চেয়ারম্যান সাহেব খুব অনেস্ট
মাকেন্দো গ্রামে ভীষণ বিপর্যয় নেমে আসে। এ গ্রামের কৃষক ও কারিগরেরা শ্রমে-রক্ত-ঘামে যে টাকা-পয়সা…..
ফেসবুকে খবর আসে একজন লেখককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারী পালিয়ে গেছে। কয়েকটি রক্তাক্ত ছবি ফেসবুক জুড়ে সুতো ছেঁড়া ঘুড়ির মতো ঘুরে বেড়াতে থাকে।
ফেসবুকের এক অভিজ্ঞ গোয়েন্দা বলে, নাহ ভিডিও না থাকলে তদন্ত করা কঠিন।
বালিশ বসন্তের এক সৈনিক মন্তব্য করে, ছবিতে দেখলাম সবাই ছবি তুলতে ব্যস্ত। সাহায্য করার কেউ নাই। এরকম ইউজলেস জনতা দিয়ে আমরা কী করবো!
বালিশ বসন্তের সেবক বলে, এই কাপুরুষের দল একসঙ্গে হয়ে বাধা দিতে পারে না বলেই এমন ঘটনা ঘটে।
ফেসবুকের একজন গোয়েন্দা এসে খবর দেয়, নিহতের টাইম লাইন খতিয়ে দেখলাম; সে নাস্তিক।
লেখক নাস্তিক শুনেই ধর্মপ্রাণ মানুষ যারা; তারা বিচারের দাবী জানানোর আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
বিচারের দাবি স্তিমিত হয়ে এসেছে; এটা দেখে নিশ্চিন্ত হয়ে ঘুমাতে যায় বালিশ বসন্তের সেবক।
অসাম্প্রদায়িকতার ঠোঁট সৈনিকেরা এই লেখক হত্যার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা ও ইসলাম ধর্মকে দায়ী করে আবেগঘন বক্তব্য রেখে একটা ইভেন্ট ডেকে ফেলে।
সেলিব্রেটি সংস্কৃতি মামারা ইভেন্টে ইন্টারেস্টেড দেখিয়ে কেটে পড়ে।
ইভেন্টে গোয়িং দেয়া লোকেরাও লাপাত্তা। যে ঠোঁট সৈনিক ইভেন্ট ডেকেছিলো, সে পড়ে যায় বিপদে। অনেক কষ্টে ফোন করে কয়েকজন কাজিন নিয়ে ইভেন্ট করে। নিহত লেখকের বাবা তার সন্তান হত্যার বিচার চান।
টিভিতে নিহত লেখকের বাবার বক্তব্য দেখে একজন বালিশ-প্রেমিক বলেন, এই লোক সরকার সমর্থক নয়। একটু বাম ঘেঁষা।
নিহত লেখকের বাবা সরকার সমর্থক নন শুনে; ‘প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ” স্কোয়াড থেমে যায়।
তবুও “ক্রসফায়ার ভক্ত জোট” এই লেখক হত্যার সঙ্গে জড়িত খুনিদের ক্রসফায়ারে দেবার দাবি জানায়।
আইন-শৃংখলা রক্ষা বাহিনী নিশ্চিন্ত হয়। যদি এই লেখক হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিটা প্রবল হয়ে ওঠে; তাহলে ক্রসফায়ারে একটা বিচারের ফল পেড়ে দিলেই হবে।
লেখক হত্যার ইস্যুটা চাপা পড়ে যায় ফেসবুকে ভেসে ওঠা আরেকটি কুপিয়ে হত্যার ভিডিও-র শিহরণে। ভিডিওতে একজন তরুণীকে দেখা যায়; তরুণকে হত্যায় বাধা দেবার চেষ্টা করছে।
ফেসবুকের অভিজ্ঞ গোয়েন্দার ঠোঁটের কোণায় হাসির রেখা ফুটে ওঠে, নারী ঘটিত ব্যাপার; বুজছি তো।
নারী ঘটিত ব্যাপার এই শিহরণে থির থির করে কাঁপতে থাকে অনেকে। ফেইক আইডিতে পাশের বাড়ির ভাবি পরিচয়ে একজন এসে, হাজার বছর ধরে চলে আসা দুঃশ্চরিত্র নারীর বিশেষণ জুড়ে দিয়ে উপস্থাপিত করে নিহত তরুণের বিধবা স্ত্রীকে।
নারী-ঘটিত ব্যাপার শুনে সচ্চরিত্র সমাজ এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি তোলার ব্যাপারে নিরুতসাহিত বোধ করে।
বালিশ বসন্তের সেবক এসে ঘোষণা করে, এই ভিডিওকারীকে খুঁজে বের করে ক্রসফায়ারে দেয়া হোক।
বালিশ বসন্তের সৈনিক সহমত জানিয়ে বলে, এই কাপুরুষ জনতা ভিডিও করে; কিন্তু মানুষ বাঁচাতে এগিয়ে আসে না।
কিন্তু হত্যাকাণ্ডের ভিডিও থাকায় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকৃষ্ট হওয়ায়; অপরাধীদের গ্রেফতারের নির্দেশ আসে।
ক্রসফায়ার ভক্ত জোট জড়ো হয়ে অপরাধীদের প্রকাশ্যে গুলি করে মারার আহবান জানায়।
‘প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ” স্কোয়াড নেমে এসে বলে, ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী।
এই হত্যাকাণ্ডের ভয়ংকর ভিডিও দেখে বালিশ বসন্তের নেতৃস্থানীয় একজনের স্ত্রী বেশ আহলাদের সঙ্গে বলে, ভাগ্যিস বালিশ বসন্ত এসেছিলো; সেকেন্ড হোমে ছেলে-মেয়েগুলো নিরাপদে থাকায় আল্লাহর হাজার শোকর।
বালিশ বসন্তের নেতৃস্থানীয় লোকটি অস্ফুট স্বরে বলে, ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী।
মাকেন্দো গ্রামে ভীষণ বিপর্যয় নেমে আসে। এ গ্রামের কৃষক ও কারিগরেরা শ্রমে-রক্ত-ঘামে যে টাকা-পয়সা…..
এক রাজার রাজ্যে কিছু চাল ব্যবসায়ী একজোট হয়ে ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতার কাছে গিয়ে বললো,…..
স্ত্রী তার নির্বাচন বিশেষজ্ঞ। ঐ একবার মঈন মামাকে দুটি ঘোড়ামন্ত্রে বশ করে ওপাড়ার প্রণব সাধু…..
জোছনা করেছে আড়ি আসে না আমার বাড়ি গলি দিয়ে চলে যায়, গলি দিয়ে চলে যায়…..