প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
কালো মেঘ নিল আকাশকে ঢেকে দিয়ে ক্ষণকালের জন্য
এক মিথ্যে মায়াজাল সৃষ্টি করে;
মনে হয় এখনি আঁধার নেমে এলো ধরিত্রির বুকে-
লোক-লোকান্তরে যেন আলোর উৎস হারিয়ে গেছে।
আলোর জন্য উন্মুখ অসীম প্রাণসত্ত্বার সাথে সূর্যি
দেখা দিতে নিজেকে প্রস্তুত করে
তখনি কালো মেঘ আবার ঘিরে ধরে সূর্যির চারপাশ;
একটি মেঘখন্ড একটি চরিত্রের ভূমিকা পালন করে
শতোটি মেঘখন্ড শতোটি চরিত্রের,হাজারটি মেঘখন্ড
হাজারটি চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে।
একটি মেঘখন্ড প্রতিনিধিত্ত্ব করে হিংসার,একটি মিথ্যার,
একটি লোভের,একটি ঘৃণার,একটি স্বার্থপরতার আর একটি নোংরামির;
এই শত প্রতিনিধির ভিড়ে হারিয়ে যায় সূর্যির নিষ্কলুষ
শুভ্র দীপ্ত আভা
সাথে সাথে শ্লথ হয়ে সৃষ্টিশীল মানুষগুলোর চেতনার গতি-
তাঁদের চেতনা জুড়ে নেমে আসে ‘মাতা মেরি’র সংশয়গুলো।
বেথেলহামের খেজুর গাছের নিচে ‘মেরি’ যখন যিশুর জন্ম দিচ্ছিল,
তখন কেবল একটি চিন্তাই তাঁকে গ্রাস করেছিল;
জরাজীর্ণ আস্তাকুঁড়ের সমাজ অনাগত যিশুকে মেনে নিবে?
মাতার ইচ্ছার বিরুদ্ধেই যিশু পৃথিবীকে বদলাতে আসে।
‘বাংলাদেশ’ নামক ভূখণ্ডটি মাতা ‘মেরি’র রূপে বারবার আবর্তিত হচ্ছে,
তবে কি যিশু আবার আসবে?
কলঙ্কিত মেঘখন্ডগুলোকে নিঃশেষ করে সূর্যের শুভ্র আভা
আবার বাংলার বুকে ছড়িয়ে পড়বে।
জয় হোক অনাগত যিশুর, ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের
প্রতিটি ধূলিকণা যেন যিশুর পরশে সোনায় পরিণত হয়।
নিল বিষাদে ঢেকে যায় জীবন
জীবনের চক্রবাকে উদ্ভাসিত হয়
স্বপ্ন, স্মৃতি, কাতরতা;
সবকিছুই নিরর্থক আয়োজন।
ভ্রান্ত আয়োজনের পিছু নেয়া
এক বদঅভ্যেসে রূপ নিয়েছে;
থামাতে চাই সময়, কিন্তু ! থামে না।
আমার তো ইচ্ছে হয় তোমায় নিয়ে
কিছু স্বপ্ন বুনি,
যেমন করে মাকড়সা তার সুনিপুণ জাল বুনে।
আমার তো ইচ্ছে তোমায়
বুকে আগলে রাখি,
যেমন করে ক্যাঙ্গারু শাবককে রাখে।
আমার তো ইচ্ছে হয় তোমায়
একটুখানি ভালোবাসি,
যেমন করে ভালোবাসে ছোট্ট পেঙ্গুইনটি
ঢিলে চামড়ার ভদ্র লোকটিকে।
ইচ্ছে, স্বপ্ন, স্মৃতি, ভালোবাসা
আধুনিকতাবাদ, বিশ্বায়ন, তুমি- আমি
সবই তো নিরর্থক!
অর্থবোধক কিছুই আমার নজরে পড়ে না
পুঁজিবাদ, সাম্যবাদ,মুদ্রাস্ফীতি, মূল্যস্ফীতি
এগুলোও কি অর্থবোধক? আমার বুঝে আসে না।
প্রথায় মোড়ানো তোমার এই
সামাজিকতা কতটা অর্থবোধক?
আমার প্রয়োজন-ই তোমার কাছে কতটুকু
আমায় দ্যোটানায় ফেলে দেয়!
শব্দের গাঁথুনি নতুবা জ্ঞানের পিপাসা
হতে পারে কিছুটা অর্থবোধক,
যতটা নিরর্থক নিশিতে প্রভাকরের আগমন।
আমার কাছে তোমার দুটি কর্ণিয়া যতটা অর্থবহ
বাইবেলের কালো অক্ষরগুলো ততটাই নিরর্থক;
মহাকালের স্রোতে পুনঃপুনঃ সংশোধনে বাইবেলের অক্ষরগুলো ধুলোয় মলিন,
কিন্তু! তোমার পরিমিত হালনাগাদ, তোমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে
পৌরুষদীপ্ত প্রেমিকের হৃদয়ে।
প্রতিনিয়ত আর্চনা হয় তোমার আফ্রোদিতি’র সমপর্যায়ে।
ভাবতে পার!
