বাংলাদেশের বইমেলায় পশ্চিমবঙ্গের বই-প্রসঙ্গে সাম্প্রতিক বিতর্ক
বাংলা একাডেমি কর্তৃক ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী একাডেমি প্রাঙ্গন ও সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে আয়োজিত একুশে বইমেলা ২০২৩ শেষ…..
‘নারীই নারীর শত্রু’ এই এই ধারনাটি কি সম্পূর্ণভাবে পুরুষতান্ত্রিক প্রবচন?
কেলি ভেলেন এর টুইস্টেড সিস্টারহুড গ্রন্থে একটি সার্ভের কথা বলেছেন। যাতে দেখানো হয়েছে তিনহাজার স্থুলকায় নারী জানিয়েছে তাদের মাঝে ৯০ শতাংশ অন্য নারীদের কাছ থেকে দুর্ব্যবহার এবং নেগেটিভ আচরণের মুখোমুখি হয়েছেন।
বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে অনেক গৃহকর্ত্রী তাদের গৃহকর্মীদের চরম নির্যাতন করে। আমার খুব শৈশবে আমাদের কাছের একটি পরিবারে একটি কানের দুল হারিয়ে ফেলার জন্যে একটি ছোট শিশুর কপালে ছ্যাঁকা দেওয়ার স্মৃতি আমার আবছা ভাবে মনে পড়ে। বাংলাদেশের পারিবারিক প্রেক্ষাপটে বরপক্ষের হাতে কনেপক্ষের অথবা পারিবারিক প্রেক্ষাপটে একজন নব্য গৃহবধুর ওপরে যে মানসিক নির্যাতনের ব্যাপক সামাজিক চলে রয়েছে, এই আচরণগুলোকে ব্যাখ্যা করতে একটি বহুল ব্যবহৃত নারীবাদি ভাবনা হচ্ছে, উক্ত নারীরা পুরুষতান্ত্রিক আচরণ করছে।
সিমন দ্য বিভয়ারের ভাবনায় নারীর নিপীড়ক আচরণকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এই বলে যে, ১৩ হাজার বছরের চর্চায় নারীকে নারী হিসেবে গড়ে তুলেছে পুরুষতন্ত্র। ফলে নারী যদি নিপীড়কের আচরণ করে তাহলে ধরে নেওয়া হয় যে, পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষকেন্দ্রিক চিন্তা ভাবনায় দ্বিতীয় লিঙ্গ হিসেবে নারী পুরুষের সমকক্ষ হওয়ার চেষ্টা করছে মাত্র।
এই ভাবনাটিতে খুব বেশি সমস্যা নেই, কিন্তু, এই ভাবনাটি একমাত্রিক এবং কোন ধরনের মুক্তির পথ দেখায় না।
আমার নিজের অভিজ্ঞতা এবং বোঝাপড়ায় নারীর প্রতি নারীর সহিংসতা এবং আক্রমণাত্মক মনোভাবের বিষয়টি ক্ষমতার সাথে সম্পর্ক দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়। কিন্তু, ওই বিষয়ে আমার ভাবনাগুলো পরিপূর্ণ কোন ধারনায় পরিণত হয় নি। তাই তা নিয়ে আলোকপাত করা থেকে বিরত থাকলাম।
বরং নারীর নারীর প্রতি বিদ্বেষের বিষয়ে সাম্প্রতিক একটি গবেষণার প্রতি আলোকপাত করতে চাই। প্যাট হাইম এবং সুজান মারফির ‘ইন দা কোম্পানি অফ ওয়েমান ইন্ডিরেক্ট এগ্রেশান এমাং ওয়েমান, হওয়াই উই হার্ট ইচ আদার অ্যান্ড হাউ টু স্টপ’ গ্রন্থে নারীর সাথে নারীর আচরণ নিয়ে খুব চমকপ্রদ কিছু বিষয় উঠে এসেছে, যা হয়তো অনেকের চিন্তায় রসদ জোগাবে।
