ও-ফোঁড় দায়মুক্ত আয়ু…..