পাগল
চৌদ্দ পনেরো বছর আগের কথা; আমি বসে আছি একটি দোকানে, দোকানটি মূলত আমাদেরেই। দোকানের সামনে…..
না বলা কথা গুলো এবার কথা হোক। দিগন্তের ছায়ায় বসে, কুড়িয়ে রাখি শস্য ঋণ। কিছু নাছোড় অভ্যাস তো রেখে যাও। পছন্দের ব্যালকনিতে চুপকথা খেলে বেড়ায়। সন্ধ্যা ঘনালে ঘুম ভেঙে জেগে ওঠে নক্ষত্র দেশ। আলো ছায়ার মাঝামাঝি কোনো তৃতীয় ভুবনে, আমরা মেতে উঠি অবসর পেরিয়ে এসে। সবে নিদ্রা গেছেন ক্লান্ত ঈশ্বর। একটানা ডেকে অবসন্ন কোকিলটাও, কিছু বা বিশ্রামে। এ বসন্তে না হোক, অন্য কোন প্রাঙ্গনে, অন্য কোনো ঋতু পরিবর্তন, তার সুর খুঁজে পাবে কথার আশ্রয়। গান হয়ে ওঠা তখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
কথার পিঠে কথা সাজিয়ে ফাঁকি দিয়েছ যে এতকাল, সুদে আসলে তা আজ বেসুরো বাজছে। এ সময় আর মানাবে না শৌখিন কবিতার ভিড়। শব্দের আগুনে কতটা পুড়লে কবিতা হয়, তা রইল অজানা। তবুও অক্ষরের সংসারে অনাহুত পা রাখি। তমসা ঘণালে, নিজেকে মনে হয় মফস্বলের রাইকিশোরী। নীল দর্পনে অভিসার লিখি। দীর্ঘ হয় প্রতীক্ষার কাল। মহাভারতের স্বপ্নে বিভোর প্রেমিক আমার, ভুলে গেছে বরসনা গ্রাম, উচ্ছল যমুনা আর অনাদরের বিষে নীল হয়ে যাওয়া রাধা নামের পুরনো বাঁশি খানি। রাত এগোলে সাহস করে পা ফেলি চৌকাঠ ছড়িয়ে বিরুধ্তার উঠোনে।
ঝাকরা অশ্বত্থের মগডালে চাঁদ ওঠে অকারণ। জ্যোৎস্নার খোলসে মোড়া পথ মাড়িয়ে তোমার খোঁজে বেরোই, ধানসিঁড়ি। ফেলে আসা স্রোত, মজে যাওয়া মন, বিবর্ণ অস্তিত্ব পড়ে রইল কদম গাছের তলায়। পাঁজরে ধাক্কা মারছে ছায়ালীন একটা ব্যথা, বোধহয় তোমারই দেওয়া, তাই এত আদরের। কষ্ট আমায় নীরব হতে শিখিয়েছে, শিখিয়েছে পাষাণ হতে। খিদে মরেনি, এ পোড়া শরীরও পাহারা দিচ্ছে আদিম অন্ধকার। মাটির কাছাকাছি থাকার কথা ছিল। কিন্তু দমকা বাতাস উড়িয়ে নিয়ে গেছে অলৌকিক স্বপ্নের দেশে। কবিদের সভায় উপস্থিত বক্তারা সারস্বত সাধনায় বিভোর। এদিকে আমি অক্ষর জ্ঞান হীন। অন্ত্যমিল না থাকা জীবনে, যতটা সারল্য আর অনুভব ছিল, তা তো কবেই ভাসিয়ে এসেছি অচেনা ঘাটের গোড়ালি ডোবা জলে। মনে মনে ভেবেছিলাম সাঁঝের ওপারে, বুড়ো বটের শিকড়ে যখন শনশনিয়ে উঠবে ভিজে হাওয়া, পোয়াতি অন্ধকার ঘিরে ফেলবে শূন্য এ চরাচর, তোমাকে শোনাব সেই রাঙা মেঘের কথা। সে তো হবার নয়, হাতের কলম হাতেই রইল, আর মন সে আর আমার কথা শুনেছে কবে, বিচ্ছিরি রকমের বেয়াদপ একটা। বাদ দাও ওসব গল্প, তার চয়ে এসো শোকের আঁচল থেকে ছড়ানো সাদা খই কুড়োতে কুড়োতে ইচ্ছে নদীর কুলে গিয়ে দাঁড়াই,ধানসিঁড়ি। কালস্রোত ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আমাদের সব অপূর্ণতা। ভরসার হাত টা পেলে, সব অধিকার ছেড়ে দিয়ে চলে যাব সেই দেশে, যেখানে মনখারাপের বাতি জ্বেলে রাখে বিষাদ রঙের পিছুটান।
চৌদ্দ পনেরো বছর আগের কথা; আমি বসে আছি একটি দোকানে, দোকানটি মূলত আমাদেরেই। দোকানের সামনে…..
১৮ মার্চ ২০১৯ মধ্যরাত! চারদিক অন্ধকারে ঢেকে আছে শুধু বাড়ির চারিপাশে বিদ্যুতের বাল্বগুলো জ্বলছে তাদের…..
জোছনা করেছে আড়ি আসে না আমার বাড়ি গলি দিয়ে চলে যায়, গলি দিয়ে চলে যায়…..
পাঠকদের প্রায় জনেই হয়ত জানেন, সমকাম কি ? সমকামী কারা ? সমকামীর প্রকারভেদ, কেন…..