ধূমকেতু

কাওসার চৌধুরী
গল্প
ধূমকেতু

অফিসে কাজের তেমন ব্যস্ততা নেই আজ। তারপরও প্রতিদিনের মত রেবেকা ম্যাডাম ঠিক সময়ে এসেছেন। প্রতিদিন সকাল নয়টা-নয়টা তিরিশের মধ্যে অফিসে পৌছান তিনি। গত দুই-তিনদিন থেকে সারা দেশে রাজনৈতিক আন্দোলন চলছে। তবে ঢাকার অবস্থা তুলনামূলক ভাবে একটু বেশিই খারাপ। এতো রাজনীতি, এতো আন্দোলন কেন হয়? রেবেকার ছোট মগজে তা ধরে না। কবে ইলেকশনে ভোট দিয়েছিলেন মনে নেই। বাংলাদেশের প্রচলিত ভোট আর ক্ষমতার রাজনীতি পছন্দ নয় তার। দলগুলোর মারামারি, কাটাকাটি, হানাহানি ও হিংসা-বিদ্বেষের জন্য প্রায় সময় ব্যবসায় অনেক লস হয়, বিদেশি ভায়াররা দেশে আসতে ভয় পায়। সময়মতো শিপমেন্ট হয়না। এজন্য বিদেশীদের কাছে নিজের দেশের সুনাম ক্ষুন্ন হয়। লজ্জিত হন।

বায়িং হাউজের ব্যবসা রেবেকার। বনানীতে বহুতল ভবনে বিশাল অফিস তার। ২১ তলা ভবনটির টপ ফ্লোরে বসেন তিনি। কোম্পানির অধীনে ১১টি গার্মেন্টসও আাছে তাদের। তিনটি মিরপুরে, পাঁচটি টঙ্গী আর বাকি তিনটি নারায়নগঞ্জে। বিশাল এ কোম্পানীর চেয়ারপার্সন হলেন রেবেকা ম্যাডাম। বনানীর এ অফিসটা মূলত বিদেশী বায়ারদের সাথে অন্যান্য কোম্পানীগুলোর সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া প্রতিটি গার্মেন্টসের দায়িত্বে থাকা একজন করে জিএমও আছেন এখানে। আছেন কোম্পানির এইচআর, ডিজাইনার ও মার্চেন্টাইজার।

সব কয়টি কোম্পানীর অপারেটর/অফসিয়াল মিলে প্রায় চব্বিশ হাজার মানুষ রেবেকার অধীনে কাজ করেন। তবে বনানীর এ অফিসে আছেন সর্ব সাকুল্যে ৯৩ জন কর্মচারী/কর্মকর্তা। লক্ষনীয় বিষয় যে, তার অফিসে কর্মরত অফিসার/কর্মচারীদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি মহিলা। মহিলাদের জন্য আছে আলাদা ওয়াশ রুমের সুব্যবস্থা। মহিলারা যাতে অফিসে কমফোর্ট ফিল করেন এজন্য সদা সতর্ক থাকেন তিনি। মহিলা কর্মচারী, কর্মকর্তাদের জন্য আছে বেতন সহ ছয় মাসের মাতৃত্বককালীন ছুটির বিধান। এছাড়া বিবাহ ভাতার ব্যবস্থাও আছে।

প্রতিদিন অফিসে এসে নিয়ম করে এক কাপ গ্রীন টি পান করেন তিনি। বেশ কয়েক বছর থেকে নিয়মিতভাবে চলছে এটি। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রতিদিন নিজেই কেতলিতে পানি গরম করে গ্রিণ টি তৈরী করেন। একান্ত প্রয়োজন না হলে কর্মচারীদের বিরক্ত করেন না। আজ দিনটি মেঘলা, মাঝে মাঝে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিও হচ্ছে। বৈশাখ মাসের এ সময়টাতে কাল বৈশাখী হয় বলে খুব ভয় পান তিনি। বিদ্যুৎ চমকালেও ভীষণ ভয় হয় তার। পত্রিকায় পড়েছেন ইদানিং বজ্রপাতে বাংলাদেশে অনেক মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। ছোট বেলা থেকেই অন্ধকার, ঝড় ও বজ্রপাতকে তিনি ভীষণ ভয় পান।

রেবেকা ম্যাডামের অফিসটি বেশ ছিমছাম। গোছানো। আছে চার-পাঁচটি চেয়ার, একটি আলমারি ও দুইটি সেল্ফ। এছাড়া আছে মাঝারি আকারের একটি সোফা ও ওয়াশরুম। আছে দক্ষিণমুখী একটি জানালাও। জানালাটি সব সময় ভারী পর্দা দিয়ে আবৃত থাকে। পুরো অফিসটি এসি। এজন্য রুমের পর্দা/জানালা খোলার তেমন  প্রয়োজন পড়ে না। যখন ঝম ঝম বৃষ্টি হয়, পশ্চিম আকাশে সূর্য হেলে পড়ে তখন পর্দাটা একটু ফাঁক করে প্রকৃতির এ রূপ-সৌন্দর্য উপভোগ করেন তিনি।

