দৌড়
একবার এক দৌড় প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুবই ভালো দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। সবাইকে পেছনে…..
নির্বাণ। কবি নির্বাণ। কলমে আগুন ঝরাতে, কথায় মাখন মাখাতে ওস্তাদ নির্বাণ। মানুষের দুঃখ কষ্ট দেখে দেখে ধরেছে সুগার । ব্লাড প্রেসারের নিয়ন্ত্রণ ডোজ ফর্টি । রোজ গোটা কুড়িক লুচির সঙ্গে মনপসন্দ তরকারি দিয়ে জলখাবারের পর মাত্র একটি । একটি বটিকাতেই সব চাপ বশীকরণের মন্ত্র! জীবনের প্রচণ্ড চাপে ওজন খুব বেশি না, মাত্র একশো পঁচিশ, রাত্রে তাই ছাদে উঠে হাঁটাহাঁটি, ঐ মেপে মেপে কদম দশ কিংবা বিশ।
সেই নির্বাণ সেদিন বললো, দাদা দিনকাল মোটেও ভালো না। এবার একটা পিস্তল রাখবো ভাবছি।
আমি অবাক হয়ে জানতে চাইলাম, বাবু কেস কি? আজকাল এসব শুনলেই আত্মহত্যার ফন্দিফিকির বলে ভাবি। বয়স তো হচ্ছে! যেমন স্বপ্নে নিজেকে প্রতিদিনই মেরে ফেলি। তারপর বাস্তবের মাঠে মরতে মরতে খেলি। সংসার খেলিয়ে নেয়,একেবারে খেলুড়ে বড়শি গাঁথা মাছ। এদিক ওদিক মুখে কয়েকটা বাঘ মেরে, ফালতু সমাজবদলের কিছু ঝাপলাফ, গোপনে ইনবক্সে টুকুন ইন্টুমিন্টু গুজুরফুসুর সেরে এক ঝাপটে সেই খালুইয়ে এসে ঢুকি। আবার বলি,
– বাবু কেস কি? কি কেস!
– না। না। তেমন কিচ্ছু না। তবে দাদা বলছি কি, আপনিও একটা রাখুন। দিনকাল মোটেও ভালো না! এখন সহজলভ্য, রাখার খরচাপাতিও তো বেশি না!
– তোমার রাখার দম থাকলে রাখো। আমি বাবা ওসব পারবো না। দুহাত তুলে এই সারেন্ডার। প্লিজ, এইবয়সে আর ঐসব ঝুট-ঝামেলায় ভাই জড়িও না।
– না দাদা দিনকাল মোটেও ভালো না। আপনি যতই বারণ করুন শুনছি না।
– শোনো আমার এক ভগ্নিপতি বাই-কার সপরিবার জগন্নাথ দর্শনের বাহানায় সমুদ্রস্নানে যাচ্ছিল পুরী। পথে একটা ট্রাক ঐ বোম্বে রোডে, হালকা করে ঘষে দিল ওদের গাড়ি । ভগ্নিপতিও একটু রগচটা ছিল । গাড়ি থেকে নেমে এসে ট্রাকের সামনে দাঁড়িয়ে আচ্ছা করে ঝাড়ছিল সামনে লাগিয়ে গাড়ি । ট্রাকচালক এক-দু’কথার পর, তার ওপরই সোজা চালিয়ে দিল ট্রাকটি । বোনটি আমার বিধবা,সামনের বার এইচএস দেবে ভাগনা । দিনকাল মোটেও ভালো না জানি কিন্তু পিস্তল রেখে কী করবে শুনি!
– সো স্যাড স্টোরি দাদা।
– স্টোরি আবার কি ! এতো রিয়াল ফ্যাক্ট!
– টিট ফর ট্যাট । একটা পিস্তল থাকলে ড্রাইভারটাকে… শালা প্রাণে বাঁচতে পারত কি?
– কি করতে কি ! হাতের পিস্তল হাতেই থাকত ! চালাতে পারতে কি !
– আমার কাছে পিস্তল থাকলে, চালিয়ে নলে ফুঁ দিয়ে টাইট দিতে পারতাম ঠিকই ।
– তারপর কী হতো! তুমিই কী বাঁচতে !
– আমি তো পিস্তলটা আপনাকে ট্রান্সফার করে দিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমোতাম ।
– ওঃ ! তাহলে আমি ফাঁসতাম, তাই তো!
– না দাদা আপনি কেন ফাঁসবেন। কাশবেন যখন, তখন ঝেড়ে না কাশলেই হলো । ব্যাস, এই আর কি !
– শোনো ওসবে আমার কোনও কাজ নেই। তোমার দরকার আছে তুমি নাও না, যাও না কেনো! বললে তো সহজলভ্য!
– আমি তো নেবোই। বারো বোরের পিস্তল। একবার লোড করলে আর মিস হওয়ার জো নেই । ঢিস্সুম ঢিস্সুম ! উফ নেবো ভাবলেই যে কি থ্রিলড লাগছে দাদা…
তারপর দ্বারেকশ্বর নদ, তারপর গন্ধেশ্বরী নদী, শুয়ে আছে এ মাথা থেকে সে মাথায়, মাঝখানে মরুভূমি। নদীর বুকে ফুটবল মাঠ আর যজ্ঞভূমি। পার্টির মিটিং হলে ফ্রি ডিম্ভাত কিংবা ঠিক ঘুগনিমুড়ি, না হলে, লুচি তরকারি! নদীবক্ষে জনসভা। হেলিকপ্টারে আগমন নদীবক্ষে কথার বমন পুনরায় হেলিকপ্টারে গমন। গমন ও আগমনে নদীর ধর্ষণ, সংবাদপত্রের সংবাদ হয় না। মিডিয়ায় নদী এসে বাইট দেয় না!
নির্বাণ দিনকাল ভালো না বলে সেদিন পিস্তল কিনতে চেয়েছিল, তারপর একদিন বৌ এনে ঢিপ করে হাঁটু ছুঁয়ে বলেছিল, দাদা দিনকাল ভালো না, শেষ পর্যন্ত বিয়েটা করেই নিলাম…
একবার এক দৌড় প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুবই ভালো দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। সবাইকে পেছনে…..
সকালে উঠে মায়ের মমতামাখা মুড়ি ও লিকার চা খেতাম। তারপর দাদু বলতেন, এবার পড়তে বোস।…..
রোজকার সূর্য ওঠার মত বেলি ভোরে উঠে দরজায় সামনে জল দেয়,ঝাঁট দেয়, ফুল তোলে। তারপর…..
একটি সুপ্রতিষ্ঠিত কর্পোরেট অফিসের চাকরির ইন্টারভিউয়ে জটিল একটি প্রশ্ন করা হলো। প্রশ্নটি হচ্ছে –…..