প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
সেই কবে থেকে অপেক্ষায় আছি ,
অজানা অচেনা অপেক্ষা,
হয়তো নির্ধারিত।
না,
নির্ধারিতই ছিলো।
নির্ধারিত আগ্নেয় গিরির উদ্গার, জৃম্ভন
উষ্ণ মেঘের লালচে চাদড়
নির্ধারিত আকাশে।
নিরস ছাইভস্ম-মেঘের বুক জুড়ে বাসা বাঁধলো জল,
চমকে উঠলো আগুনের ঝলক জল পেয়ে
নিভে যাওয়ার ভয়ে, –
মেঘ উঠলো গর্জে;
এতো নির্ধারিতই ছিলো।
এক দিন মৃদু হেসে ঝরে পড়লো জল
গলা মেঘ বুকে নিয়ে ছাই ভস্ম মেখে;
নির্ধারিত ছিলো বৃষ্টি নামবে মেঘ গলিয়ে।
তাই নির্ধারিত তর্জন-গর্জনে বৃষ্টি মনে মনে হাসে,
অদৃশ্য বাষ্পীয় হাওয়া হয়ে আসে
বাসা বাঁধে মেঘের আত্মায় গোপনে।
আবার হেসে লুটিয়ে পড়ে টুকরো মেঘ নিয়ে।
নির্ধারিত ছিলো,
বৃষ্টি মেঘ যে দিন মিলে মিশে একাকার হয়ে নেমে আসবে
আকাশ থেকে;
সে দিন আকাশ হবে নীল,
বাতাস হবে শীতল ভেজা ভেজা,
আর মা জননী পৃথিবী হবে সবুজ।
নির্ধারিত ছিল
কিছুটা বৃষ্টি ঝর্ণা হবে
পাহাড়ের বুকে,
ধুয়ে দেবে পাহাড়ের আপাদমস্তক,
ধূসর হবে হরিত।
তারপর ঝর্ণা, তারপর নদী, তারপর সাগর,
তারপর আবার সেই মেঘের বুকে।
নির্ধারিত ছিল
পাহাড় মাথায় বৃষ্টির মুকুট পরবে,
তাই নির্ধারিত বরফে আলোর মুকুটে সাজে
কাঞ্চনজঙ্ঘা,
সেও গলে গলে নামে বিন্দু বিন্দু সকালের কাঞ্চন গলিয়ে
আবার মেঘের পাঁজরে আত্মা হয়।
নির্ধারিত ছিল জীব আর জড়,
অরণ্য সবুজ,
মরুভূমি ধূসর,
চাঁদের আলোয় … …
রাতের আকাশে তারার দিন কাটা।
নির্ধারিত কারুর অপেক্ষায় নির্ধারিত কেউ,
কিজানি কবে থেকে।
নির্ধারিত একই শুন্যতা মিলেমিশে
সেই একই ঘনীভূত বাতাসে আগুন লেগে
আলো, হাওয়া আর জল;
নির্ধারিত আমি,
আগুন মেখে তুমি সেই জল,
আগুন মেখে তুমি সেই বৃষ্টি,
নির্ধারিত স্বচ্ছ জলের পর্দায় ছায়া ফেলে
নির্ধারিত সেই শুন্যতা
দুপাশেই হাওয়া বয়,
নির্ধারিত।
আজ তবে থাক,
চলো ঘুমিয়ে যাই
কালকে যদি জাগি আলাদা কবিতায়,
আলাদা বিষয় দেবো তোমায়,
আলাদা কবিতার।
বিষয়টা লিখে রাখো
নির্ধারিত …।
হয়তোবা তারও আগে …
দূর্লঙ্ঘ্যতার প্রান্তসীমা পেরিয়ে নির্ধারিত…
নির্ধারিত বিসমতায় জাতক …
মহাপুরুষ মহাকাল …
আর লাস্য ললিতা মহাশূন্যতা …
পরিণয় উভয়ের …
নির্ধারিত গোধূলী বেলায় …
মিশ্র বিসম জ্যোতিতে …
অবশিষ্ট্যের বহুমাত্রিক বৃত্তীয় বাতাবরণে
অনন্ত ফুলশয্যার সসীম-অসীমতায় নির্ধারিত …
জন্ম নিলো, জন্ম নেবে
কতো গুলো নীহারিকা, ছায়াপথ, জ্যোতিষ্ক, গ্রহ তারকারা …
জ্যোতির্ময় হয়ে উঠলো বৈপরীত্য উত্তাপে …
বৈপরীত্য জ্যোতি …
বৈপরীত্য দর্শন …
জন্ম নিলো জীব জড়ের মূঢ়ত্ব …
বিসম সত্ত্বায় নির্ধারিত বিসমতার রূপে।
শ্বাস যন্ত্রের অর্বুদ কোটি শ্বাস নির্ধারিত হয়তো …
অর্বুদ কোটি নিযুত বছর বা তারও অনাদি কাল আগে …