হঠাৎ পিএস মেয়েটি দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকতে অনুমতি চাইলো–

  — আপা, জিএম স্যার আপনার সাথে দেখা করতে চান।

  — ঠিক আছে পাঠিয়ে দাও।

ম্যাডামের অনুমতি পেয়ে জিএম সাহেব ভেতরে প্রবেশ করলেন।

  — কি অবস্থা জিএম সাহেব, কিছু বলবেন?

  — সুখবর আছে ম্যাডাম। সুইডেনের এইচ এন্ড এম কোম্পানির অর্ডারটি ফাইনাল হয়ে গেছে। আগামী ক্রিসমাসের আগে তারা পঞ্চাশ হাজার পিস লেডিস সার্ট ও ত্রিশ হাজার পিস লেডিস ডেনিম প্যান্ট আমাদের কাছ থেকে নেবে। আর ইউএসের গ্যাপের অর্ডারটিও দুই-এক দিনের মধ্যে চূড়ান্ত হয়ে যাবে। জার্মানির এডিডাসের শিপমেন্ট আজ বিকালে হয়ে যাবে আশা করছি।

  — ভাল। খুশির সংবাদ। আপনারা সঠিকভাবে কাজ করছেন এজন্য এইচ এন্ড এমের কাজটি পেয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে।

  — না, ম্যাডাম এ কৃতিত্ব আপনার। আপনি দক্ষ হাতে কোম্পানিটা পরিচালনা করছেন বলে আমরা সফলতা পাচ্ছি।

জিএম লোকমান সাহেবকে আবারো ধন্যবাদ জানিয়ে ফাইলে সই করলেন রেবেকা ম্যাডাম। ফাইলটি তার হাতে দিতে দিতে প্রশ্ন করলেন-

  — নতুন কাজটির তদারকির দায়িত্ব কাকে দিয়েছেন?

  — এখনো কাউকে সিলেক্ট করা হয়নি, ম্যাডাম।

  — দায়িত্বটা মিস্ মিলা রহমানকে দেবেন। আর তাকে বলবেন, এক্ষুণি যেন আমার সাথে এসে দেখা করে।

  — ঠিক আছে ম্যাডাম। আ-সি।

  — হ্যা, আসুন। আরেকটি কথা……..

  — জি, ম্যাডাম।

  — বিকাল তিনটায় জিএমদের নিয়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয় আছে, সবাইকে জানিয়ে দেবেন। নতুন একটি নিট ওয়ার কোম্পানি খোলার প্লান আছে।

  — জি, অবশ্যই।

রেবেকা ম্যাডামের অফিসে অদ্ভুত একটি নিয়ম আছে। নিয়মটি এরকম; কোম্পানীর জিএম/ম্যানেজার/বায়ার/মার্চেন্টাইজারের কাছে তিনি ম্যাডাম। তবে সাধারণ কর্মচারী/শ্রমিকদের কাছে তিনি আপা। রেবেকা আপা। এটি তার অফিস অর্ডার।

গত চার বছর হলো রেবেকা ম্যাডাম কোম্পানীর চেয়ারপার্সনের দায়িত্বে আছেন। স্বামী আসলাম বেপারী মারা যাওয়ার পর থেকে। অতিরিক্ত নারী ও মদের আসক্তি স্বামী নামের লোকটিকে শেষ করে দিয়েছে অকালে। লিভার ও কিডনি ডেমেজে মৃত্যু হয়েছে তার। স্বামীর মৃত্যুর পর অনেক ঝড়-তুফান গেছে রেবেকার উপর দিয়ে। আসলামের বিশাল এ সম্পদের উপর অনেকেরই লোলুপ দৃষ্টি ছিল। অনেক মামলা মোকদ্দমাও মোকাবেলা করতে হয়েছে রেবেকাকে। কিছু সম্পদ হাতছাড়া হলেও কোর্টের রায়ে স্বামীর বেশিরভাগ সম্পদ ফিরে পেয়েছেন তিনি।

