আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
দেখা হবার ছিল
‘বৃষ্টি থামলে দেখা হবে ওদিকের কামরায়—’
অশোক বৃক্ষের নিচে দাঁড়িয়ে
হাত উঁচিয়ে কথাটা বলেছিল সে।
আমি জানি এদিকটা পেরুলেই, ব্যস
নাগাল পেয়ে যাব ওদিকটার।
ট্রেনের শেড, চা-ওলা, সিগারেট–
তখন আমাকে আর পায় কে।
উদ্যত আঙ্গুলের ইশারা বুঝিনি তখনো।
নদীর ঢেউয়ের নিচে যে চোরা স্রোত
সেভাবে খুঁজিনি তাকে।
ওদিকের কামরা এখন এদিক
ওদিকটা রয়ে গেছে ওদিকেই।
এদিকের বৃষ্টি থেমে গেছে কখন।
ওদিকেরও…
হয়ত আবার কোন বৃষ্টিদিনে
আমরা মিলিত হব।
জেগে থাকা গ্রাম
শহরের বুকে এক টুকরো গ্রাম।
বৃষ্টি নামলে সোঁদা গন্ধ
গঙ্গাফড়িং ঘাসফুল
আবললতার ফাঁকে গিরগিটি।
শহরের কোলাহল শান্ত হয়ে এলে
আমার ফ্ল্যাটবাড়ির পিছনে
সেই গ্রাম জেগে ওঠে।
পাশের ফ্ল্যাটের লোক বলছিল,
ঝোপঝাড় হয়ে যাচ্ছে
এইবেলা কেটে দিন সব।
সাপখোপ ঢুকে থাকবে
বিষাক্ত পোকা, ইঁদুর—
আমি শুনিনি।
খবর নিয়েছি, তিনি বাঁকুড়ার লোক।
এখন শহুরে মানুষ
গটগট শব্দ, বডি স্প্রে,
আদব কায়দায়
গ্রাম্যছাপ পিছনে ফেলেছেন।
দু’দশক শহরে এসেও
নাগরিক রঙের মুখোস পরতে পারিনি।
শহরের বিষাক্ত কথাবাষ্প থেকে
আমাকে দু’দন্ড শান্তি দেয়
আমার এক টুকরো গ্রাম।
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..