বেশরম
বেশরম কি কঠিন ছিলো, ডুব সাঁতারের রুদ্ধ দম তোমাকে ভুলেছি ঠিক এক বেশরম- আবার পড়েছি…..
রোজ কাঁটা ফোঁটে
রোজ বয়ে যায় বন্যা
রোজ জীবনের ওঠা -পড়ায়
হোঁচট খায় অনন্যা,
সে হাঁটতে জানে॥
রোজ গোয়ালা দুধ দিয়ে যায়
রোজ শিবের মাথা ভেজে
রোজ তুলসি তলায় সলতে পোড়ে
আজও নাস্তিক লাবণ্যা,
সে ধর্ম মানে॥
রোজ দেওয়ালে ঘুঁটে পড়ে
রোজ বনের পাতা আসে
রোজ প্যাকেট হাত ঘুরে যায়
বস্তা ভরে টাকা আনে সুকন্যা,
সে সততা জানে॥
রোজ রাতে চেটাই পড়ে
রোজ শরীর আরাম দেয়
রোজ দিনের ব্যথাগুলোকে
নতুন ব্যথায় হার মানায় রোদন্যা,
সে বড় হয় সর্ম্পকের টানে॥
রোজ পুলিশ হাঁক মেরে যায়
রোজ লুকোয় কলঘরে
রোজ জীবন প্রাণ ফিরে পায়
পেটকাপড়ে গুঁড়ো মশলা আগলে রাখে কন্যা,
সে সৎ উপায়ের টাকা চেনে॥
জীবন আঁতাতের ঘা থাকে না
বয়ে যায় খরস্রোতে,
যে মাটি শুকিয়েছে দু’দিনের
বৃষ্টিহীন আকাশকে দেখে
সে জানে গর্ভে লালিত সোনালি বীজকে
আঁকড়ে ধরার মানে।
যে নদী খরস্রোতা
আবর্জনা রাখে না বুকে ধরে
তার ভিতরে গিয়ে তলিয়ে দেখো
পলির বুকে জমা পড়েনি যে পাথর
তার বয়ে যাওয়া নিয়তিকে সে জানে।
খাঁ খাঁ করা ধূ ধূ মাঠ
আর ফাঁকা হওয়া রাতের আকাশ
বুক চিরে তারা খসার গল্প শোনায়
মাঝ বুকেতে জমে থাকা
হাজার তারার আর্তনাদ
সেই তো মুখ লুকিয়ে মাঠের বুকেই কাঁদে॥
তোর গায়ের গন্ধটা পালটে
ডিও আর কোলন এ ভরে গেছে অনেকদিনই।
তোর লাল ক্যাটক্যাটে জামাগুলো সহজ সরল রঙে পরিণত হয়েছে অনেকদিন।
তোর ঘরের জানালা দিয়ে বেয়ে ওঠা লতানে গাছগুলোর ডালপালা ছাঁটা হয়েছে অনেকদিনই।
টবের পাতাবাহার গুলো আজ রঙহীন,
সেখানে ছোটো গুল্মের আনাগোনা হয়েছে অনেকদিন।
তোর জীবনের চাওয়া-পাওয়াগুলো পরিবর্তন হয়েছে অনেকদিনই।
যেইদিন আমার চিতার আলো পরিপূর্ণ করেছিল
শ্মশানের অন্ধকারকে।
ঠিক তবে থেকেই তোর জীবনের পরিবর্তন ঘটেছে অনেকদিনই।
বেশরম কি কঠিন ছিলো, ডুব সাঁতারের রুদ্ধ দম তোমাকে ভুলেছি ঠিক এক বেশরম- আবার পড়েছি…..
একি অনাসৃষ্টি নিত্য পণ্য উর্ধ দাম মন তার ভালো নেই, বাজারেতে যেতে যে হবে…..
পাশের রাস্তাতে তিন জন্মের লাশ ; অনিয়মহীন এভাবেই একক অপার্থিব অশরীর ৷ উল্টোদিকে আমি…..
পাষাণের প্রেম বিকট স্তব্ধতায় সুনিপুণ সীমানা প্রাচীর তুলেছ, বেসামাল ভালোবাসার জাগতিক জায়নামাজে। প্রার্থনার গতিরোধ করো…..