রিসিপশনিস্ট হিসাবে আসলাম বেপারীর একটি কোম্পানীতে চাকরি করতেন রেবেকা। মফস্বলের একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে ঢাকায় মামার বাসায় থেকে জগন্নাথ কলেজ হতে মার্কেটিংয়ে অনার্স করেছেন তিনি। পাশাপাশি ইংরেজি বিষয়েও তার ভাল দখল ছিল। দেখতে আহামারি সুন্দরী না হলেও শ্যামলা চেহারার মাঝারি গঠনের আধুনিক, স্মার্ট একটি মেয়ে ছিলেন রেবেকা ম্যাডাম। ছোটবেলা থেকেই খুব চটপটে, মেধাবী ও কর্মট ছিলেন তিনি। কম্পিউটারে ভাল টাইপও জানতেন।

কাজ করতে করতে কখন যে আসলাম বেপারীর শিকারে পরিণত হলেন আজো ভেবে পাননা তিনি। এ বিয়েতে রেবেকার কোন মত না থাকলেও পরিবারের চাপাচাপিতে শেষ পর্যন্ত রাজি হন। বিয়ের আগে আসলাম লাগামহীন জীবনযাপন করলেও পরবর্তীতে রেবেকা তাকে অনেকটা কন্ট্রোলে নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু মদ আর পর নারীর প্রতি আসক্তি শেষ পর্যন্ত কাল হল তার। স্বামী নামের লোকটার জন্য তেমন মায়া নেই রেবেকার, তবে আছে কৃতজ্ঞতাবোধ আর কিছু অম্ল-মধূর স্মৃতি।

রেবেকা ম্যাডামের একমাত্র ছেলে পার্থ অস্ট্রেলীয়ায় পড়াশুনা করে। হলিডে হলে বছরে দুইবার দেশে আসে। মা কখনো চাননি ছেলেটা বিদেশে পড়তে যাক। শেষ পর্যন্ত ছেলের জেদের কাছে হার মানতে হয়েছে তাকে। বাবার সম্পত্তি, ব্যাবসা-বাণিজ্য কোন কিছুর প্রতি ছেলেটির তেমন আগ্রহ নেই। ভয় হয় যদি ছেলেটি ফিরে না আসে? ছেলেকে নিয়ে বেশী ভাবতে পারেন না রেবেকা। ইদানিং কি যেন হয়েছে তার একটু টেনশন হলে প্রেসারটা হাই হয়ে যায়। মাথা ভন ভন করে ঘুরায়। চোখে অন্ধকার দেখেন।

ছোটবেলা টিভি দেখার প্রতি খুব আগ্রহ ছিল তার। তবে নিজেদের বাড়িতে কোন টিভি ছিল না। যখন নানা বাড়িতে যেতেন তখন ফিলিপ্সের সাদা কালো ১৪ ইঞ্চি একটি টিভি দেখার সুযোগ হতো। প্রতিদিন পাড়া প্রতিবেশি অসংখ্য মানুষ টিভি দেখতে ভীড় করতো নানা বাড়িতে। শুক্রবার বিকালে বিটিভিতে বাংলা ছায়াছবি দেখানো হতো ফলে পাড়া প্রতিবেশী থেকে প্রচুর দর্শক সমাগম হত। ব্যাপারটি বেশ ভাল লাগত তার।

কিশোরী রেবেকার স্বপ্নগুলো ছিল খুব সাদামাটা। একটি রঙিন টেলিভিশন। একটি দুই কামরার ছোট্ট বাসা। দুই বেলা পেট ভরে ডালভাত। একজন ট্রেনের ড্রাইভার স্বামী। তিনটি ফুটফুটে বাচ্চা। একটি স্টাইলিশ কালো চশমা। সুন্দর লাল পাড়ের একটি বেনারসি শাড়ি। সিলেটের জাফলং আর কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যাওয়া ইত্যাদি।

এখন তার বাসায় সনির ৬২ ইঞ্চি দু’টি স্মার্ট টিভি আছে, কিন্তু দেখা হয়না। উত্তরায় ৮ বেডরুমের ডুপ্লেক্স ভিলা তার। এ পর্যন্ত পৃথিবীর প্রায় বিশটি দেশ ঘোরা হয়ে গেছে। কিন্তু অবাকের বিষয় এতো পাচুর্য্যও তাকে আকৃষ্ট করতে পারে না, সুখ দিতে পারে না। বাসায় গেলে একাকীত্ব তাকে কুড়ে কুড়ে খায়। প্রাসাদপম এ অট্টালিকাকে কখনো কখনো তার কাছে নরক মনে হয়।

হঠাৎ রিসিপশনিস্ট শেফালির ডাকে চমকে উঠলেন রেবেকা। ভাবনায় ছেদ পড়ল।

  — আপা আসতে পারি?

  — কিছু বলবে?

