প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পেছন ফিরে তাকালে এখনও দেখতে পাই আমার
প্রথম স্পর্শবিদ্যূৎ
তোমার সমস্ত পরোয়ার কাছে দূর্দান্ত এবং দুর্নিবার
তুমি কার- তোমার
নিজের জন্য যে নও- বোঝোনি তখনও
কিছু আলো কিছু অন্ধকার আর শতাব্দীর মহাকাল চিরে
সেইসব মিনতি ও শাপ
প্রেমের গন্ধ- গান
ঘামে মিশে গেলে তখনও দেখতে পাই আমার অর্থবিন্দু
জলসিন্ধু হয়ে ডোবায় এবং ভাসায়
আমি কি তোমার জন্য পাতাল থেকে পদ্ম নিয়ে আসিনি
পাহাড় থেকে নামাইনি ঝর্ণা
তবে কি শুধুই লুণ্ঠক আমি
আমাকে ঘৃণা কর
আমার প্রত্যাবর্তন তোমার কাম্য নয়
যেভাবে চলে এসছি প্রস্তর পেরিয়ে প্রান্তর পেরিয়ে
তেপান্তর পেরিয়ে
আমার আর ফিরে আসার ইচ্ছে হতে নেই
রাত নামলেই তুমি
থমকে গিয়ে মাটিতে নিষেধ
গাড়ছো
আর আমার উদ্ভ্রান্ত চোখ
ব্যথার বৃষ্টির ভেতর
অন্ধকার অন্তরীক্ষ থেকে বলছে
তোমাকে দেখবে
সম্পূর্ণ রূপে
এপার থেকে ঘুরে
ওপারে
আর তার শরীরকে নুইয়ে
উল্টে যাচ্ছে
মাটির পাতালে- সন্তর্পণে
সেখানে পৃথিবীর এক
মহাকাল-মুখ
খুব উন্মুখ হয়ে আছে
যেন পুরো পাতাল জুড়ে
শরীরে শরীর ঠুকে এমন পতন-
কবেকার অবশ্যম্ভাবী
কবে শেষ দেখেছিলে মনে নেই
শুধু মনে আছে বিদায় ছিল না কোনো- সমাপ্তিও না
খুব সাধারণ
প্রাত্যহিকের মতোই ছেড়ে গেছে চরাচর- তোমাদের
তারপর ছেয়ে গেছে মহাকাশ
অসংখ্য মেঘের কান্না
ভেসে গেছে হাজার দুয়ারী ঘর
হৃদয়ে নৈঃশব্দ বন্যা
হয়তো এমনই হয়- কারও কারও
জীবনের দামে জীবন বিকিয়ে গিয়ে
স্রোতে ও খরস্রোতায় যখন সে দাঁড়ায়
নেই তার অভিবাদন নেই কোনো প্রত্যাশার গান
কদাচিৎ সংযোগে পুরোনো বিচ্ছিন্ন বন্ধুতাই সম্বল
কথা তার তুলে রাখা স্মৃতি-
স্মৃতিময় পাতা
কবে শেষ দেখেছিলে পায়ের পেছনে পা-
পাএ পাএ চলে যাওয়া
মনে পড়ে কার
মনের ভেতরে আছে
মনের আকার
আমি কিছু গোল আকরের মধ্যে
কয়েক বিন্দু হরিৎ রাখি
আর তাকাই
পৃথিবীর প্রাচীন ওই চোখের দিকে-
দেখতে পাই নিশ্চিত রাত্রি
যখন গম্ভীর হয়
একটি উদগ্রীব ফুলের মধ্যে গমন ও আ-গমনের পর
বিচ্ছুরণের উত্তর মূহুর্তে
একটি হাত
আমার অন্তরাত্মার দিকে বাড়ানো
তারপর সেই রাত ও হাত আমার দুই হাঁটুর উপর ভর করে
আমি বুঝতে পারি
বৃক্ষের বেড়ে ওঠার বেদনা
অলক্ষ্য
নিভৃত
ও
সুন্দর
স্পষ্টত আমি যখন নিমগ্ন হই এবং
ডুবতে থাকি
শতাব্দীর দুই হাত বরাবর প্রসারিত হয়- এইখানে-
এই পৃথিবীর মৌন মায়ায়
যেন
এক হাত কাঞ্চনজঙ্ঘা থেকে নেমে ঘুরে আসে গভীর গিরিখাত
আর এক হাত নিয়ে নাড়াচাড়া করেন
স্বয়ং ঈশ্বর
এ-ই-তো নিয়ম
যতবার জ্বালাই
সে
নিভে যাবে
কখনও দপ্ ক’রে
কখনও ধুঁকে ধুঁকে
মাঝখানে কিছু কাল
ও মহাকাল
আর কিছু
তীব্র বিচ্ছুরণ
পৃথিবীর চোখের মতোন আরো একটি চোখ
রাখা আছে
উপরের ওই ঘরে-
তুলতুলে আলোর চেয়ে বেশি
মোহন ও মনন
মরণ
সেই চোখ
সাহসের করতলে নিজেকে ধ’রে
চেয়ে থাকি সমগ্র
বিকেল (কবে সেই চোখ
ফুটে)
তারপর ধীরে
ধীরে ধীরে রাত নামে-
ভ্রমে
তবু কিছু বলি না তাকে
শুধু খুলি
খুলি
তুলি
ও
বাড়াই
যতোটা সম্ভব ক্ষরণে ও, নিহিত নামে
আমি কোনো আগুন নই যে তোমরা আসবে
একে একে আত্মাহুতির আয়োজনে
এই ধলেশ্বরীর অমোঘ রাত্তিরে
পায়ে পায়ে হেঁটে
পাশাপাশি
হেঁটে এসে বহুদিন- পথ-
আমি কোনো আগুন নই হে..
আমাকে দেখে অন্ধের মতো কেন যে বাড়াও নিজেকে
বুঝি না
সর্বনাশ
শূন্যে বাঁধাই করে দিচ্ছি আয়না
উড়ে গিয়ে সেখানে দেখো তোমার নিম-কাজল চোখ
তোমার বুকের ভ্রমর তোমার ওষ্ঠের নিমন্ত্রণ
কীভাবে ডেকে আনছে আমার
সনির্বন্ধ সর্বনাশ
ওহ্ প্রেম- এসো- তাকাও
যেহেতু আকাশ দিয়েছ, একটা পাখি অন্তত দাও
হে ঈশ্বর
মরণ-বার্তা পাঠাই এবার
অগ্নির নামে
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..