বিরিঞ্চির দোকান
সকালে উঠে মায়ের মমতামাখা মুড়ি ও লিকার চা খেতাম। তারপর দাদু বলতেন, এবার পড়তে বোস।…..
একবার এক দৌড় প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুবই ভালো দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। সবাইকে পেছনে ফেলে প্রায় পৌঁছে গেলেন শেষ ল্যাপে।
ঠিক তাঁর পেছন পেছনেই ধেয়ে আসছিলেন স্প্যানিশ অ্যাথলেট ইভান ফার্নান্ডেজ।
শেষ সীমানার অল্প একটু বাকী থাকতেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়লেন আবেল মুতাই। তিনি ফিনিশিং লাইন বুঝতে না পেরে ভাবলেন তিনি হয়তো জিতে গেছেন আর তখন দৌড়ের গতি কমিয়ে দিলেন!
তারই পেছনে থাকা স্প্যানিশ অ্যাথলেট ইভান ফার্নান্ডেজ বুঝে গেলেন, আবেল মুতাইয়ের কনফিউশানের ব্যাপারটা, আর সাথে সাথেই স্প্যানিশ ভাষায় চিৎকার করে আবেলকে বলতে শুরু করলেন, তুমি গতি কমিয়ে দিলে কেন! দৌড়ের সীমানা রেখাতো শেষ হয়নি, তুমি দৌড়তে থাকো।
আবেল স্প্যানিশ ভাষা না বুঝে আরো বিভ্রান্ত হয়ে পড়লেন।
ইভান বুঝতে পারে আর কোনো উপায় নেই, সে আবেলের কাছাকাছি এসে একরকম ধাক্কা মেরে ভিক্ট্রি লাইন পার করে জিতিয়ে দেয় আবেল মুতাইকে।
দৌড় প্রতিযোগিতা শেষ হবার পর সাংবাদিকরা ইভানকে ঘিরে ধরে প্রশ্ন করে, তুমি এইরকম কেন করলে?
ইভান ফার্নান্ডেজ বলেন, আমি একটা সুস্থ, মনুষ্যত্ব, বিবেকবোধের সামাজিক পৃথিবী চাই। যেখানে আমরা সবাই সবাইকে সাহায্য করবো।
সাংবাদিকরা আবারও প্রশ্ন করে, কিন্তু তুমি না জিতে ওকে জিতিয়ে দিলে কেন?
ইভান ফার্নান্ডেজ বলেন, তিনি সবার চেয়ে এগিয়ে ছিলেন,জয়টা তাঁরই প্রাপ্য ছিলো। আমার প্রাপ্য ছিলোনা। যাঁর প্রাপ্য ছিলো আমি তাঁকে সাহায্য করেছি মাত্র। আর এমন জয় দিয়ে আমি কি পেতাম, একটা মেডেল?
যেখানে কোনও নৈতিকতা নেই। ওমন শিক্ষা আমার পরিবার থেকে আমি পাইনি।
কি তাঁদের বিবেকবোধ, কতো উন্নত তাদের চিন্তা ধারা, মনুষ্যত্ববোধ। আর আমাদের দেশ, আমাদের সমাজ, পরিবার আমাদের শিক্ষা-সংস্কৃতি শুধুমাত্র আমাদেরকে জিততেই শেখাচ্ছে, অন্যকে টেনে পেছনে ফেলে হলেও নিজেকে জিততেই হবে এমনই চিন্তাধারা আমাদের! আমাদের দেশ, সমাজ, পরিবার কাউকে জিতাতে শেখায়না কখনই না!
কাউকে জিতানোর মধ্যেও নিজে জিতে যাওয়া থাকতে পারে, কাউকে সাহায্য করার মধ্যেও সফলতা থাকতে পারে এগুলা কখনোই আমাদের শিক্ষায় আমাদের চিন্তায় নেই, কেনো নেই!
একে অন্যের প্রতি সম্মান, শ্রদ্ধাবোধ, সুশিক্ষা কি কোনও দিন আমাদের হবেনা?
বিবেকবোধ, মনুষ্যত্ব কি কখনোই আমাদের জাগ্রত হবেনা?
সকালে উঠে মায়ের মমতামাখা মুড়ি ও লিকার চা খেতাম। তারপর দাদু বলতেন, এবার পড়তে বোস।…..
রোজকার সূর্য ওঠার মত বেলি ভোরে উঠে দরজায় সামনে জল দেয়,ঝাঁট দেয়, ফুল তোলে। তারপর…..
একটি সুপ্রতিষ্ঠিত কর্পোরেট অফিসের চাকরির ইন্টারভিউয়ে জটিল একটি প্রশ্ন করা হলো। প্রশ্নটি হচ্ছে –…..
সকাল সকাল ওঠা মনিনিকার বরাবরের অভ্যেস। সকালে এক বড় কাপে অর্গ্যানিক গ্রিন টি নিয়ে সোফায়…..