দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
এবার এই হেলান দেওয়া রোদের রঙ সোনালী।
এবার এই রোদের সাথে মিশিয়ে দিলাম প্রেম।
এবার এই প্রেমে ভাসুক বকুল গন্ধ মন।
এবার এই হাল্কা তাপের সন্ধ্যার নাম জোনাকি।
এবার নীল জোনাকির রঙে ছোপালাম সুখ।
এবার এই সুখের ওমে হেসে লুটোপুটি মেয়ে।
এবার এই তারার মেলা টিপটিপ আলো আকাশে।
এবার এই অল্প আলোয় আনত মুখটি দেখলাম।
এবার এই মুখের আদলে গড়ে ফেলবই প্রতিমা।
এবার হাতে হাতে তার অস্ত্র দিয়েছি সাজিয়ে।
এবার এই অস্ত্রের সাজে বীরাঙ্গনাকে পুজলাম।
এবার এর বীরাঙ্গনাকে আমার আলয়ে আনবই।
এবার ওই অসুর নিধনে চলে যাও তুমি কন্যে।
এবার এই কন্যাকে আমি বধূসাজে আজ সাজালাম।
এবার এই বধূবেশে তোমাকে বন্দি করবই।
এবার এই সব চেষ্টার অবসান হবে কন্যা।
এবার কন্যার এলো বিসর্জনের পালা ওই।
এবার এই বিসর্জনেই তোমার মুক্তি দেখেছি।
এবার এই তোমার মাটিতে তোমাকে আবার গড়বো।
এবার এই তোমাকে সাজাবো অসুর মালার সাজেতে।
এবার এই অসুর মালায় তোমার লাজও ঢাকবেই।
এবার এই প্রকৃতির রূপে তোমায় দেখেছি কন্যা।
এবার এই কন্যা দুহিতা মাতা হল আজ একাকার।
এবার শুধুই নারী রূপে তুমি সকাল সন্ধ্যে সাজবে।
এবার তোমাকে তুমিই গড়বে কেবল নারীতে।
এবার এই নারীর আদল নারী বলে হবে পুজিত।
এবার এই পুরুষের সব কল্পনা হোক মিথ্যে।
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..