শঙখচিল
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
এখনও বর্ষা এলে স্মৃতির ভিতর আগুন খেলা করে,
সময় ডানা মেলে
দিগন্তে উড়ে যায় শ্যাওলা ধরা বকের মতো।
এখনও বর্ষা এলে ধূসর কোষেরা লকগেট খোলে,
গল্পের জলে ভাসে
বিশ্বাস আর বিশ্বাসভঙ্গের স্মৃতিমেদুরতা।
এখনও বর্ষা এলে মনের আকাশে ডুবন্ত সূর্য আলো ছড়ায়,
কালো মেঘে রোদ হেসে
রামধনু খেলা করে শ্রাবণের বুকের কোণায়।
সুষুপ্তির রেশে রেশে ভেসে ওঠে তোমার মুখ,
শুরু হয় চিন্তা , একের পর এক ভ্রূণহত্যা।
ঝাঁ ঝাঁ করে মাথার ভিতর,
চিনচিন করে ওঠে পাঁজর,
জলপ্রপাত নামে মনের অন্দরমহল থেকে।
উঠবো উঠবো ভাবুক সূর্যের মরা আলোয়
হালকা হই শেষমেশ।
আবার অন্য ভোরে , অন্য হাওয়ার নতুন গন্ধে
ভাব্নারা জন্ম নেয় একই ছাঁচে।
ভাবনাগুলো ঝাঁপিতে নিয়ে
ঘুরিফিরি সেই এক জীবন ধরে।
হলুদলাগা সময়ের গায়ে খসখস শব্দ করে
নীলাম্বরী স্মৃতি।
গর্ভজলে ভিজে গাছেরা হয়ে ওঠে পান্থপাদপ,
কাকেরা সারস।
আকাশ আর দিগন্তের নিবিড় সঙ্গমে
সব ধ্বনি হয়ে যায় নিষ্পন্দ
বিকেলের মিয়ানো আলোয়।
কালো ঝুলের মতো ঝোলে মেঘ, ঝোলে মন।
মস্তিষ্কের দরজা বন্ধ হয় মধ্যযামের ধারাপতনে।
ভিজতে ভিজতে গভীরতা খোঁজে মীনাক্ষীরা,
শুশুকের মতো ভাসে স্মৃতি মেদুর আলোয়।
মনের আকাশে সূর্য ওঠেনি বহুযুগ,
রাজত্ব করছে শুধু মেঘ আর বৃষ্টি।
ভিজতে ভিজতে এখন আমি অর্পিত প্রাচীনে।
অবিরাম ধারাপতনের কারণে দরজা বন্ধ।
শব্দভ্রমে যাকে আমি অক্ষর বলে ভেবেছি
তা শেষটান দিয়ে প্রলাপ বকে যাচ্ছে।
এই নষ্টসন্ধ্যায় এখন কি নির্মম হওয়া উচিত?
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
বুনো শুয়োরের উৎপাত, ধমনীর শিরায় এখনও নিবিড় ভাবে বয়ে যায় চেঙ্গিস-হিটলার-হালাকু খান। শরীর থেকে ধীরে…..
যতই আমায় বৃষ্টি বাদল স্বপ্নে এসে দেখা ; তোর মতো মিথ্যা বলতে পারবো না ……..
অপেক্ষার বৃক্ষ প্রতীক্ষার ফুল তন্দ্রাহতের মতো জেগে থাকি হাওয়ার পেরেকে একাকী এ-ফোঁড় ও-ফোঁড় দায়মুক্ত আয়ু…..