বেশরম
বেশরম কি কঠিন ছিলো, ডুব সাঁতারের রুদ্ধ দম তোমাকে ভুলেছি ঠিক এক বেশরম- আবার পড়েছি…..
এক
কিছু কিছু মুখ দেখি ক্যামেরার চোখে
সেলফিতে হাসিমুখ দিবসের শোকে,
তার সাথে ক্যানভাসে সব উজবুকে!
দুই
ভাগ করে রেখো আজ কেনা সেই ফুল
কিছু পাবে মিনারেতে কিছু তার চুল,
মূল হলো দেয়া নেয়া আর সব ভুল!
তিন
চলো নামি রাজপথে পেতে দিয়ে বুক
বিপ্লবে বিদ্রোহে মাড়িয়ে অসুখ,
স্লোগানেতে খাক হোক সব উজবুক।
ব্যক্তিকে গত করে এসো, নিরন্নের এ কালে
ব্যক্তিগত বলে কিছূ নেই, গত হতে হতে
এমনটাই বলে গেছে লাশের কফিন।
বুকের পাঁজর থেকে খুলে গেছে হাড়
আত্মজ প্রশ্ন চোখে নিয়েছে বিস্মিত বিদায়
কবে হবে শেষ এই নিদানের কাল।
কবরের ঘাস ধীরে ধীরে বাড়ে, বেড়ে উঠে
চক্রবৃদ্ধি হারে ক্ষোভ, জানি একদিন মিছিল
নামবে পথে ও বিক্ষোভে ভেসে যাবে পথ।
এবং আততায়ীরা পালাবে, জেনো নিশ্চিত-
কিভাবে যে ধরে রাখো হাসি ওই মুখে
কি করে যে চোখ রাখো বিবেকের চোখে,
মালা পড়, ফুল নাও হরষের শোকে!
বিস্মিত এই লোকে লোক আমরণ
বুক ভাঙে চোখে নামে প্লাবিত স্মরণ,
জানি তুমি নও কোনো খুব সাধারণ!
অসাধারণে যা যা লাগে তার আছে সব
মালকড়ি ক্ষমতার আছে মচ্ছব,
কখনো সে ভেবে বসে তিনি হলো রব!
লংঘিত সীমাতে নিরঞ্জন ভাবে, পাপে
যাবে নিশ্চিত সঙ্গীরা তাপে,
বাকিটাতো রয়ে গেছে জমা অভিশাপে।
কথা ছিলো, অনেক কথা জমিয়ে রাখা
কষ্ট আর আনন্দের গন্ধ মাখা,
এমন যদি ভেবে থাকো, গবেট তুমি
ঝড়ের সাথে যুঝতে থাকা মনোভূমি
তা ভাবে না।
প্রতীক্ষাতে রাতের প্রহর
হাতের মুঠোয় গ্লাসে জহর,
এমন করে ছাগলগুলো
ভেতর খালি বাইরে যাদের রাঙামুলো
সে হবে না।
আমি খানিক অন্যরকম
বুকের ভেতর গভীর জখম
দাফন করে কাফন গায়ে
ক্রোধের সুরে প্রলয় লয়ে
মাস্তি করি।
খানিকটা নয় অনেকখানি
জানি আমি ঠিকই জানি,
কতটা হয় ধ্বংসপ্রবণ
রামের চেয়ে বড় রাবণ
চলো মরি।
বেশরম কি কঠিন ছিলো, ডুব সাঁতারের রুদ্ধ দম তোমাকে ভুলেছি ঠিক এক বেশরম- আবার পড়েছি…..
একি অনাসৃষ্টি নিত্য পণ্য উর্ধ দাম মন তার ভালো নেই, বাজারেতে যেতে যে হবে…..
পাশের রাস্তাতে তিন জন্মের লাশ ; অনিয়মহীন এভাবেই একক অপার্থিব অশরীর ৷ উল্টোদিকে আমি…..
পাষাণের প্রেম বিকট স্তব্ধতায় সুনিপুণ সীমানা প্রাচীর তুলেছ, বেসামাল ভালোবাসার জাগতিক জায়নামাজে। প্রার্থনার গতিরোধ করো…..