নিধুভূষণ দাসের কবিতা

নিধুভূষণ দাস
কবিতা
নিধুভূষণ দাসের কবিতা

আবার একা

ছিল তার অনেক সম্ভাবণা
শিখেছিলো ছবি আঁকা
অর্কেস্ট্রায় বাজাতো গিটার।

একদিন বুঝেছিলো বডড ব্যস্ত বাবা-মা
নিঝুম বাড়িতে কাটতো সময় একা
ঠাম্মিই ছিলো স্বজন তাহার।

একদিন ক্যামন করে বুঝেছিলো তারা
সম্ভব অনুভবে দুজনের মিশে যাওয়া
নির্জনে কেটেছিলো কয়েকটা প্রহর।

হেসেছিলো সেদিন বারান্দার আইভি পাতা
আজ দূর হিমালয়ে সে ফের একা।

 

নদ-নদী কথা

এক যে ছিল নদী ,এক যে ছিল নদ
দুজনের একদিন হয়ে গেল দেখা ,
চোখে চোখে কথা ,এক হল দুটি ধারা
সাগর ছিল তাদের অন্তিম ঠিকানা।

একতারা আর গিটারের ঐকতান
তারা ভেবেছিল থাকবে চিরকাল।
কোথা হতে প্যাঁচা এক গেয়ে উঠল
বিষাদের গান ,এমনি কেটে গেল তাল।

অভিমানে হিমালয়ে ফিরে গেল নদী
এক উপনদীর হাত ধরল নদ।

 

সে আসবে ফিরে

আমি বললাম, সে আসবে
আগামী বসন্তে ,প্রজাপতি হয়ে
তুমি একদিন গেয়েছিলে
“অভি…না যাও ছোরকে
দিল অভি ভরা নেই” কিংবা

“জানেওয়ালে তো একদিন
চলে হি যায়েগা। ”
ভাবোনি সেদিন
চলে যায় যে ফিরে আসে সে-ই
অন্যভাবে,অন্যবেশে।

ফুটবে যখন নতুন গোলাপ
বাগানে তোমার ,দেখবে কতো
প্রজাপতিদের, গাইছে গান
ফুলেদের কানে কানে,ভাববে তখন
জানেওয়ালে এই তো আমার।

 

তাকাও নদীর দিকে

নদী বললো যাবো সাগরে
পাহাড় বললো দিবো জল অবিরাম
পর্বত -কন্যা তাই ছিলো বেগবান

বরফ আজও আছে পাহাড় চূড়ায়
তার জল আজও বয় ,অন্যধারায়
পার্বতীর তাই নেই সেই উচ্ছ্বল প্রাণ

এমন হতেই পারে ,তাকাও
জলহীন নদীটির দিকে ,ভাবো
তার কথা যে রাখেনি কথা

জীবন এমনই ,মিথ্যে হয় ভালোবাসা
তাকাও,দ্যাখো নিষ্ফল নদীটিরও আশা

নিধুভূষণ দাস। কবি ও লেখক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রাক্তনী নিধুভূষণ দাস ইংরেজি এবং বাংলায় গল্প, উপন‍্যাস, কবিতা ও প্রবন্ধ লেখেন। তিনি একজন নিবিষ্ট পাঠক এবং বিবেকবান লেখক।

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..