প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
আরেকটু বিরক্ত হও –
আরও অভিমানে পাশ ফিরে শোও বইয়ের ওল্টানো পাতার মতো ,
জীবন্ত কলম, আর আমার ক্ষত।
যদি পেতে চাও, পেয়ে যেতে চাও ঘামের চেহারা পরিশ্রমী,
আমি অনাহারী জীব – কোদাল নিয়ে মাঠে ছুটি,
চাষাবাদ নেই – লুডোতে সাজিয়ে রেখেছি গুটি,
খেলতে গেলেও ছক্কা আসেনা আর –
বিষন্ন একাকী তক্তোপোষ যেমন –
জাজিমের আঁশটে গন্ধ ছড়িয়ে মন ,
যারা চলে গ্যালো অনাথ গোলাপের শামিয়ানা পাতা বাগান –
আমি পায়চারি করি কেবলই –
আসি যাই – হাতড়াই – সময়ের দারোয়ান।
পাবেনা জানি,
তবু দিতে চেয়েছি রোদের পোক্ত ইতিহাস,
বারান্দার সব ধুলো – বুক পকেটে রাখা ভুলে যাওয়া টাকা,
দৈনন্দিন চায়ের দোকানে যেভাবে জমে যায় ভাঁড় –
ভগ্ন ডাস্টবিনে আমি ঝড়ের নাম খুঁজি –
তুমি খোঁজো প্রেম – আমি বুঝি।
মনে হচ্ছে চুপ করে শুয়ে থাকি ।
শৈশবের বিমান থেকে টেনে নিয়ে উড়ন্ত কাহিনী সব,
মেঘেদের দেশে গ্রীক মহিলা চুড়ান্ত সতর্ক প্রেম হাতে,
মনে হয় ডেকে আনি ঘরে আশ্চর্য বিষয়।
এখানে কোন নাম দিতে পারিনা আমি,
গুরুত্বপূর্ণ বনানী ঘিরে দাবানল পোষা,
খিঁচুনি ধরা মাতাল মানুষের চোখে –
সর্বহারা জুয়ার ঠেকে – সমুদ্র তটে,
আমি কুড়িয়ে পেয়েছি শতাধিক জাহাজের নাম।
সকলে একসাথে ভাসে, সকলে একসাথে এগিয়ে চলে যায় দূরে,
সূর্যের দুহাত ছুঁড়ে পোড়াতে পারিনি প্রবল গ্রীষ্মের মতো –
ঝরাতে পারিনি সব ভালোবাসা ঝর্নার মতো –
তবু রয়ে গেছি আমি –
ঝিনুকের গায়ে আল্পনার মতো –
সাপের শরীরে শ্লেষ্মার মতো ,
রুগ্ন শিল্পের অনিশ্চয়তা ঢাকা কবিতার খাতা,
এবং তোমার অস্পষ্ট আসা যাওয়া – নিলোফার।
আমি শুয়ে শুয়ে দেখি। শুয়ে থাকি।
একাকী নিজের মতো।
শতাব্দীর সূর্য ঢাকা কবিতায়,
আমি প্রজন্ম হাতড়ে জন্মাতে দেখেছি ভাষাদের,
প্রতিদিন শহীদ হয়েছে থালা বাসনের ভিড়ে –
আলগোছে লেগে থাকা সাবান গুঁড়োয় আমার নাম।
ইতিহাস জানে –
ক্ষমতাশালী বিপ্লবের বহিঃপ্রকাশ রাস্তায়,
আমি পতাকা হাতে শোকের বিছানা পাতি,
সংসার পাতি নিরিবিলি সংশোধনাগারে,
তুমি দেখতে আসোনি নিলোফার,
ব্যালটে বিদ্ধস্থ শেষ বুথে তোমার গোলাপ রাখা ছিলো,
গণতান্ত্রিক বুকে মৃত্যুর পায়ের ছাপ।
আজ যদি ঝড়ের রাত আসে,
আজ আবার বৃষ্টিভেজা ঝাঁপিয়ে পরা বুকে,
প্রেম নেই – গুরুত্ব নেই – ভালোবাসা নেই,
কেবল লিখে যাবো
লিখে লিখেই যাবো –
লিখে যাবো –
তোমার নাম – নিলোফার।
আমার কবিতার খাতায়।
তুমি পড়ার জন্য জন্মাবে আবার?
দিগন্ত আনমনা বর্ষা গুছিয়ে রাখি ঘামে,
সবুজের ঝলসে যাওয়া বুকে – রোদের পশমে।
পাখিদের ঢিলেমি বসে থাকা অবাধ্য গাছের ডালে –
সেখানে নুয়ে ঝুঁকে থাকে – কঠিন নরম পাতাদের গালে।
শহুরে মেঘের জন্মদিন নেই – এ্যম্বুলেন্সের সাইরেন মাখা সিগন্যাল।
ধুলোবালি নজির হয়তো নয় – হাঁটতে চলতে যেমন লাগে বল।
দুপুর গড়িয়ে যায় – ঘাটলা জুড়ে ঝাঁপিয়ে পরা হাঁস –
গ্রামীণ বিকাশে মাটি – তপ্ত সময় পুড়ন্ত -হাঁসফাঁস।
এবার নিয়মভুলে আলগোছে মুখে ঢালি জল –
আসেনি বাগানে মালি – ফিরে গ্যাছে সব শীতল।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..