ত্বকে তখন ফোঁটা ফোঁটা শ্রমের নোটেশন

লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল
কবিতা
Bengali
ত্বকে তখন ফোঁটা ফোঁটা শ্রমের নোটেশন

ঋকধ্বনির পাখিরা তৎসম হয়ে যায়

কিন্তু সেই ফুলদানিগুলি সমানুপাতিক বিকেলের আলোছায়া নিয়ে নিজের বুকেই সাজানো থাকে , গাঢ় বাদামিরেখায় ভাসে ত্রিকাল স্বরূপ – সেখানে আঁচল বিছিয়ে রাখে সন্ধ্যার ধুলোপড়া নদী ,আগে দেখিনি কেউ – আহত অন্তরীক্ষে ভাসে সে কুয়াশার কথা ,ঝরেপড়া পাঁপড়িরা নীলজলের নিচুস্বরে ভিজিয়ে দেয় নৈঃশব্দ্য – একে একে দুঃখ বদলে যায়

কথা ছিল ফুলের ভাষান্তর শিখে নেব রেটিনার রোদ্দুরে, বৃন্তে লেগে আছে সমস্ত সূর্যাস্ত আর জাতিস্মর স্নায়ু

তাকে কানে কানে বলি – বর্ণময় হও ; ঋকধ্বনির পাখিরা তৎসম হয়ে যায়

 

ত্বকে তখন ফোঁটা ফোঁটা শ্রমের নোটেশন

তারাও মাটিতে দাঁড়িয়ে বৃষ্টিপাত দেখছে আর সবুজ হয়ে যাচ্ছে খয়েরি রঙের দুপুর , বিকলাঙ্গ পাখিটিও উড়ছে নিঃস্ব শিমুলের উপর – শীত শীত অভ্যাসে ত্বকে তখন ফোঁটা ফোঁটা শ্রমের নোটেশন – অসমাপিকায় বিনীত হতে হতে জলে ভিজিয়ে নিচ্ছে লবনাক্ত ব্রহ্মতালু : ব্যর্থদিনের গরলপাত্রে অপেক্ষা করে লাইভ বীজতলার অলংকরণ

আমি কি সেই জন্মগত প্রিয়তম , নিজেকে সেঁকে নিতে নিতে চিরায়ত আগাছার বেগুনি ফুল দেখি
অতএব ফোকাসহীন স্বাদকোরক ঝাপসা হয়ে যায়

 

হলদে নদীটি আজও জন্মদান ছড়ায়

এবং দুটো স্তম্ভের মাঝে মুখোমুখি হচ্ছে নগ্নঘ্রাণের পঙতিমালা আর শূন্যতার মেরুন ঠোঁট , সেখানে একাদশীর চাঁদ পৃষ্ঠা উল্টে দেখে নিচ্ছে ভাঙা বানানের ইকোসিস্টেম , ভেসে আসে কবিতার অনুনাদিত কন্ঠধ্বনি – জন্মের ছবি এঁকে এঁকে হলদে নদীটি আজও জন্মদান ছড়ায় – ভবিষ্যৎ একটা সাদা ক্যানভাস জুড়ে আঁচড় কাটে রোদ

নাকি ছায়া সরে যায় , একে অপরের অনাসক্ত সম্পর্কে নারকেল পাতা তরঙ্গহীন – মলয়ের গল্পে জল কেটে জেগে উঠছে গ্রিনহাউস

ধাপ ধাপ শীতাতপ পেরিয়ে আমি রোদধর্ম , চেয়ে নিই অবিনশ্বর রৌদ্রপলাশ

 

 

লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল। কবি।  জন্ম ১৯৬৯ সালে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গরাজ্যের পশ্চিম মেদিনীপুরে। পেশাগত জীবনে তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। প্রকাশিত বই: হঠাৎ হঠাৎই (১৯৯৮), মানুষের নদী (২০০০), খরানদীর বৃষ্টি সম্ভব (২০১০), সজনেফুল ও নিঃশর্ত সমর্পণ (২০১১), আঁধারের পাঁজর (২০১২)।

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..