দেবী ও মানবী

তীর্থপতি গুপ্ত
কবিতা
Bengali
দেবী ও মানবী

এবার এই হেলান দেওয়া রোদের রঙ সোনালী।
এবার এই রোদের সাথে মিশিয়ে দিলাম প্রেম।
এবার এই প্রেমে ভাসুক বকুল গন্ধ মন।

এবার এই হাল্কা তাপের সন্ধ্যার নাম জোনাকি।
এবার নীল জোনাকির রঙে ছোপালাম সুখ।
এবার এই সুখের ওমে হেসে লুটোপুটি মেয়ে।

এবার এই তারার মেলা টিপটিপ আলো আকাশে।
এবার এই অল্প আলোয় আনত মুখটি দেখলাম।
এবার এই মুখের আদলে গড়ে ফেলবই প্রতিমা।

এবার হাতে হাতে তার অস্ত্র দিয়েছি সাজিয়ে।
এবার এই অস্ত্রের সাজে বীরাঙ্গনাকে পুজলাম।
এবার এর বীরাঙ্গনাকে আমার আলয়ে আনবই।

এবার ওই অসুর নিধনে চলে যাও তুমি কন্যে।
এবার এই কন্যাকে আমি বধূসাজে আজ সাজালাম।
এবার এই বধূবেশে তোমাকে বন্দি করবই।

এবার এই সব চেষ্টার অবসান হবে কন্যা।
এবার কন্যার এলো বিসর্জনের পালা ওই।
এবার এই বিসর্জনেই তোমার মুক্তি দেখেছি।

এবার এই তোমার মাটিতে তোমাকে আবার গড়বো।
এবার এই তোমাকে সাজাবো অসুর মালার সাজেতে।
এবার এই অসুর মালায় তোমার লাজও ঢাকবেই।

এবার এই প্রকৃতির রূপে তোমায় দেখেছি কন্যা।
এবার এই কন্যা দুহিতা মাতা হল আজ একাকার।
এবার শুধুই নারী রূপে তুমি সকাল সন্ধ্যে সাজবে।

এবার তোমাকে তুমিই গড়বে কেবল নারীতে।
এবার এই নারীর আদল নারী বলে হবে পুজিত।
এবার এই পুরুষের সব কল্পনা হোক মিথ্যে।

তীর্থপতি গুপ্ত। কবি ও চিকিৎসক। পেশায় ফিজিওথেরাপিস্ট হলেও নেশায় কবিতা, ক্যামেরা, কালার। নিজেকে যখন দমবন্ধ লাগে তখন কবিতাই প্রাণ দেয়। মুর্শিদাবাদ জেলার সদর শহর বহরমপুরেই জন্ম কর্ম ও বেড়েওঠা। তাঁর মতে, একটু ভালো থাকা একটু ভালো রাখার জন্যই বেঁচে থাকা,...

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..