আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
থুতনির একলা তিলের পাশে
পরে থাক অবেলায়।
ও তুমি মুগ্ধ হও বারে বারে
মৌসুমী বাতাসে।
দেখনি যত তার সবটূকু ভরে আছে আনাচ কানাচ।
তুমি ডুবে গিয়ে, ভেসে উঠে
সুগন্ধি উৎসবে নির্ভার উড়ে যাও।
ঠিক বিপরীতে অন্য কিছু –
ডুবে বা ভাসে না … অস্থির ঝুলে থাকা
কষ্ট ভার যোজন বাড়ে। তার পর
সমতলে পিছলে যেতে থাকে
সময় কিংবা নষ্ট ঘড়ির ষড়ঋতু।
বোধের তীক্ষ্ণ ক্ষরণচিহ্ন আঁকে
অশ্রুমতী সন্ধ্যায়।
অবশেষে –
ঋণের সঞ্চয় জোটে কান্নায় জেনে
ঠাট্টার আসরে বসিয়ে রাখে।
বিলপ্তির দিনে দেখি
দূর্গ ভেঙে গেছে বহু আগে,
অথচ- দমনের পুরনো নিগ্রহ
দেখে কোন মুখ আপন মর্তলোকে!
কেউ কিছুতেই টের পাবে না পাবে না,
অলিখিত শর্তগুলো অদৃশ্যমত
শিলালিপি,
গুপ্ত যুগ দেখায় আড়ালে।
শুধু কিছু বিষণ্ণ শব্দমালা
নিঃশব্দের ভিতর অবিরাম বিলাপ করে।
আঁঁচলের আয়তনে পুরাতন
নক্ষত্র ঝড়ে গেছে।
ছাই চাপা আগুনের মুখ
চেটে খায় শতাব্দির ভণিতা।
কোথাও যাওয়ার নেই বলে শুধু দেখি-
সুগন্ধি ছড়ানো যাত্রী নিয়ে
প্লাটফর্ম ছেড়ে যায় দূরগামী ট্রেন।
মরচে পড়া খিড়কির বিকট উন্মোচনে
ক্লান্তি শুধু বাড়ে –
ততদিনে জাহাজের ধোয়া নিয়ে
দিগন্ত ওই দিকে সরে গেছে।
কোন গন্তব্য ছিল নিশ্চয়ই
দ্বিকবিদিক উড়াল ডানা থামেনি কি?
কষ্টের দৌড় শেষ করে ভেবো
ওটাও বুঝি মজার এক ধরন …উমমম–
কিংবা ছিল সঞ্চয়ের আগে স্বপ্নের বোঝাপড়া।
পথের সাথে পথেই দেখা
বিনিসুতো তুলে আনে আজস্র মুখ।
গমন , অতিক্রমন, যাপন এর ভিন্ন উচ্চারণ
শুধু চলে যাওয়ার আন্দোলিত স্মৃতি কথা।
এইসব প্রকোট জীবন ঘেঁষা
চুড়ান্ত প্রবাহে ক্লান্ত সময়
এসে থামে শিয়রের ওমে।
ঘাসের শৈশবে
শিউলি কথারা ভেজা গন্ধে বুদ হয়ে থাকে।
অন্ধকারে দূরবাসে
ঝরা পাতা আর হিম হাওয়া মিলে
কোন নাম বলে যায়, সে কি?
কোন নদী কিংবা মানুষ!
কেউ শুনে বিভ্রমের সামান্য বাইরে থেকে
যে চায় শুনে নিতে, যেভাবে।
কেউ কখনো তার রাখে নি খবর।
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..