দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
ছিল তার অনেক সম্ভাবণা
শিখেছিলো ছবি আঁকা
অর্কেস্ট্রায় বাজাতো গিটার।
একদিন বুঝেছিলো বডড ব্যস্ত বাবা-মা
নিঝুম বাড়িতে কাটতো সময় একা
ঠাম্মিই ছিলো স্বজন তাহার।
একদিন ক্যামন করে বুঝেছিলো তারা
সম্ভব অনুভবে দুজনের মিশে যাওয়া
নির্জনে কেটেছিলো কয়েকটা প্রহর।
হেসেছিলো সেদিন বারান্দার আইভি পাতা
আজ দূর হিমালয়ে সে ফের একা।
এক যে ছিল নদী ,এক যে ছিল নদ
দুজনের একদিন হয়ে গেল দেখা ,
চোখে চোখে কথা ,এক হল দুটি ধারা
সাগর ছিল তাদের অন্তিম ঠিকানা।
একতারা আর গিটারের ঐকতান
তারা ভেবেছিল থাকবে চিরকাল।
কোথা হতে প্যাঁচা এক গেয়ে উঠল
বিষাদের গান ,এমনি কেটে গেল তাল।
অভিমানে হিমালয়ে ফিরে গেল নদী
এক উপনদীর হাত ধরল নদ।
আমি বললাম, সে আসবে
আগামী বসন্তে ,প্রজাপতি হয়ে
তুমি একদিন গেয়েছিলে
“অভি…না যাও ছোরকে
দিল অভি ভরা নেই” কিংবা
“জানেওয়ালে তো একদিন
চলে হি যায়েগা। ”
ভাবোনি সেদিন
চলে যায় যে ফিরে আসে সে-ই
অন্যভাবে,অন্যবেশে।
ফুটবে যখন নতুন গোলাপ
বাগানে তোমার ,দেখবে কতো
প্রজাপতিদের, গাইছে গান
ফুলেদের কানে কানে,ভাববে তখন
জানেওয়ালে এই তো আমার।
নদী বললো যাবো সাগরে
পাহাড় বললো দিবো জল অবিরাম
পর্বত -কন্যা তাই ছিলো বেগবান
বরফ আজও আছে পাহাড় চূড়ায়
তার জল আজও বয় ,অন্যধারায়
পার্বতীর তাই নেই সেই উচ্ছ্বল প্রাণ
এমন হতেই পারে ,তাকাও
জলহীন নদীটির দিকে ,ভাবো
তার কথা যে রাখেনি কথা
জীবন এমনই ,মিথ্যে হয় ভালোবাসা
তাকাও,দ্যাখো নিষ্ফল নদীটিরও আশা
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..