দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
ধূসর সন্ধ্যা
কেমন যেন মন আকাশেই মেঘ
জ্বলছে শুধু অভিমানের আলো
মেঘের ফাঁকে লুকিয়ে গেলে চাঁদ
বজ্র নিনাদ ভীষণ চমকালো।
আকাশ ঘিরে মেঘের ছোটাছুটি
বিষন্নতা ভর করেছে মনে
বৃষ্টি জলে অশ্রু লুকাই তখন
অন্ধকাররাও কাঁদছে ক্ষণে ক্ষণে।
দৃষ্টি মেলে ঝাপসা দেখি খুব
আঁধার যদি আলোর নাগাল পায়
কার বিরহে লিখছি কাব্যখানা
রঙহীন এই ধূসর সন্ধ্যায়।
আবছায়া এক সন্ধ্যা নামার ক্ষণ
কার অভাবে জানালা খুলে রাখি
অভিমানের দুয়ার গেছে খুলে
বার্তা নিয়ে আসছে অচিন পাখি।
বলছে কথা ফিসফিসিয়ে কানে
সেও নাকি আমার মতই একা
হলুদ খামে পাঠায় ভোরের চিঠি
গুটিয়ে নেওয়া তাহার কাছেই শেখা।
চশমারা হোক ধূলোময়
ওভাবে তাকিয়ো না,
যেভাবে তাকালে আমি একেবারে
ভেঙেচুরে যাই।
নিজেকে সোজা করে দাঁড়াতে না পারি।
বরং কঠিন হও
ফিরিয়ে দাও আমার তেজস্ক্রিয় আবদার
ফের পথে যদি হই অবহেলার ভাঁটফুল
খোঁপায় গুঁজে নিও অবসরে।
একটুকরো রোদ এই মলিন বুকে পড়ুক
মুছে যাক কবিতার পঙ্কিলতা
এক জীবনের যতটুকু তুচ্ছতা আমার
সবটাই উৎসর্গ করবো তোমার নামে।
ধুলো যদি পরেই যায় চশমায় তবে মুছবো না রুমালে
থাকুক কিছু অদেখা অস্পষ্টতা ।
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..