বাইবেলের শব্দগুলো পড়ে আমি কিছুটা হলেও উপলদ্ধি করতে পারি
তবে,তোমার হরিণী অলখের চাহনির দুর্বেধ্য পাঠ উদ্ধার করতে আমি পরাস্ত!
কখনো মনে হয় সভ্যতার সব প্রেম, স্বপ্ন তুমিই সঞ্চয় করে রেখেছ,
কখনো বা মনে হয়, তোমার চাহনির আড়ালে লুকিয়ে আছে স্বপ্নভঙ্গের জলোচ্ছ্বাস।
প্রেয়সী, অর্বাচীন স্বপ্নগুলোকে বাস্তবতায় তুমি যেমন রূপ দিতে পার;
একজন প্রেমিক তেমনটা পারে না।
একজন নিরাশবাদী কবি যতবার তোমার মন্দিরে ধর্ণা দেয় প্রেমের জন্য,
মনে হয় রক্তলোভী হাঙ্গর।
রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে অষ্টাদশি মালতি
খদ্দেরের খোঁজে আশপাশ করছে;
-সন্ধ্যা যখন নেমেই গেছে খদ্দের নিশ্চয়ই জুটবে
শুধু একটু অপেক্ষা।
সবই ভগবানের দয়া, এ আর কি!
ভগবান : আমি তো আছি।
দুই.
গলির মোড়ে দাঁড়িয়ে সুশান্ত সিগারেট ফুঁকছে
হঠাৎ করেই মালতির কথা মনে হয়ে গ্যালো,
-আরে, অনেকদিন তো যাই না মালটার কাছে!
আজ একটু যাওয়া লাগে-
কিন্তু! আমার যে পকেট ফাঁকা;
একটা ব্যবস্থা তো হবেই, সবই ঈশ্বরের কৃপা।
ঈশ্বর : চিন্তার কোনো কারণ নেই।
তিন.
বিজন ঠাকুর মন্দিরে প্রার্থনা করছে-
-ভগবান! সবাইকে নিরাপদে রাখ,
সকলের মনোবাঞ্চনা পূর্ণ করো।
ভগবান : সবই হবে।
চার.
কমলবাবু মাইনে নিয়ে অফিস থেকে ফিরছে,
– ভগবান, নিরাপদে যেন ঘরে ফিরতে পারি,
ভগবান!
ভগবান : আমার উপর ভরসা রাখো।
পাঁচ.
রাস্তায় কমলবাবু – সুশান্ত মুখোমুখি :
– বাবু! সেলামি দিয়ে যান ( রিভালবার দেখিয়ে)
বাসায় নিয়ে যেতে তো কষ্ট হবে।
কমলবাবু : ভগবান, রক্ষা করো।
সুশান্ত : ঈশ্বর, আমার আশা পূর্ণ হবে না!
ছয়.
মসজিদে আজান হচ্ছে,
মাহমুদ আলী নামাযে যাচ্ছে।
-বাবু, প্যাঁচাল বাড়িয়ে লাভ নেই
জীবন বলে তো একটা কথা আছে,
যা চাইতেছে দিয়ে দিন
পরকালে উপরওয়ালা বিচার করবে।
সাত.
ঈশ্বরের কথা :
– মাহমুদ আলী, আপনি সত্য বলেছেন!
চলুন, আমিও আপনার সাথে মসজিদে যাই।
“ভালো থাকবেন!
কখনো আর আপনার সাথে কথা হবে না।”
দুটি কথা স্ক্যালা মিডিয়ায় প্রলয় নৃত্য করে
বাইবেলের অমৃত বাণী রূপে।
শ্রী কৃষ্ণের বাঁশির সুর এতটা মধুর ছিলো না!
ছেড়েছি নাকি ছেড়েছ আমায় মিলাতে পারি না
বিচ্ছেদের অভেদ সমীকরণ;
ভোরে তোমার হাতছানি
সূর্যাস্তে রাঙা নোনা হাসি
আমার লাগামহীন খামখেয়ালি
কোথায় হারালো?
ব্যথার শিলালিপি এখন পৌরাণিক কাহিনী।
তুমি?
স্মৃতিগুলো গর্ত নিবাসে ইন্টিগ্রেশনে মেতে
দুঃখের মদিরা পূর্ণ করে।
তিতাসের জল হয়ে হাজার জনপদে তোমাকে
খুঁজে, কালের বৈভবে অদ্রবীভূত থেকে
পৌঁছে যাব তোমার জনপদে।
আমার জরাজীর্ণ কুটিরে;
আপনি থাকবেন তো?
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..