দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
পাষাণের প্রেম
বিকট স্তব্ধতায় সুনিপুণ সীমানা প্রাচীর তুলেছ,
বেসামাল ভালোবাসার জাগতিক জায়নামাজে।
প্রার্থনার গতিরোধ করো দাগী চোরের আইনে।
আরোপিত বিধানের ছকে বিবশ হই বিস্ময়ে।
এ-যেন দুয়ারে প্রস্তুুত পাষাণের পুলসিরাত;
একজীবনের যত গোপন আমলনামা হাতে।
আমার অস্ফুট ভালোবাসারা আগ্রাসী হয়ে ওঠে
তোমায় আরও ঘিরে ধরে তুমুলতর বিস্ফোরণে।
ভালোবাসা কি ইচ্ছে তুরুপ? ইসকাপন টেক্কা দেবে
পাষাণ মৃদঙ্গের বোলে ট্রাম করবে শেষ চালে?
হয়ত করতলে দেখনি নিবিড় প্রেম, জানোনি
হাজার বছরকার জটিল পৃথিবীর পাঁজরে;
মায়ার সুন্দরতম নদীটির নাম ভালোবাসা।
ডুবসাঁতারে জিতে নিতে হয় কসমিক হৃদয়।
তোমার জন্য
শূন্যতার বাঁকে নিবিড়ভাবে মিশে গেলে
কিছু প্রেম আর কিছু মায়ায়।
কল্যাণী সুরে বেঁধে নিতে হয়
অস্তিত্বের প্রতিজ্ঞায়;
জীবন ক্যাসিনোতে জিতে গেলে
এমন ভালোবাসার দায়,
না ছুঁয়েও বুকের গঙায় ডুবে থাকা যায়।
সহস্র কিলোর দূরত্বও আনতে পারে না
এক সুতোর অন্তরায়।
মধ্য বয়সেও স্কুলত্যাগী কিশোরীর মতো
নিজেকে লিখে দেয়া যায় আত্মঘোষণায়।
পোষা বেড়ালের মতো
পায়ে পায়ে পড়ে থাকা যায়।
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..