দূর কথাটার মানে

তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়
কবিতা
Bengali
দূর কথাটার মানে

দূর কথাটার মানে

সম্পর্কের দাবিই ছিলনা কিছু
পাশাপাশি থাকা সাধারণ প্রতিবেশী,
খুব চেনা তবু দূরত্ব ছিল ঢের
দেখেছি যতটা না দেখেছি তারও বেশি।

যেদিন বিকেলে অনেকটা মেঘ এসে
ভেঙে পড়েছিল খুব চেনা দরজায়,
কেউ ভেবেছিল অনিবার্যতা ভুলে
সময়কে নেবে নিজেদের কবজায়।

সময় থামেনা, বাধ্য হয়না কারও
নদীর মতন আপন খেয়ালে চলে,
দূরত্ব যদি ফাঁকা মাঠ গিলে খায়,
সময়ের হাত ধরে বন্ধুর ছলে।

এখন জেনেছি দূর কথাটার মানে,
কোন মায়াজাল কোন সুতো দিয়ে বোনা,
আগুনের সাথে আজীবন ওঠাবসা
বারবার পুড়ে উত্তাপ জানবনা?

 

শুদ্ধতা বিষয়ক

মাঝে মাঝে কিছু আয়নার কাঁচ আমিও ভেঙেছি
অসাবধানে, অনিচ্ছায়।
কিছু জিনিস, কিছু ভুল এভাবে অকস্মাৎ ভেঙে যায়।

মাঝে মাঝে কিছু দুঃসহ দহনে আমিও জ্বলেছি
ভুলে কিম্বা আনমনে।
কখনো হাত, কখনো মন এভাবে অকস্মাৎ পুড়ে যায়

মাঝে মাঝে এরকম অনেক হয়েছে
অজান্তে জড়িয়ে পড়েছি কখনও বিবাদে, কখনও বিষাদে
উত্তরে যেতে গিয়ে পুবের হাওয়ার সঙ্গে পশ্চিমে চলে গেছি।

তাই বলে আয়নার ভাঙা কাঁচ জুড়তে বসিনি
বরং আগুনে ফু দিয়ে বলেছি
তুমি শুদ্ধ থাকো।

ফু দিলে কি করে আগুন শুদ্ধ থাকে বুঝিনা আজও।

তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়। কবি ও গদ্যকার। জন্ম ও বাস ভারতের পশ্চিমবঙ্গরাজ্যের বাঁকুড়া জেলায়। এবং কর্মসূত্রে কলকাতায় বসবাস। বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। লেখালেখি শুরু সত্তরের দশক থেকে। প্রকাশিত বই: ‘মার্কিন মুলুকে, মফস্বলে’(২০২০)। যৌথভাবে প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: ‘রক্তাক্ত চন্দনের বনে’(১৯৭৭) এবং ‘সপ্তর্ষির আলো’(২০১৫)।

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..