দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
নির্জন হয়ে উঠি
লিখে যাওয়া মানুষগুলো ক্রমশ পাথর হয়ে যায়
কিংবা তারচেয়ে বেশি কিছু নির্জন
নির্বাণ প্রার্থণায় থাকে, তুমি নির্বাণের অপর নাম
নির্জন হয়ে উঠি, তোমার সমার্থক হতে
অন্ধকার গাঢ় হলে চাঁদ কাঙ্খিত হয় নিশ্চিত
নির্জন হলো অন্ধকার, অন্ধের আকার সে
বেহিসেবী বলেই হিসেব রাখা হয়নি
কতটা গেছে সে পদব্রজে
পায়ের শব্দ শোনা হয় না, নির্জনতা বধির বলে
তোমার চলে যাওয়ার শব্দ শুনতে নেই
ভাঁজ
ভাঁজ বলতেই শাড়িটা ঠিক করে নিলে
অথচ কপালের ভাঁজ দৃষ্টি এড়ালো
রোদ চশমায় ঢেকেছিলো দু’চোখ
অন্ধরাও ঢাকে
চুলগুলো সরিয়ে দিলে
গালের লালিমা সরানো গেল কি
লিপিস্টিক মুছে গেলে
ঠোঁটটা ক্রমশ নিজের হয়ে ওঠে
শাড়িটা স্পর্শ পেলে সচল হয়
এবং শাড়িতে জড়ানো আঁধার
শাস্ত্রজ্ঞ
জিহ্বা বেয়ে ভালোবাসা নেমে আসে
নফসের দোষ নিশ্চিত বলতে পারো;
ক্রমশ নিচে নামে, নিষিদ্ধ যাত্রাপথ
পাপ দূরে থাক, দ্বিধাহীন বলে আরো।
শরাবান তহুরা, চিন্তায় জুড়ে থাকে
বয়স প্রাপ্ত হলে, নফস গিলেছে মন;
যোগ্য হোক কোনো টিকিধারী পণ্ডিত
ব্রত হই রমণী তোমায়, শাস্ত্রজ্ঞ রমণ।
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..