দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
চেনা পথ
আমি প্রতিনিয়তই হাঁটি
হাঁটতে হাঁটতে তোমার গন্তব্যে পৌঁছতে চেষ্টা করি
অথচ তুমি পথ দেখাও পেছনের
আমি পেছনেই হেঁটে চলি।
চলতে চলতে তোমার সমুখেই যাই।
তোমার অভিমান হয়, রাগ হয়
আমি বুঝি
কী করবো বলো?
আমার যে আর কোন পথ চেনা নেই।
তোমার নামের পরে
তুমি বৃষ্টি ভালোবাসো আমি জল
বেজেছিলো তালি এক নয় দু’করতল;
তারপর একমুখি চাঁদে এনেছিলে কান্না
আমি বলেছিলাম ভালোবাসা? আর না।
সেই থেকে রাত্রি নেমেছিলো বিকেলেই
চাঁদের আলোয় ছুঁয়েছিলো কালো মেঘ;
আমি এক শতাব্দীর পথ পাড়ি দিয়ে দেখি
বুকের পাঁজরে থরে থরে নির্জলা আবেগ।
আবেগ পুষেছিলাম একলা আকাশ রেখে
গ্রহণ লেগেছিলো পূর্ণিমাতেই… চাঁদে;
তোমায় ভালোবাসি আজও হয়নি বলা
এক অযুতকাল মিছিল প্রতিবাদে।
ভাংচুর মন নিজের কাছে গোপন অভিধান
তুচ্ছ নাজুক সস্তা খুবই সেটাও আমি জানি
এই যে আমি উদাস এমন তোমার নামের পরে
তুচ্ছ ভেবেই জানলে না তো কতটা অভিমানী।
কি এমন ক্ষতি হতো কার?
আমরা ক্রমশই দূর থেকে দূরবর্তী হচ্ছি
অথচ কাছে থাকার গভীর প্রত্যয় ছিলো
কথা না বলার মুহূর্তরা কী ভীষণ দয়াহীন।
যৎসামান্য চাওয়া মুখ থুবড়ে পরার নিমিত্তে
পথ হেঁটেছিলাম এক আলোকবর্ষ মাইল।
কী এমন ক্ষতি হতো কার?
এই ধরো বড়জোর পাশাপাশি হাঁটা,
মুখোমুখি বসা বা টঙের দোকানের এক কাপ চা।
এই ধরো অনিমেষ তাকিয়ে থাকা
বা কল্পনায় তোমার রাজ্যে বিচরণ
অথবা একটা ভালোবাসার গভীর চুম্বন
এর বেশি নয়তো।
এক অজস্র বর্ষণ শেষে মেঘমুক্ত আকাশ জানে
সূর্যের গভীর তেজ শেষে নির্মল সন্ধ্যা জানে
অন্ধকার রাত শেষে স্নিগ্ধ সকাল জানে
একটা ভালোবাসা বুকেই বেঁচে থাকে।
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..