দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
ঝন ঝন করে উঠে
উল্লাস ফেটে চৌচির ।
এই যে এত কিছু
তার চুলচেরা বিশ্লেষণ দেখি বা দেখিও না ।
তাদের অক্ষরে একচোখা জ্বলজ্বলে তোপ !
তোমায় কি বলি?
তার চেয়ে ভেঙ্গে গিয়ে নিজ পরিধিতে অস্থির হতে থাকি
ঝাপ্সা চোখে কস্টের অক্সিজেন শ্বাসে ভরি।
তারপর নিশ্চিত বিষণ্ণ বিকেল ঘুরে ফিরে
প্রাচীন রাত টেনে আনে ।
কিছু উদাসী আঁধার একত্র হয়
একাত্ব ও হয় , খুব গোপনে একলা দাঁড়ানো আয়না
নামগোত্রহীন হয়ে পড়া বিম্বের মায়ামুখ
আগলে রাখে।
এই সব প্রাচীন জটিলতায়
পথগুলো একা হয়ে গেলে
করুন মুখে দাঁড়িয়ে থাকে
কিছু কচি সোনা ভোর
আলু থালু শিথান।
আচ্ছন্ন অন্ধকারে ওপাশের দাওয়ায়
বিপন্ন জলের দাগ লেগে থাকে
বোধের গোঙ্গারানি ছুঁতে পারে না
যথাযথ শব্দমালা।
অথচ
বিস্মিত চোখ সামাজিক আলোয় দেখে
মুঁচড়ে পড়া ছিন্নভিন্ন হৃদপিণ্ড
পরিপাটি পোশাকে ঠিক হেঁটে চলে যায়—
অবিখ্যাত পংতিমালায়
সাজানো ছিল নির্বোধ অক্ষর।
অ-কবি আর কবিতায় বিশেষত্ব হীন
বিবর্ণ আর অ-গভিরের
দহন নিয়ে উঠে আসে বোকা সন্দেহ।
সেই সব কাল কাল অক্ষর জুড়ে
ঝড়-জল , রোদ -তাপ
নির্বিবাদে এসে চলে যায়।
তা নিয়ে দাম্ভিক কবিদল ঘোষণা পত্রে
তলে ধরেন বহু কৌণিক তাৎপর্যের
বাতিল সমাচার।
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..