গবেষকদ্বয় বলেছেন যে, কর্মক্ষেত্রে বা পারিবারিক পরিবেশে নারীরা ভিন্ন নারীর দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি খোলাখুলিভাবেই স্বীকার করেন। এবং অসংখ্য নারী তাদের সাক্ষাৎকারে বলেছেন, পুরুষ নয়; নারীরাই কর্মক্ষেত্রে তাদের এগিয়ে যাওয়ার পথে বড় বাধা তৈরি করেছেন।
তারা বলেছেন, কর্মক্ষেত্রে নারীরা অন্য নারীকে কাছ থেকে গল্পের ছলে বা গিবতের বা সবার সামনে অপমান, স্যাবোটাজসহ বিভিন্ন ধরনের পরোক্ষ আক্রমণ বা আক্রমণাত্নক মনোভাবের মুখোমুখি হয়েছেন।
তারা গবেষণায় দেখিয়েছেন, ছোটবেলায় কন্যা শিশুরা যেভাবে গড়ে ওঠে তার মাঝে নারীদের এই আচরনের একটি উৎস রয়েছে।
তারা দেখিয়েছে, খুব ছোটবেলায় কন্যাশিশুরা একটি লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করতে চায়। তারা সবসময় তাদের খেলনা শেয়ার করে, বন্ধুদের সাথে সমতা বজায় রাখতে চায়, কেউ পিছিয়ে পড়লে তাকে কাছে টেনে নেয়। এই ধরনের শেয়ারিং মনোভাবের কারণে তাদের মনের মাঝে একটি প্রবণতা তৈরি হয় যাতে তারা সবসময়েই লেভেল প্লেইং ফিল্ড প্রত্যাশা করে অথবা লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করে নিতে চায়।
এবং তারা ব্যাখ্যা করেছেন যে, পরবর্তীতে কর্ম পরিবেশে নারীরা অন্য নারীর ক্ষেত্রে যে পরোক্ষ আক্রমণাত্নক মনোভাব দেখায়, তা মূলত তাদের সেই শিশুকালের অভিজ্ঞতায় দেখা লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরির বাসনায় সেই আচরণগুলো করে। এবং এই আচরণ শুধু কর্মক্ষেত্রে নয়, তাদের পারিবারিক ক্ষেত্রেও প্রতিফলিত হয়।
একদম শৈশবে সমতামুলক ব্যবহারে অভ্যস্ত নারী যখন অসম ব্যবহারের মুখোমুখি হয়, তখন সে সেই পরিস্থিতিটি মোকাবেলা করার চেষ্টা করে এবং একটি লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করতে চায়। এবং এর ফলে নারীর মাঝে আক্রমণাত্নক আচরণ তৈরি হতে পারে, যা শুধুমাত্র ভিন্ন নারী নয়, পুরুষের দিকেও ধাবিত হতে পারে।
প্যাট হাইম এবং সুজান মারফির এই গবেষণাটি আমার কাছে বেশ কার্যকরী মনে হয়েছে কারণ এই কারণটির ভেতরে আমরা নারীর প্রতি নারীর বিভিন্নরকম সহিংস আচরণের ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।
বাংলা একাডেমি কর্তৃক ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী একাডেমি প্রাঙ্গন ও সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে আয়োজিত একুশে বইমেলা ২০২৩ শেষ…..
চিত্তরঞ্জনের গৃহপরিবেশ এত সুখ ও শান্তির ছিল তবুও তার মন যেন মাঝে মাঝে কেঁদে উঠতাে…..
পারসিক সংস্কৃতির দেশ ইরানের মেয়েরা সমানে তাঁদের হিজাব পুড়িয়ে ফেলছেন, চুল কাটছেন। যেন তারা পুরুষতন্ত্রের…..
“ভালোবাসা তোমাকে যেমন রাজমুকুট পরিয়ে দেবে, তেমনি তোমাকে ক্রুশবিদ্ধ করবে। … প্রেম তোমাকে শস্যের আঁটি…..