শঙখচিল
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
(উৎসর্গঃ অভিজিৎ রায়সহ আরও যারা প্রাণ দিলেন, আলো আনতে)
আর জ্ঞানতৃষ্ণা মেটাচ্ছে, মলিন কটা বই
একদল পুরনো ছাত্রের, একটু দূরে ঘাসের সবুজে শুয়ে
অনাবাদী মনের কবিরা সিগারেটে দম দিয়ে
বকে যাচ্ছে অনস্তিত্বের দর্শন।
শহরে প্রাণকেন্দ্রে যেখানে একদা ছিল
রাজার বাগান, সেখানে এখন কেন্দ্রীয় শিশু বিনোদন
উল্টোদিকে হৃদয় ও মনের কাটা ছেড়া, জীবন
পাঞ্জা লড়ে মৃত্যুর সাথে; কারও কারও চোখ খোঁজে
ভীষণ গুরুত্বের ফরমালিন স্টাফ, সেখানেই
বড় এক প্রশ্নচিহ্ন হয়ে পরে আছে
ছেলেটা।
একদিন সে আকাশ হতে চেয়েছিল
এইটুকু একটা লাল ফানুসের জন্যে।
সন্ধ্যার অবকাশে,
চাঁদ ও প্রেমে জীবন মেলাতে চেয়েছিল
কালি ও কলমের শক্তিতে,
অবলুপ্ত আলোকচ্ছটা সে এখন!
বিষণ্নিনা রোগীদের
স্থবির নিজস্ব বেদনার জাবর কাটায়
হঠাৎ ঢেউ আসে
কোপ খেয়ে ঘিলু হারানো ছেলেটা,
আহ, বড্ড অকালে গেল, কি দরকার
লেখার, তাও আবার এসব নিয়ে।
অথচ ওরা জানেনা,
ছেলেটা আসলে গোটা বাংলাদেশ,
সে কবি, সে লেখক, অধ্যাপক, মুয়াজ্জিন, পুরোহিত
কিংবা আজকের চাপাতির কোপে মৃত
চাকমা ছেলেটা।
ছেলেটা আর কেউ নয়, সে আমার বাংলাদেশ।
নীরবতার অসভ্য অশ্লীলতায়
রক্তাভ দেহ তার প্রোজ্জ্বল প্রতিবাদ।
(আমাদের নগ্ন বিবেক, ঢাকেনা ওদের বানানো কাপড়)
টেবিলে মাংসের স্তূপ, প্লেটে সালাদ
সাথে স্যান্ডুইচ; ডায়েট কন্ট্রোল
জরুরী দরকার। চোখ রাঙায় ব্লাড প্রেশার!
মাঝখানে অন্ধকারের বিষ…
হাজার হাজার কোটি টাকা লাভের অন্ধকার!
অদ্ভুত ব্যবধান তুলে বসে আছে
দেয়ালের দুই পাশে।
পাতে মাংস তুলবে বলে
শাহিনা, ঝর্ণারা আজ মালিকদের টেবিলে
স্যান্ডুইচের দোমড়ানো মাংসের কিমা!
দারুণ স্বাদ…
হতেই হবে, এ যে কচি নরমাংসের।
কবির স্বকণ্ঠে আবৃত্তি শুনুন এখানে –
হাতে সকাল তুলে দিয়ে একদিন
বলেছিলেন, ঠিক এভাবেই
পূর্ণ করবেন হৃদয়, গলে যাওয়া বেদনার আলোয়!
হরিণের চোখে পেখম মেলবে
এইটুকু উষ্ণতা!
প্রতীক্ষার সূর্য হেলে পরে অপেক্ষায়
কৌতুক নিয়ে দেখছি
ব্যক্তিগত অসুখের বৃষ্টি যাচ্ছে, আসছে বারংবার।
ভিজিয়ে দিয়ে শেখাচ্ছে
কাতরতা এক মাতাল অসুখ।
আলোয় ভরিয়ে আমাকে, গাইছে প্রনয় প্রস্থাণ
উপভোগ্য অবশিষ্ট উষ্ণতাটুকু,
ফুরিয়ে যাচ্ছে শ্বাসহীন মোমের মত!
রাত নেমে গেলে, আহত হরিণ চোখে
প্রেম নামে না আর…
ভুলের চৌবাচ্চায় ডুব দিয়ে জানা গেল
তোমার চোখ আমার দ্বিতীয় অসুখের কারণ।
প্রথম অসুখ ডুবে আছে ফরমালিন জারে, যার নাম প্রেম!
বিশ্বাস করো বুভুক্ষু দুপুর
বেড়ালের পায়ে নূপুর পড়ালেই
সকাল আর নেচে উঠবেনা কোন নগ্নসাধুর
বাহুলগ্ন হয়ে।
অথচ জেনে এসেছি সারাটা জীবন
ভুলে গেলে প্রেম, বৃষ্টি আসে
বেড়ালের পায়ে চঞ্চলতা নামে।
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
বুনো শুয়োরের উৎপাত, ধমনীর শিরায় এখনও নিবিড় ভাবে বয়ে যায় চেঙ্গিস-হিটলার-হালাকু খান। শরীর থেকে ধীরে…..
যতই আমায় বৃষ্টি বাদল স্বপ্নে এসে দেখা ; তোর মতো মিথ্যা বলতে পারবো না ……..
অপেক্ষার বৃক্ষ প্রতীক্ষার ফুল তন্দ্রাহতের মতো জেগে থাকি হাওয়ার পেরেকে একাকী এ-ফোঁড় ও-ফোঁড় দায়মুক্ত আয়ু…..