নস্টালজিক বৃষ্টি ও অন্যান্য

মাহমুদ নোমান
কবিতা
Bengali
নস্টালজিক বৃষ্টি ও অন্যান্য

নস্টালজিক বৃষ্টি

দাঁড়কাকের পাখা ঝাপটানো ঘোলাটে জল
পুরো আকাশে ছড়িয়ে গেল
ছিটিয়ে পড়ল রাশি রাশি ঠোঁটের কারুকাজ ;
জমিয়ে গেল কয়েক টুকরো
কালো কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী
চুপচাপ চোখের কোণ থেকে
বেয়ে পড়ল তুমিময় বৃষ্টি,
বোধের জীর্ণ ডাকঘরে চিঠি ভিজছে…
স্বর্গের বাচ্চাটি চেঁচিয়ে কাঁদতে,
শ্বাসের দেয়ালে মাথা ঠুকছে সূর্য!

 

শরতের দুপুরে নস্টালজিয়া

বাঁশবেঁড়ার ফাঁক গলে স্বর্ণকেশি রোদ
জাপটে ধরে পুরনো ক্ষতে
বুড়ো আঙ্গুলের দুই নখে
পিছলায় দাঁত খিঁচে,
যেখান থেকে জলজ চুমো
বেহাত হয়ে গেছে,
গাড়ির টায়ারে ঘুরতে ঘুরতে
আতারাপের নাইওরি
অনবরত বমি করছে,
চোখের কোণায় রক্তের দাগ
ডুবে গেছে মনের রাজধানী
চিনিপানার গ্লাসে…

 

বর্ষা শেষের দিনগুলি

নাবালক ধানগোছায়-
ডাহুকী চরের মাজারে
কোলাব্যাঙের ছেমা জিকির।
ডমরুর তালে নাচে বধূয়া,
তেড়ে আসে সর্প -দেয়াং পাহাড়ের
ওপার থেকে।

ইস্কিমের ঘোলাজলে সারসের বুজরুকি;
ডিগবাজি দেয় চাঁদকুড়া,
বোয়ালের পাখনায় তিরতিরে
নাওরির পান-বাতাসার চদুল।
ছনের ঘরে কৈতর জোড়ার
তুমুল গোঙানি।

দুর্গাবাড়ির উলু-
চিত্রল হরিণের মতো দৌড়ে
পাহাড়ি মদে সন্ন্যাসীর
অজ্দে,পরমেশ্বর বেমালুম।
বৃষ্টির পতিতালয়ে ফুটে-মিছকিনের
প্রিয় গেন্দাফুল।

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