প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
হ্যাঁ মানুষ ঈশ্বরের সন্তান!
ক্ষুধায় উবু হয়ে থাকা তার সন্তান দিয়ে মিটে যায় শকুনের ক্ষুধা
উবু হয়ে থাকা সেই মৃত্যু দেখে সেজদা ভুলে যাই!
তার সন্তানদেরকে বেশ্যা হতে দেখে পর্দা ভুলে যাই
তার কন্যাসন্তানদের দুয়ারে অবৈধ উত্থান দেখে বুঝি, মায়ের পায়ের নিচে শুধুই সাধারণ মাটি।
মানুষ বলছে আমার স্থান নরকে
যে আমাকে আত্মহত্যার দিকে নিয়ে গেছে
সেই খুনীর নাম ঈশ্বর
তাহলে নরকে কার যাওয়া উচিত? আমার না ঈশ্বরের?
তবুও ঈশ্বর বেঁচে থাকেন, স্বাগত জানান তোমাদেরকে স্বর্গের লাশঘরে
সেই স্বর্গ নিয়ে যতোদিন মাতামাতি, ততদিন নরকই মহান
আর আমি নরকবিলাসে মহৎ পাপী।
পুলসিরাত ভাঙে আঙুলের, মদিরাময় ঠোঁটের অনঘে
রক্তনেশার হামাগুড়ি, জিভ যেন উদ্ধত চরের সন্ন্যাস!
নরকের দুয়ারে সাজে দেহরক্ষীর ইন্দ্রিয়-কারুকাজ
শরীরের তীর্থে কলকল বহমান, অনঙ্গ বন্দেগী আত্মার।
নদীশ্বরীর গর্ভে পলিভ্রূণের কান্না শুধু লিখে যায় মাটির অভিধান
আগুনকেই বিশ্বাস করে জন্ম নেই ত্রিশূলের ধমনীতে!
দহনে নাঁচে লকলকে রমণ, মায়াবী শ্রান্তিতে ধোঁয়া ওড়ে শ্রমণের
বনস্পতি গুহা মুখে ধ্যানে বসে শুষ্ক ঝর্ণাতলের মুসাফির।
তোমার আলতারাঙা পা, সেতো ঋতুস্রাবের লিথোগ্রাফ!
সেই পায়েই পড়াই আমি ঔরসের নূপুর…
নরকের দুয়ারে দাঁড়িয়ে যে দেহরক্ষী পুরুষ,
তার বোধিলাভ প্রেমিকা ও নারীর জমজ জন্মান্তরে…
এত অল্প জীবনে মৃত্যুগণনা করে করে ভুলে গেছি, মৃত্যু আমারো হতে পারে।
না, আমি আমার মৃত্যু নিয়ে আতঙ্কিত নই।
আমি তো জানি একাত্তরে এই ভূমির জন্ম, পূর্বপুরুষেরা সাক্ষী!
আর আমরা?
জানাজা পড়ার সময় হয়ে গেছে
শিন্নী হিসেবে রক্ত পান করতে দেওয়া হোক।
আমি আমার আস্তিকতা বা ঈশ্বরের বিশ্বাস নিয়ে সচেতন নই
না, আমি মোটেও আতঙ্কগ্রস্ত না এ ব্যাপারে।
আবার আমাকে খুব সাহসী ভেবে ভুল করবেন না
আমি আমার পাশের বাড়ির হিন্দু মেয়েটির কথা ভেবে চিন্তিত
বাসে যদি আমার পাশে বসা কোনো মহিলার হাতে শাঁখা দেখি, খুব উশখুশ করতে থাকি।
মা অফিসে যাওয়ার সময় বোরখা পরেন না, বোন কোরআন তিলাওয়াত জানে না, তাই ভীষণ ভয় করে মাঝে মাঝে।
আবার তাদেরকে নিয়েও চিন্তায় থাকি, যারা আল্লাহ্কে ঈশ্বর বলে শব্দগত পাপ করে ফেলে!
দুই.
বুদ্ধের ভাঙা মূর্তির উপর যে আলো চাদর বিছায়,
তাকে আমি বিশ্বাসী আয়াত শোনাতে পারি না
যীশুদেহের সাথে ক্রুশবিদ্ধ চোখগুলোর প্রশ্ন, ধর্ম কি!
গঙ্গাজলের দিকে তাকিয়ে থাকা আকাশেই ওড়াওড়ি করে পাপের শকুন!
পড়ে থাকা ধর্মগ্রন্থের বাণীগুলো মুখ লুকায় মানুষেরই রক্তে।
তিন.
ওরা যখন এক হাতে তছবি আর অন্য হাতে চাপাতি নিয়ে নাস্তিক খোঁজে
আমি এক হাতে বিশ্বাস এবং আরেক হাতে রক্ত নিয়ে ঈশ্বর খুঁজি।
তুমি কি কখনো ছবি তোলার আগে আলিঙ্গন করেছো একটি প্রজাপতিকে?
কারণ তুমিতো মানুষের মাঝে উড়ে উড়ে চলছো ভয়হীন শিল্পে
শুধু কাউকে পুষ্প ভেবে পান করেছিলে মৃত্যুকামনার অজস্র মধু
বৃক্ষ কি তোমাকে প্রত্যাখ্যান করে?
তুমি তো ক্যামেরা নিয়ে ঘুরছো, তবু সে তোমাকে কি নেহাত মানুষ ভেবে ভুল করছে?
প্রেম ভেবে কাঠ কাটার খবর পেয়েই কি সে অমানুষের মতো পাতা ঝরাচ্ছে?
কেনো মাকড়শা লাফিয়ে বেড়াচ্ছে তোমার লেন্সের সামনে?
বিনাশী চোখ ক্যামেরার পেছন থেকে দেখা যায় না বলে কি সে একপ্রকার অস্থির?
নাকি জীবনের ফ্রেমে তার মতোই ক্ষুদ্র কাউকে ধরতে পারোনি বলে সে অহেতুক আত্মবিশ্বাসী?
প্রজাপতি, বৃক্ষ কিংবা মাকড়সা কাউকেই তো ভালোবাসোনি ফ্ল্যাশবিহীন প্রেমিকার মতো
তবু কেনো ফিরে যেতে হয়
ঘামে ভেজা ক্যামেরার লেন্সে শুধু কড়া রোদের চিহ্ন নিয়ে?
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..