বাংলাদেশের বইমেলায় পশ্চিমবঙ্গের বই-প্রসঙ্গে সাম্প্রতিক বিতর্ক
বাংলা একাডেমি কর্তৃক ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী একাডেমি প্রাঙ্গন ও সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে আয়োজিত একুশে বইমেলা ২০২৩ শেষ…..
নারীই হোক নারীর শক্তি, এই মর্মে কিছু কথা বলা। নারী উন্নয়নের কথা বলা হয় সবসময়। বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুগুলোতে এবং ব্যক্তিগত সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের প্রতিশ্রুতিতে নারী অধিকার, নারী স্বাধীনতা, নারীশিক্ষা সর্ব অবস্থায় নারীকে এগিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার করা হয়। এই জাগরণের সুরে নারীও এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে নারী কতটুকু এগিয়ে যাচ্ছে? পারছে কী তার মেধা চিন্তা চেতনা ব্যক্তিত্ব দিয়ে নিজের মতো করে জীবন গড়তে কিংবা পথ পাড়ি দিতে? নারী কী তার মেধা মনন দিয়ে যোগ্য সম্মান পাচ্ছে, এই সমাজ, এই সংসারের কাছে? তার প্রধান প্রতিবন্ধকতা কি?
বিশ্বায়নের যুগে পৃথিবী এখন সভ্যতার চরম শিখরে অবস্থান করছে। এই অবস্থান থেকে যে কোনো নারী তার ইচ্ছাশক্তির বলে তার মেধা-মনন দিয়ে এগিয়ে যেতে পারে। এখানে কারুর সহযোগিতা, দয়া বা করুণার দরকার হয় না। নারী এখন একাই এক’শ; সব অবস্থায় পুরুষের সাথে সমান তালে তাল মিলিয়ে নিজেকে তুলে ধরছে। অবশ্য পশ্চিমা দেশগুলোর চিত্র এমনই, যদিও উন্নয়নশীল দেশগুলো এখনো এদিক থেকে বেশ পিছিয়ে আছে শুধুমাত্র নারী পুরুষের মানসিক তারতম্যের কারণে। উন্নয়নশীল দেশে নারীর প্রতি পুরুষের সহযোগিতার হাত কত্টুকু প্রসারিত? যেখানে নারী পুরুষ দু’জনে মিলেই সম্মিলিত জীবন, সেখানে নারীকে এখনো পুরুষের অধিনস্ত হয়ে থাকতে হচ্ছে। নারীর সমস্ত হিস্যা যেন সব ওই পুরুষের কাছে। এই মানসিকতা থেকে উঠে আসতে হলে নারীর কী করা উচিত?
নারীর উচিত আরেক নারীর পাশে গিয়ে দাঁড়ানো। নারীর সমস্যা বলতে গেলে সব একইরকম এবং এর অনুধাবন ক্ষমতাও একইরকম। ইচ্ছে করলে আমরা নারীরা যে কোনো সমস্যায় আরেক নারীর পাশে গিয়ে দাঁড়াতে পারি, বোঝার চেষ্টা করতে পারি সমস্যার গভীরতা। কিন্তু বাস্তবে আমরা এর কী চিত্র দেখছি! ছোট ছোট কারণে এক নারী আরেক নারীর বিরুদ্ধে লাগছে। এর পিছনে পুরুষের ইন্ধনও আছে বেশ।
নারী এই সূক্ষ্ম বিষয়টা বোঝে না বলে এক নারী আরেক নারীর ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হয়। মাঝখান দিয়ে স্বার্থান্বেষী পুরুষরা তাদের ফায়দা লুটে নিচ্ছে। এতে ওইসব পুরুষের দু’রকমের সুবিধা হচ্ছে, এক, নারীকে অবদমিত রাখার সবরকম কায়দাকানুন, কূটকৌশল তারা প্রয়োগ করে যাচ্ছে, দুই, এরই ফাঁকে নারীকে নিজের মতো ভোগও করছে নির্দ্বিধায়। কিছু নারীও আছে এম্ন, পুরুষের ক্রীড়নক হয়ে তাদের স্বার্থ উদ্ধার করে চলে, এতে নিজের শুধু উপকার হচ্ছে, সমগ্র নারী জাতির কোনো উপকার কি হচ্ছে? দেখা যাচ্ছে এদেরই কেউ মানবতার নামে নারী উন্নয়নের কথা বলে যাচ্ছে বীরদর্পে। এমন নারীবাদীর আচরণই সমাজে হাস্যরসের উদ্রেক করছে।
এক নারী যদি আরেক নারীর বুকের ওপর পা দিয়ে হেঁটে গিয়ে তার নিজের এগিয়ে যাওয়ার বা নিজ কর্মের প্রচার প্রচারণা, খ্যাতির কথা ভাবে তাহলে নারী উন্নয়নের সমস্ত প্রচেষ্টাই ধূলিসাৎ হতে বাধ্য। উন্নয়নশীল নারীর আজকের পিছিয়ে থাকার পেছনে নারীই মূলত দায়ী। সমতার লড়াইয়ে এক নারীকে আরেক নারীর পাশে এসে দাঁড়াতেই হবে, সেটা যেই অবস্থাতেই হোক না কেন। কারণ, এক নারীই হতে পারে আরেক নারীর আত্মদর্পন এবং অবশ্যই সহজাত। তাই এক নারী হোক আরেক নারীর পরম আশ্রয়, শক্তি এবং হাতিয়ার, সমস্ত নারীকুলের প্রতি এটাই প্রত্যাশা।
বাংলা একাডেমি কর্তৃক ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী একাডেমি প্রাঙ্গন ও সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে আয়োজিত একুশে বইমেলা ২০২৩ শেষ…..
চিত্তরঞ্জনের গৃহপরিবেশ এত সুখ ও শান্তির ছিল তবুও তার মন যেন মাঝে মাঝে কেঁদে উঠতাে…..
পারসিক সংস্কৃতির দেশ ইরানের মেয়েরা সমানে তাঁদের হিজাব পুড়িয়ে ফেলছেন, চুল কাটছেন। যেন তারা পুরুষতন্ত্রের…..
“ভালোবাসা তোমাকে যেমন রাজমুকুট পরিয়ে দেবে, তেমনি তোমাকে ক্রুশবিদ্ধ করবে। … প্রেম তোমাকে শস্যের আঁটি…..