আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
পৃথিবীর গায়ে লেগে থাকা আগাছাগুলো,
পৃথিবীকে মৃত বলে ঘোষণা করবে একদিন!
নিরুপায় পৃথিবী অপেক্ষায় গোনে দিন!
দর্প,হননের বিষাক্ত আকর্ষ একে,ওকে মেরে বাঁচে!
জল,স্থল,আকাশের আনাচে কানাচে দূষিত চিৎকার;
শূণ্য মহাকাশের অবিরাম গতি স্তম্ভ,বিস্মিত!
দেখে অদ্ভুদ রঙ্গমঞ্চ সংকীর্ণতার!
শূন্যের স্থির চোখ,বলে বার বার-
‘ব্রহ্মান্ডের ওঁম শব্দ এসো কান পেতে শুনি,
আমি আর তুমি।
কীটসম জীবনের দাম,
ঠিক যেন বালুকায় লেখা নাম!
মিশে যাবে সাগরের বুকে ছাই হয়ে ধূলার দরে!
তার আগে চলো অতীতের মাটি খুঁড়ে খুঁজে আনি সে শব্দ,
যা মানুষকে মানুষ করে!’
কবিভাবনা থেকে কবিতারা যবে
বেরিয়ে আসে,
মন উপবন পূর্ণ তৃপ্ত,
বর্ণ সুবাসে।
সৃজনী গানের অনুসন্ধানে,
বিরহী কলম,
ঝরে পড়া নীরে শব্দ শোনে,
স্থির নিঃশ্বাসে;
কবিভাবনা থেকে কবিতারা যবে
বেরিয়ে আসে,
মন উপবন পূর্ণ তৃপ্ত
বর্ণ সুবাসে।
স্বাগত জানায় ওঙ্কার সুরে
শঙ্খ ধ্বনি,
এককোণে থাকা অর্ধচেতনে
আমি একাকিনী;
প্রাঞ্জল হাসি কথা বলে যায়
অনুপ্রাসে,
কবিভাবনা থেকে কবিতারা যবে
বেরিয়ে আসে,
মন উপবন পূর্ণ তৃপ্ত
বর্ণ সুবাসে।
সেদিন পড়ন্ত বিকালে আমার বুকেও আঁধার নেমেছিলো;
তোমার চলে যাওয়াটা রাস্তার সাথে মিশতে দেখেছিলাম।
থমকে যাওয়া পৃথিবীতে সচল ছিলো কেবল আমার অবাধ্য অশ্রুধারা!
নিথর দেহ নিয়ে,
পাষাণ সম পা দিয়ে, বাড়ি অবধি হেঁটেছিলাম কোনোমতে!
রাতভর কেঁদেছি;
সিলিঙে তাকিয়ে,দেওয়া-নেওয়ার অঙ্ক কষেছি;
তবু মেলাতে পারিনি!
অঙ্কে আমি আগাগোড়াই কাঁচা!
তোমার সাথে কাটানো সন্ধ্যাগুলো,
তারা হয়ে জেগেছিলো,আমার সাথে সারারাত!
আর কতটুকু ভালোবাসলে তুমি এতটুকু কাছে থাকতে?
আর কতটুকু নিজেকে বিলিয়ে দিলে তুমি আমাকে তোমার কাছে রাখতে?
রাতের সব সাদা কালো অস্থিরতা,
ভিড় করেছিলো দশ বাই দশের রঙিন ঘরটায়!
নাম না জানা অন্ধকারে হারিয়েছি রাতের পর রাত!
দিনের পর দিন সেই পথে দাঁড়িয়েছিলাম তোমার অপেক্ষায়!
চমকে দেওয়া চোখ নিয়ে হঠাৎ যদি হাজির হও তুমি,
যেমনটা তোমার স্বভাব;
কিন্তু তুমি আসোনি!
ঘড়ির কাঁটায় কয়েক বসন্ত পেরিয়ে গেছে।
পলাশ আজও আমার প্রিয়;
কুহুতানে আজও ফাগুনের গান গাই;
দোলের নেশায় রঙিন সাজে সাজি,
শুধু তুমি নেই!
তবু বেঁচে আছি,
ভালো আছি;
নতুন আকাশের বুকে,
এক সমুদ্র নতুন ভালোবাসা নিয়ে;
চলমান পৃথিবীতে,
তুমিহীন জীবনে।
ঝরে পড়া পাঁপড়ির রক্তাক্ত আঙিনায়,
গোলাপের দীর্ঘশ্বাস;
আর নেই সুরভির আবরণে
ব্যস্ততায় বেড়ে ওঠা;
আজ কেবল অবকাশ!
মৃত্যুরা ভয়ানক পিপাসায়,
হাত ধরে হেঁটে বেড়ায়,
চারিদিক চাতকের মত;
জীবনগুলো নিমেষে নত।
বিস্মিত কুঁড়িদল শিহরিত শিরায়,শাখায়;
যতটুকু আছে প্রাণ,
আদরের কাঁটায়,পাতায়,
বেঁচে নাও আকাশ ভরে।
মরণের চুমুকে শেষ সব গান!
জড়দেহে মূক হবে মান-অভিমান!
এর চেয়ে বরং,
অবশিষ্টকে আলিঙ্গন
করে হেসে নাও;
আর একটু ভালোবেসে নাও!
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..