দু’হাজার একুশে

অদিতি
কবিতা
Bengali
দু’হাজার একুশে

অনুভূমিক

ভগ্নাংশে রাখলাম
বুক থেকে নাভি বেয়ে নামা ঐ রোমের রেখা

ভালোবাসা কি উল্লম্ব হল তবে?

লাজুক পৃথিবীর এক কোন
কম্পিত হাতে তার জ্যামিতিক সরণ

মেপে চলেছে নি:শ্বাসের প্রগাঢ়তা;
কাল সূর্য উঠবে জোছনায় ডুব দিয়ে….

দুই মেরু জানে
অনুভূমিক রেখাদের মানে।

দোভাষী

দিনের আলোতে আচ্ছন্নতা
কিছু গত রাতের সমঝোতা;
খোঁপাতে বেঁধে রাখে ছদ্মসুখ…
খোলা চুলে সেরে ওঠে সব অসুখ।

পাখিতো ঘুরতো, বাসাও বুনতো
উড়ন্ত ডানার সংকেত শুনতো…
তবু আজন্ম কিছু প্রহেলিকা
অধিকারে ছুঁয়ে থাকে অনামিকা।

খুব গোপন খড়কুটো অভিঘাত
কোরকে হাসে অনাবৃত সাক্ষাত…
জবাবে রূদ্ধতা প্রশ্ন বানভাসি
বুঝে নেয় নিশ্চিত যারা দোভাষী।

কার্যত: 

পাতার গায়ে জমছে দীর্ঘশ্বাস
জলের ভেতরে মন,
মনের ভেতরে জলজ কারাবাস।

লিখি রোজকার হেঁটে যাওয়া
বিকলাঙ্গ পথ জানে,
পথিকের সে সবটুকু চাওয়া।

যাবতীয় স্খলন গাণিতিক ভুল
উপশম বিস্মৃত সব,
নামহীন যাপনে বিচ্যুতি কবুল।

দু’হাজার একুশে

তেরো হাজার পাঁচ শত পাঁচ দিন পেরিয়ে এসে
দু’হাজার একুশে…

যদি আগ্নেয় পাথরে লাভাস্রোতে বয়ে যায়
জন্মমৃত্যু রহস্য…
পোড়া ঠোঁটের চুম্বনে আঁকা ব্যক্তিগত সংলাপ
জানবে তুমিই সেই স্পর্শ

নির্বিশেষে
দু’হাজার একুশে।

অদিতি। কবি ও বাচিকশিল্পী। অদিতি নামে লেখালিখি করলেও তাঁর পুরো নাম অদিতি রায়চৌধুরী। জন্ম ভারতের পশ্চিমবঙ্গরাজ্যের উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে। বর্তমান নিবাস কলকাতা। প্রকাশিত বই: 'অনাঘ্রাতা' (কাব্যগ্রন্থ, ২০২১), দোয়াব (কাব্যগ্রন্থ, ২০২২)

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