দৌড়
একবার এক দৌড় প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুবই ভালো দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। সবাইকে পেছনে…..
সকাল থেকে মসজিদের সামনে বসে আছে তৈমুর। ইমামসাহেব যতবার বাইরে এসেছেন ততবার হাত জোর করে মিনতি করছে। তিনি রেগে ধমকাচ্ছেন। মসজিদে একটা সুন্দর খাটিয়া এসেছে, এ গ্রামের মোতালেবমিয়া অনেক বছর আরব দেশে আছেন। তিনি নানা কারুকার্যখচিত খাটিয়াটা মসজিদে হাদিয়া দিয়েছেন। মসজিদের ভেতরে রাখা খাটিয়াটা দেখতে নানা জায়গা থেকে লোকজন আসছে।
গতবছর চুরির দায়ে ধরা পড়লে তৈমুরের মসজিদে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছেন ইমামসাহেব। তাতে ওর কিছু যায় আসে না। এমনিতেও সে মসজিদে যায় না। তবে খাটিয়া দেখার খুব সখ।
ব্যর্থ হয়ে রাতে বাড়ি ফিরে যায়। ততক্ষণে ইটভাটায় কাজ শেষে তৈমুরের বউ সুরিয়াও ফিরে এসেছে। তৈমুর ইটভাটায় কাজ করতো। ভাটার আগুনে পা পুড়ে যাওয়ার পর কাজ করেনা। সুরিয়ার কামাইএ দু’জনের খাওয়া চলে।
রাতে দু’জন পাশাপাশি শুয়ে আছে, তৈমুর ঘুমাতে পারছেনা। ছটফট করছে, সুরিয়াকে জানালো মসজিদে যে খাটিয়াটা এসেছে সেটা দেখার খুব সখ। কিন্তু ইমামসাহেব ওকে মসজিদে ঢুকতে দিচ্ছে না।
সুরিয়া পরামর্শ দিলো ইমামসাহেবের কাছে গিয়ে তওবা করতে, তাহলে তিনি মসজিদে ঢুকতে দেবেন। খাটিয়াও দেখা হবে।
পরদিন সকালে সবাই দেখলো, ইমামসাহেব তৈমুরকে একশত জুতার বাড়ি মেরে প্রায়চিত্ত করিয়ে তওবা করালো। জুতার আঘাতে বিপর্যস্ত তৈমুর খুশি মনেই তওবা করলো। শুধু সুরিয়ার চোখে জল।
বাড়ি ফিরে তৈমুর সারাদিন বমি করলো আর ছেঁড়া চটে শুয়ে নকশীখাটিয়ার স্বপ্ন দেখলো।
পরদিন সকালে হেলিকপ্টারে প্রবাসী নেয়াজচৌধুরীর লাশ এসেছে,গ্রামের কবরস্থানে দাফন হবে। জানাজার সময় নকশীখাটিয়ার মধ্যে নেয়াজচৌধুরীর মরদেহ। দূর থেকে সুরিয়াও দেখলো।
একদিন পর, তৈমুর মারা গেলো। সুরিয়া বসে আছে মসজিদের পাশের গাছতলায়। গোরস্থানে নেয়ার জন্য নকশীখাটিয়াটা চায়। ওর কথা কেউ শুনছে না।
বিকেল হয়ে এসেছে, বাউল বাতাস বইছে, ঝড় উঠবে।
ঝড়বৃষ্টি ভেদ করে সুরিয়ার চিৎকার , ‘আল্লার কালাম পইড়া তওবা করনের পর মানুষডা ক্যান খাটিয়া পাইবো না, মরণের পরও মাইনশের মধ্যে ভাগ থাহে?তইলে কইলেন ক্যান হাসরের ময়দানে হগলে সমান’।
উথাল-পাতাল বৃষ্টির শব্দের সাথে মিশে গেছে সুরিয়ার চিৎকার। নেয়াজচৌধুরীর নতুন কবরের মাটিও ভিজে যাচ্ছে বৃষ্টিতে। কবরের উপরে দেয়া লাল শামিয়ানা বৃষ্টির তোড়ে নুইয়ে গেছে।
একবার এক দৌড় প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুবই ভালো দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। সবাইকে পেছনে…..
সকালে উঠে মায়ের মমতামাখা মুড়ি ও লিকার চা খেতাম। তারপর দাদু বলতেন, এবার পড়তে বোস।…..
রোজকার সূর্য ওঠার মত বেলি ভোরে উঠে দরজায় সামনে জল দেয়,ঝাঁট দেয়, ফুল তোলে। তারপর…..
একটি সুপ্রতিষ্ঠিত কর্পোরেট অফিসের চাকরির ইন্টারভিউয়ে জটিল একটি প্রশ্ন করা হলো। প্রশ্নটি হচ্ছে –…..