দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
দূরান্তরের যত কাঠের বাড়ি
ভুল রাস্তায় চলে যাওয়া কতবার
আমার অনুবাদের পাশে তোমার
সাইকেল এসে থামে
উপনদীশাখানদীপরিধীতে সমস্ত ম্যাজিক ম্লান
হয়ে যায়
গাঢ় মেঘে ডুবে যাওয়ার ইঙ্গিত
ভুলা মাষাণের থান
অবসর ও অবসাদের দিনে কুন্ডলী
পাকানো সাপ
শীতঘুমের কথা লিখবো আর সাপ থাকবে
না!
ধান নিয়ে ঘরে ফিরছে হেমন্তের চাষি
আমি ঘাসবনের এক ডাকপিয়ন
ফড়িং শালিকের পাশে বসে একা একা কথা
বলি
বড় বড় কাঠের পিঁড়ি
মাছ ভাজছেন মা
ঠাকুমা খেঁজুর গুড়ের পায়েস
কত কত জন্ম থেকে নাচগান
গল্প ঘিরে বাঘের ডাক
অনন্ত খামার দিয়ে জীবন
সাজাই
কেমন ঘোরের ভিতর থাকি
পাখিদের ডানার নিচে থাকি
শীতের শিস,সার্কাস ও ঘোড়ার
গাড়ি
দেখাসাক্ষাত হয় না মাঠের ইঁদুরের সাথে
হাতে হাতে তালি
বাজে,জঙ্গলপথে
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..