প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
এই শহুরে রাস্তা-স্লেটের মতো
হুডতোলা রিকশার সন্ধ্যা আঁকে
ঠোঁটের মামলেটে জড়িয়ে যায়
-তরুণী,রোজ শরীর ফাঁটিয়ে ওড়ায়
ঊরু কাঁপানো স্নিগ্ধ প্রতিমার শরবত
তোমার সঙে দেখাদেখি করতে চায়-
প্রথম চুম্বনে ভালো লাগা সুড়সুড়ি-
জ্বর বাড়ানো অন্ধকার,জোড় শরীর
নিঃশব্দ মিউজিক বাজানো টলমল পৌরুষ
কোনোদিন ভোর কামনা করে না-
কেবল এইসব রাতে কোমল মাংসের
বুনোফুল-দু হাতে চটকাতে চটকাতে
মৌন কবিতার গর্ভজলে মিলাই সুদূর নগরী-
আমি আজ তোমাকে লিখতে বসেছি
তোমার স্তনের ভেতরে লুকানো
শাদা দুধ/ধান,বহু আগের সঙে পরিচিত
এখানে খুঁজে পাই সুঘ্রাণ লাবণ্য হাওয়া
নরম কোমরে গেঁথে যাওয়া বিষণ্ণ চুম্বন;
রোজ জ্বর আসে-মাসের অর্ধেক শেষে
প্রায় মৌন সন্ধ্যায়-ঋতুস্রাবের মতো;
আমার পলক জেগে ওঠে লাল চোখ নিয়ে
জবাফুলের উরুতলে পাপড়ির পেটিকোট
আক্রান্ত শৈশব হাতছানি দেয়-কেবল
কাতরাতে থাকি-কেউ বউ বউ খেলুক
শরীর ফাঁটা ব্যথা মরে যাবার আগে
আমার বুকের সবখানেই শাসন করবে
আইবুড়ো গোলাপের প্রাক্তন শরীর ছেঁড়ে
এই বিষণ্ণ চাওয়া দু’জনই বেদনায় ডুবি
গোপনে-সব পথ বন্ধ হলেও ঢুকে পড়ব
বিশুদ্ধ ব্রা মুদ্রার অপরপাশে,যোনি পথে-
একটি শালিক দিগন্ত ছেঁড়ে গেছে-আকাশে
সহজ ডানা ছিল বনজুড়ে,সন্ধ্যার আগে-
নগরে সন্ধ্যা চেয়েছি।জ্বরের আস্তর ভেঙে
স্নিগ্ধ শয্যা পাতাবো-ঋতুর ঝোপঝাড়ে
নেমে আসবে প্রণয় স্টেশন,কোথাও থামব না
কপালে চুমু রেখে পেরিয়ে যাবে নির্লজ্জ-
তোমরা যারা নিজেকে পোড়াও
অশ্লীল অনুবাদে ধোলাইখানায়-অস্থির চোখে
আমি বলি,এ সব বর্ণ প্রেমিকের পরিচয়!
সে এসে দাঁড়াল বারান্দায়,ভেঁজা কাপড়ের নিচে
টসটস কমলা লেবুর মতো নগ্ন শরীর ভাসাইয়ে
আমি নিষ্পাপ শিশুর মতো চেয়ে থাকলাম
ক্ষুধার্ত চোখে-সবখানে নিঃশব্দ কুয়াশা,পবিত্র ভোর;
আমি তার কাছে পৌছতে,বনের কনডম ফুঁড়ে
পাখিরা উড়তে লাগল,গোলাপে ফিরল
লোকালয় উঠোন-অচেনা দালানে উসকানি চোখ
কেবল আমার শরীর হতে উঁকি দেয় যৌন ঘ্রাণ
বসে ভাবি-মেলেঠেলে দরদ করে চেয়েছি
প্রতিদিনের আবির্ভাবে অদমিত নাচ-
তার গোপন মিউজিক ঢেউ
আমার না ছোঁয়া আবেগে কবিতার মতো,
তারই মুখোমুখি খুঁজে ফিরি গহিন গাঙ
জলে নগ্নপুরি লালা জ্বলে-আহ!অতঃপর
কে না জানে ভালো লাগার মানে,বুকের ভেতর-
চুমুর আনাগোনা নরম ঠোঁটের নিচে শাদা
যক্ষপুরী হাড় কামড়িয়ে খাওয়া কচমচে বিপ্লব,
আমি তো সে কবিতাকে লিখি-কদিন পরে পরে
গাছের বনজুড়ে ফুল হয়ে নাচে-আমিও নাচি-
যে কথা এখনও হয়নি বলা-গোলাপে যোনি হাওয়া
সব গোপন কুশলি জেনে যাবে লোকে-ইচ্ছে করে
দেবে বিষণ্ণ-মধুর গালাগাল,কবির চোখে
তুমি সংগম শিহরণ-ভালবাসি বলে জড়াইয়াছি
বিন্দু বিন্দু ব্যথার নগ্নে-অসুখ সারো-অসুখ সারো
এত সুখ যায় না নিষেধের ঔষধে-দৃশ্যমান কবিতা!
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..