শুধু আমাদের আমিত্বের বৈপরিত্যের জন্য।
হৃদয় যন্ত্রের ছান্দিক আবর্তন নির্ধারিত হয়েছিলো …
জানানেই কতো শত কোটি বার।
নির্ধারিত মহাকর্ষ, মাধ্যাকর্ষণ …
শত রূপে, শত নামে, শত রঙে জন্মালো।
কতোটা আলো জ্বলবে …
কতোটা হাওয়া বইবে …
কতো গুলো বৃষ্টির ফোটা পড়বে আজ সকাল থেকে …
প্রতি জলের ফোটায় কতোটা সবুজ …
কতোটা শক্তি …
নির্ধারিত।
আর আছে সেই হিসাবের খরচের খাতা …
সেই খাতার অগুন্তি পাতা …
নির্ধারিত।
এখনো বাইরেটা অদেখা,
নির্ধারিত বিভিন্নতা,
ইন্দ্রিয়ের সীমানায় …
আবদ্ধ উন্মুক্ততা …
নির্ধারিত …
নির্ধারিত জ্যোতি …
উৎসাহ-হীনতায় অথচ বিলিয়মানতায় নির্ধারিত …
অনুভূতির তীক্ষ্ণ কনিকায় –
অস্তিত্ব নিরস্ত্বিত্বের সমন্বয় …
ভয়ঙ্কর শান্ত-শুন্যতায় …
কণিকার অতি পারমাণবিক বিস্তার।
নির্ধারিত অদৃশ্যতা …
তবুও দেখা যায়,
শীতের রাত শেষের কুয়াশার মতো …
চেতনিকায় অনুভূতির ঘণীভবনে,
ঝাপসা বিস্তারের অপূর্ণতায়,
নির্ধারিত আবছায়ায়।
অদৃশ্য ইন্দ্রিয়ের গায়ে রঙ ছিটিয়ে,
জড়ের অস্তিত্বের সৃষ্টিশীলতায়
নির্ধারিত আত্মন্ প্রাতিপদিকত্ব হারায়।
ভাষা জাগে জড়ের সীমাবদ্ধতায়,
নির্ধারিত জ্যোতি আবছায়া রঙ মাখে,
ইন্দ্রিয় বিদীর্ণ করে মৃত্যুর পথে বেঁচে ওঠে …
নির্ধারিত বৃহৎ, বৃহত্তর, বৃহত্তম বাঁচায় …
ধীরে ধীরে জ্যোতি হয়,
লাল, হলুদ, সবুজ, নীল, সাদা, –
নির্ধারিত বিষ্ফোরণে …
শতধা, সহস্রধা নাকি কোটি কোটি অর্বুদ …
বহুমাত্রিক আতিবৃত্তীয় গাণিতিকতার সীমানা ছাড়িয়ে …
নাকি ক্রম হ্রাসমান দ্বিগুন পারমানবিকতায় …
বর্ণহীন কৃষ্ণ জ্যোতিতে।
নির্ধারিত হলো …
নির্ধারিত …
তবুও সীমাহীন অন্তহীনতা,
চেতনার ক্রমবর্ধমান সীমাবদ্ধতায়
ক্রম প্রসারিত।
ক্রমহ্রাসমান বিন্দু কণিকায়
অথবা ক্রমবর্ধমান বৃত্তীয় পরিধিতে।
চেতন-মাত্রিকতার পারম্পৰ্যক্রমে,
পারিপার্শ্বিকতার নির্ধারিত বৈপরিত্যে।
তবুও নির্ধারিত …
শত শত বিভিন্নতায়,
শত শত চৈতন্যে,
শত শত বিলিয়মানতায়।
মৃত্যুর প্রকার ভেদ জানো তুমি?
সে তো বহু প্রকারে নির্ধারিত, –
আসলে মৃত্যু নেই …
মুক্তি নেই …
আছে নির্ধারিত অনন্ত ভোগ …
কত শত রূপে, রসে, বর্ণে, গন্ধে, স্পর্শে …
“ভোগী”, “যোগী”, “মুক্তি”, ” সিদ্ধি”
শত নামে, শত প্রকারে …
বিচার ও বোধের নির্ধারিত তারতম্যে …
একটুও পাপ নেই …
নেই একটুও পুণ্য,
একটুও পূর্ণ নেই …
নেই একটুও শূন্য
সংকোচন আর প্রসারণের গতিমানতায় …
শত তারতম্যের ভিড়ে ঠোকাঠুকিতে …
হারিয়ে যাওয়া, ভুলে যাওয়া …
ভেঙে যাওয়া, জুড়ে যাওয়া …
শুধু চেতনার স্মৃতিচারণা।
নির্ধারিত আঘাতে …
নির্ধারিত এক …
নির্ধারিত দুই …
নির্ধারিত তিন …
নির্ধারিত চার …
আরো আরো আরো আরো …
এক নির্ধারিত …
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..