চোখের ইশারায় সম্মতি দিয়ে জানতে চাইলেন।

  — আপনার নতুন যে ড্রাইভার আসার কথা ছিল উনি এসেছেন। আপনি অনুমতি দিলে ভেতরে নিয়ে আসবো।

  — ঠিক আছে পাঠিয়ে দাও।

ড্রাইভিং লাইসেন্সটা হাতে নিয়ে রেবেকা চমকে উঠলেন, নামটি খুব পরিচিত তার। কিন্তু লোকটিকে তো পরিচিত মনে হচ্ছে না।

  — ম্যাডাম?

হাতের ইশারায় উনাকে সামনের চেয়ারে বসতে বল্লেন। সাথে প্রশ্ন জুড়ে দিলেন-

  — আপনি আগে কোথায় কোথায় চাকরি করেছেন?

  — ম্যাডাম, আমি গত বিশ বছর কুয়েতে এক শেখের বাড়িতে গাড়ি চালিয়েছি। এর আগে দুবাইতেও কয়েক বছর ড্রাইভিং করেছি।

  — পড়াশুনা কতদূর আপনার?

  — পড়াশুনা তেমন করতে পারিনি ম্যাডাম। ইন্টারমিডিয়েটে পড়ার সময় পরিবারের হাল ধরতে দুবাই চলে যাই। এক বছর হলো একেবারে দেশে চলে এসেছি। আমার ইচ্ছা ছিল না, ছেলে-মেয়েরা জোর করে নিয়ে এসেছে। আমার ওয়াইফও চাচ্ছিলেন আমি দেশে চলে আসি। আপনাদের দোয়ায় বউ বাচ্চা নিয়ে অনেক সুখে আছি, ম্যাডাম।

  — ভালো। দেশে থাকলে পরিবারকে আরো বেশি সময় দিতে পারবেন।

  — বাড়ী?

  — বাড়ি গাইবান্ধা।

  — গাইবান্ধা?

  — জি।

  — ইন্টারমিডিয়েট কারমাইকেল কলেজ, রংপুর?

মুখের দিকে চেয়ে চট করে বলে উঠলেন, রেবেকা ম্যাডাম।

  — কেমনে জানলেন ম্যাডাম, লাইসেন্সে তো কলেজের নাম লেখা নেই?

  — এখন কি আপনি কোথাও চাকরি করেন?

  — হ্যা, ম্যাডাম। একজন ডাক্তারের প্রাইভেট কার চালাই। কিন্তু সুযোগ সুবিধা তেমন পাইনা। বুঝেনই তো সংসারে খরছ বেড়ে গেছে। বড় কোন কোম্পানীতে কাজ করলে হয়তো বেশি সুযোগ সুবিধা পাব এজন্য এসেছি।

  — ঠিক আছে। আপনার কন্টাক্ট নাম্বারটি রিসিপশনে রেখে যান। আপাতত আমাদের কোন ড্রাইভার লাগবে না। প্রয়োজন হলে অবশ্যই কল করব।

  — ঠিক আছে ম্যডাম। আসি।

লোকটি বের হয়ে যেতেই রেবেকা ম্যাডাম ডুকরে কেঁদে উঠলেন। নিজেকে আর সামলে রাখতে পারলেন না। চোখ দিয়ে বানের জলের মতো অশ্রু ঝরতে লাগল তার। অনেক বছররের ছাই চাপা আগুনটি আজ কালবৈশাখীর ঝড়ে উলট-পালট করে দিল। ডাকনাম মারুফ। বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী। রেবেকা তাকে গাই গরু বলে খেপাতেন। কারমাইকেল কলেজের সহপাঠি। রেবেকার পৃথিবী। জীবন। সব সব। হারিয়ে যাওয়া ধূমকেতু।।

কাওসার চৌধুরী। লেখক ও গবেষক। জন্ম সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার এওলাসার গ্রামে। পড়ালেখা প্রথমে সিলেট সরকারি কলেজ, এরপর যুক্তরাজ্যে বিবিএ ও এমবিএ ডিগ্রি লাভ, এবং স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো থেকে সিএ (কোয়ালিফাইড)। বর্তমানে তিনি শিক্ষকতা, লেখালিখি ও গবেষণা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন।

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

বালির বেহালা

বালির বেহালা

বুড়িমাসি বলেন,জীবনটা বালির ঘর গো।ঢেউ এলে ধুয়ে যায় জীবনের মায়া।তবু বড় ভালবাসা ওদের দাম্পত্যে।রোদের চাদরের…..

তদন্ত

তদন্ত

  এক ড্রইং রুমে বসে রয়েছে সদ্য কিশোর উত্তীর্ণ তরুণ গোয়েন্দা সজীব। সামনের টেবিলে ছড়িয়ে…..